মাসা'আলা:১০
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন: "আমি আমার পরে পুরুষ জাতির ধর্ম নষ্ট কারি স্ত্রী জাতির ফেৎনার চেয়ে বড় কোন ফেৎনা আর দেখিনা। "
ফেৎনার অর্থ- মানুষ যে বিভ্রান্তে পড়িয়া হতবুদ্ধি হইয়া হিতাহিত জ্ঞান এবং দ্বীন ,ঈমান নষ্ট করিয়া ফেলে তাহাকে ফেৎনা বলে।
স্ত্রীজাতির কারনে পুরুষের কয়েক প্রকার ধর্ম নষ্ট হয়--
প্রথমত:
পুরুষ যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হয় , তখন তাহার ভেতর সৃষ্টিগত ভাবে স্ত্রী জাতির প্রতি এক প্রকার আকর্ষন শক্তি জন্মে। সেই আকর্ষনের ফলে পুরুষের মন আপনা আপনি স্ত্রী জাতির সৌন্দর্যের অবলোকন, কাছে উপবেশন এবং মিলন লাভ করিতে চায়। এই উত্তাপ তরন্ঙ যখন বয়ঃপ্রাপ্ত নবযুবকের মনের ভেতর উঠে , তখন তাকে বাধা দেয়া রাখবার মত জিনিস এক আলেমুল গায়েব ওয়াশশাহাদাত, (অন্তর্যামি) আল্লাহর ভয় ছাড়া আর কিছু না। কারন সরকারি পুলিশ বা মা -বাপ , গুরুজন সব সময় মানুষের সন্ঙে থাকিতে পারেনা।, দুর্নামের ভয় বা আত্বা কলুষিত , চরিত্র ও স্বাস্থ্য নষ্ট হবার ভয় মনের সেই দুর্দমনীয় শয়তানের স হিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মট শক্তি রাখেনা। )
শয়তান তখন মানুষের কল্পনা শক্তিকেও পরিবর্তিত করে ফেলে । এক মাত্র আল্লাহ র গযব ও আযাবের ভয়ই তখন মনুষকে পাপ হটে ফিরায় রাখতে পারে; তাছাড়া অন্য কিছু পারেনা। এজন্য আল্লাহ পর্দা প্রথা পালন এবং বিবাহ করা ফরয করে দিছেন।
দ্বিতিয়ত: পুরুষ যখন বিবাহ করে তখন তাহার মন সম্পুর্ন ভাবে স্ত্রীর প্রেমে নিমগ্ন হইয়া যায়। এবং তাহার মন শুধু পরেম-পাত্রীর মন যোগাইয়া চলিটে চায়। এজন্য অনেক হতভাগ্য যুবক তার বাপ-মা, ভাই বোন বা পিত্ৃকুলের অনেক আত্বীয় স্বজনকে ভুলিয়া শুধু শুশুরুলের মন যোগায়া চলতে আরম্ভ করে।
কারন যৌবন কে হাদিসে বুদ্বিহীনতা এবং পাগলামির এক শাখা বলা হয়েছে এবং স্ত্রীজাতিকে "নাকেছাতুল আকল" অপুর্ন জাতি বলিয়া আখ্যায়িত করা হয়েছে।
কেননা, সাধরনত: যদিও কোন মেয়েকে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি -বিশিষ্টা দেখা যায়, কিন্তু জাতিগত ভাবে স্ত্রী জাতির বুদ্বিতে ব্যপকতা ও দুরদর্শিতা কম হয়। যাহারা বুদ্ধিমতি মেয়ে লোক হয় তাদের বুদ্বিও সাধরনত : সন্কীর্ন হয় এবং দুরদরশী হয়না।
নিজের ব্যক্তিগত বা পরিবারগত সুখ-দুঃখ, উপস্থিত লাভ-লোকশান বুঝে, ব্যপকভাবে দুনিয়া জোরা গোটা জাতির বা দুরের সুখ-দুখ লাভ-লোকশান ভাল মত বুঝে না। তাছরা যৌবন-স্রোতে ভাসমান যুবতিদের মধ্যে বিলাসিতা, অনুকরন প্রিয়তা এবং প্রবৃত্তর বশবর্তি এত অধিক হয় যে , তাহা চাপিয়া রাখা এক আল্লাহর কঠোর আদেশের পর্দা-প্রথা পালন ব্যতিত অন্য কোন উপায়ে সম্ভবপর নয়।
বিশেষত: বেপর্দা বেড়াইয়া সৌন্দর্য বেড়াইয়া , অংকার ও কাপর দেখাইবার প্রবৃত্তি ধর্ম শিক্ষা বিহীন চরিত্রহীনা সুন্দৈ নারি হইয়া থাকে এবং যুবকগন প্রবৃত্তির বশবর্তি হইয়া বিজাতীয় অন্ধ অনুকরন করত : পর্দা প্রথা উঠাইয়া দিয়া সৌন্দর্য অবলোকন করিতে চায়।
পরিণামে এই পর্ডা প্রথা পালন না করার ফলে মানুষের স্বাস্থ, সমাজ, সম্মান , ধর্ম, পরবর্তি বংশ , নৈতিক চরিত্র প্রভৃতি সব নষ্ট হয়ে যায়।
পুরুষের চক্ষু যখন পর স্ত্রীর উপর পরে , তখন তাহার মনের ভেতর চাঞ্চল্য উপস্থিত হওয়া স্বাভাবিক এবং এই মনের চাঞ্চল্যের কারনেই তার জীবন শক্তি দুর্বল এবং হীন-বীর্য হইয়া যায়, ফলে তাহার স্বাস্থ নষ্ট হয় এবং পরবর্তি নছল অর্থাৎ সন্তান -সন্ততি নষ্ট হয় ; এরুপে স্ত্রীজাতির সতীত্ব নষ্ট এবং সন্তান-সন্ততির ধংস শুধু যে গুনাহ কবিরাহ দ্বারাই হয় তা নয় ; বরং স্ত্রীর চক্ষু যখন পর পুরুষের দিকে ধাবিত হয় তখন তাহার কোমল মন দোটানায় পড়ে যায় : ফলে জ্ঞানহীন, লজ্জাহীন, স্বাবলম্বন হীন, পিতৃ-মাতৃ ভক্তিহীন কুসন্তান জন্মে।
কাজেই ইহা অতি বড় ফেতনা এএবং এই ফেতনার সৃষ্টি স্ত্রী জাতি হইতে হইয়া থাকে।
(অবশ্য শীত প্রধান দেশে মনের চাঞ্চল্য কম হয় এবং সে কারনে ইংরেজগন পর্দা প্রথা পানল না করা সত্বেও স্বাস্তবান থাকে। তাদের স্বাস্থ্য নষ্ট কম হয় বটে, কিন্তু অন্যান্য কুকর্ম কম হয় না)
তৃতীয়ত :
মানুষ উপরোক্ত দুটি পাপ ছাড়াও নারির কারনে আরও অনেক পাপ করিয়া ধর্ম নষ্ট করে।
যথা: স্ত্রীর বিলাসিতা, অমিতব্যয়িতা বা বেহুদা কাজকর্ম, রুছুম।রেোয়াজ প্রভৃতি কারনে অনেক সময় স্বামীকে সুদ, ঘুষ, মাপে কম দেওয়া, মিথ্যা কথা বলে জিনিস বিক্রয় করা ইত্যাদি অসদউপায়ে আয় বাড়াইতে হয়।
একাহনে মাত্র দুনিয়ার কয়েকটি ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হলো । তাছাড়া দুনিয়ায় আরো অনেক রকম ক্ষতি স্ত্রীজাতির ফেৎনার কারনে হয়, আর আখেরাতের ক্ষতি তো অসীম। স্ত্রীজাতির ফেৎনায় যে পড়িবে তাহাকে অনেক প্রকার কঠোর আযাব দুনিয়াতেও এবং আখেরাতেও ভুজগিতে হইবে।
বাংলা বেহেশতি জেওর। ৪র্থ ভলিওম। পৃষ্ঠা ২৪-২৫