মনে আছে মার্ক জুকারবার্গের একটি ছবির কথা? যেখানে সে ভদ্রলোকের মত দাড়িয়ে তার বিয়ে করা বউকে নিয়ে একটি ছবি তুলে তার তৈরিকৃত ফেসবুকে পোস্ট করেছিল। আর এটাই যেন জুকারবার্গের জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে দাড়ায়। প্রায় কয়েক মাস ধরে ছবিটিতে বাংলাদেশীদের কমেন্ট পরতে থাকে। বাংলা এবং বাংরেজি ব্যাবহার করে ভদ্রলোকটিকে বিভিন্ন ভাবে কটুকথা কমেন্ট করতে থাকে মস্তিষ্কহীন কিছু বাংলাদেশী। কিছু কিছু মানুষ আবার বাংলায় তাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানোর জন্যেও আবেদন জানান। কেউ কেউ আবার অনলাইনে টাকা ইনকামের পদ্ধতিও তার সাথে শেয়ার করে। মস্তিষ্কহীন ওইসব বাংলাদেশীদের কমেন্ট যদি আদৌ জুকারবার্গ বুঝতো তাহলে সে এলিয়েন আবিষ্কার করতে নিশ্চয়ই নাসা বিজ্ঞানীদের বাংলাদেশে আসতেই সুপারিশ করত।
যাক এগুলো পুরনো কাসুন্দি, নতুন কিছু বলি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন খ্যাতিমান তারকা নাসির হোসেন তার ছোট বোনের আবদারে তার অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যানপেজে তার সাথে তার বোনের একটি ছবি পোস্ট করে। সাথে সাথেই শুরু হয় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তাণ্ডব। ছবিটির কমেন্ট বক্সে ঝড় তুলে ওইসব মস্তিষ্কহীন নামমাত্র বাংলাদেশীরা। বাধ্য হয়ে ছবিটি মুছে দেন তিনি এবং এই ধরণের ভক্ত তার দরকার নেই বলে আরেকটি পোস্ট দেন। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তার ফেনপেজ ‘কান্ট্রি রেস্ট্রিকটেড’ করে বাংলাদেশীদের জন্যে বন্ধ করে দেয়।
এর পরেও ওইসব নামমাত্র ভক্ত অথবা লজ্জাহীন বাংলাদেশীদের মস্তিষ্কের কোন উন্নতি হবে না, কারন এটা তাদের জন্মগত সমস্যা। তবে এইসব কিছু সংখ্যক বাংলাদেশীদের জন্যে লজ্জার সম্মুখীন হচ্ছে সচেতন বাংলাদেশীরা। গুটি কয়েক বাংলাদেশীদের জন্যে বহির বিশ্বে ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে পুরো বাংলাদেশের। সুতরাং সেই সব বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভাইয়েদের বলছি, নিজেদের জাত চিনাতে চান ভালো কথা, তবে তাই বলে এমন কিছু করবেন না যাতে পুরো দেশের নাম খারাপ হয়, দেশের বাকি সব মানুষের নাম খারাপ হয়। দেশের কৃতি সন্তানদের সম্মান দিতে শিখুন, ভালবাসতে শিখুন, আগলিয়ে রাখতে শিখুন এটাই আপনাদের কাছে অনুরোধ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩২