।। পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি ।।
একটা বনে বাঘ, সিংহ, হাতি, হরিণ, বানর ছাড়াও আরও অনেক প্রানী থাকে।
কিন্তু আমার এ গল্পটি বাঘ ও হরিণকে নিয়ে।
আমরা মোটামুটি সবাই ডিসকোভারি চ্যানেল বা এলিমেল প্লানেট বা ন্যাশনাল জিওগ্রাফী দেখি। যাদের অনুষ্টান প্রচারের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকে জীব-যন্তু। যেখানে আমরা প্রায়ই দেখা যায় একটা বাঘ একদল হরিণ তাড়া করতেছে শিকারের জন্য।
বাঘ যখন একটা হরিণ শিকার করে তখন আমাদের আপাত দৃষ্টিতে খুব খারাপ লাগে, হরিণটির জন্য মায়া হয়। বার বার মন বলে বাঘটি যেন হরিণকে ধরতে না পারে, হরিণ আরোও জোরে দৌড়া। কিন্তু এক পর্যায়ে বাঘ যখন তাকে ধরে ফেলে তখন বাঘের প্রতি ঘৃণা হয়। বাঘকে গালি দেই। এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আমরা তো ছাগল, গরু, হাস-মুরগি ধরে জবাই করে খাই।
আমদের হরিণের প্রতি মায়া হয় কিন্তু গরু, ছাগলের প্রতি হয় না কেন??
এমনটা কেন??
হরিণও একটা প্রানী , ছাগল, গরু, হাস-মুরগিও প্রানী। ছাগল, গরু, হাস-মুরগির প্রতিই আমাদের এ অবিচার কেন?
প্রকৃতপক্ষে আমরা হরিণকে ভালোবাসি না, আমরা বাঘকে ঘৃণা করি। আর আমরা বাঘকে ঘৃণা করি বলে হরিণের প্রতি আফসোস হয়, মায়া হয়। এটাই সত্য।
আমাদের বাস্তব জীবনেও ঠিক এমনটাই ঘটে। আমরা মানুষের কষ্ট দেখলে আফসোস করি।আর পেছন থেকে তাদের ক্ষতি করি। আমরা খুবই লোভী। খুব কম লোক আছে যারা নিঃস্বার্থভাবে অনেক জন্য নিজের জীবন উতসর্গ করেন। কিন্তু বেশির ভা মানুষই আমরা নিজের লাভের জন্য অন্যের সাহায্য করি।
বাঘকে ঘৃণা করে যেমন হরিণের প্রতি মায়া দেখাই ঠিক তেমই আমেরিকাকে ঘৃণা করি বলে আফগান-ফিলিস্তিনের জন্য মুখে ফেনা তুলি। খালেদা জিয়াকে সহ্য হয় না বলে শেখ হাসিনার ভাষন মধুর লাগে।
কিন্তু আমরা কেউ পারসোনালি আফগান-ফিলিস্তিন কিংবা হাসিনা ভালোবাসি না।
আর গুন টা আমরা বংশ পরম্পরাইয় চলে আসতেছে। দাদা থেকে বাবা, বাবা থেকে আমরা, আমরা থেকে আমাদের ছেলেমেয়ে। এভাবে অনন্তকাল পর্যন্ত চলবে।
~~~ধন্যবাদ সবাইকে ধৈর্য নিয়ে এই লেখাটি পড়ার জন্য। সামুতে এটা আমার প্রথম লেখা। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।