"জীবনে কিছুই করতে পারবো না, এই রেজাল্ট দিয়ে কি আর হবে!! আশা পূরণ হবে না। অমুক ভার্সিটিতে তো পরীক্ষাই দিতে পারবো না, কি আর আছে জীবনে। সব শেষ।"
গত বছর রেজাল্ট হাতে আশার পর এমন কত চিন্তা মাথায় ঘুরতো।। তারপর পড়ালেখায় মন বসাতে খুব কষ্ট হতো, একরকম ছেড়েই দিয়েছিলাম।। চাপ সামলে উঠতে পারিনি....
একই রকম রেজাল্ট পেয়েও আমার অনেক বন্ধু হাল ছাড়েনি। তাদের দেখেই বুঝলাম, "ভর্তিযুদ্ধে জিততেই হবে এমন মানসিকতাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার যোগ্যতা।" তাদেরকে স্যালুট, যারা চাপ সামলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হতে পেরেছে।।
"হোচট খাওয়াই মানে হেরে যাওয়া নয়, উঠে দাঁড়ানোর সামর্থকে অস্বীকার করাই হেরে যাওয়া।"
আবার, আমার কিছু বন্ধুকে দেখলাম ডাবল গোল্ডেন ডাবল হাতে নিয়ে এখনো বসে আছে, সেকেন্ড টাইমের জন্যে অপেক্ষা করছে।।
তাই বড় ভাই হিসেবে তোদের বলি>
এ+ পেয়েছিস কংগ্রেচুলেশন। গা না ভাসিয়ে পড়তে বয়, ভালো যায়গায় চান্স না পেলে সবাই নর্দমায় ছুড়ে ফেলবে। আফসোসের সীমা থাকবে না। কাঁদতে ও লজ্জা লাগবে।
আর হ্যাঁ, তোকে বলছি শোন... একদম ঘাবড়াস না। জানিস তো নায়ক আগে মাইর খায়, পরে দেয় ;-) । নতুন করে শুরু করনা। হয়ে যাবে। ২ মাস পর যখন তুই বুক ফুলিয়ে বলবি আমি অমুক ভার্সিটির তমুক সাবজেক্ট এ পড়ি, তখন আজকের এ+ পাওয়া আনন্দিত বন্ধুটার মুখের দিকে একবার তাকাস শুধু।
জানিস তো জীবন মানেই উত্থান পতন। আজ এ+ পাসনি তোর মন খারাপ, সবাই তোর উপর অসন্তুষ্ট। এ+ পাওয়া ছেলে বা মেয়েটার জীবনের সবচাইতে খুশির দিন, সবাই নজর তার দিকে, তাকে হুজুর হুজুর করছে ।
মাসখানেক পর তুই ভার্সিটি তে চান্স পেলি তুই খুশি, সবাই তোর উপর সন্তুষ্ট। এ+ পাওয়া ছেলেটি কোথাও চান্স পেল না, কাল সে অসুখী, লোকে বলবে, "ডাবল প্লাস পেয়েও কোথাও চান্স পায়নি। এ কেমন স্টুডেন্ট!!"
আমাদের পুরো জীবনটাই এমন রে.... আজ একরকম কাল আরেকরকম।
২-৪ টা এ+ ই জীবনের স্বার্থকতা হতে পারেনা। আসলে জীবন নামের খেলার মাঠে যারা প্রতিনয়ত পরিশ্রম করবে তারাই জিতবে।। আবার নতুন করে শুরু করে দেখ না। যেমনটা ভাবছিস, সব কিছু শেষ হয় যায় নি। চেষ্টা করলে ঠিক ই পারবি! শোক কে শক্তিতে পরিণত কর।। বাবা-মা কে চমকে দে.... তাদের মুখে হাসি ফোটানোর মিশনে নেমে যা...