somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইকোলজি in LOVE ~প্রারম্ভিকা...

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

~মানুষ স্বভাবতই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী হওয়ার গৌরবোজ্জ্বল সম্মান অর্জন করেনি। এর জন্য তাকে অনেক কাঠখোড় পোহাতে হয়েছে,অনেক শ্রম দিতে হয়েছে,চিন্তা-ভাবনা করার শক্তি অর্জন করতে হয়েছে, নিজেকে নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারার সামর্থ্য-শক্তি লাভ করতে হয়েছে। সবিশেষে তাকে কিছু ত্যাগ করতে হয়েছে। হয়ত সেটা নিজের ইচ্ছায় বা চারিপার্শ্বের প্রভাবে।

~আমাদে সবচেয়ে বড় ভূল হলো আমরা সিংহাসন এর চূড়ায় অবস্থান করে প্রজাদের উপর আর নজর দেইনা,ক্ষুদ্র বিষয়গুলোই যে অনেক মূল্যবান সেটা তখন আমাদের অহংকারী মনোভাবের কারণে সেটা আমরা মানতেই চাইনা। নিজের অর্জনটাকেই চক্ষুগোচর হয় কিন্তু এটা কিসের উপর দণ্ডায়মাণ তা আমরা জেনেও না জানার অভিনয় করে তাকে অবজ্ঞা করি। "ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালিকণা বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।" হ্যাঁ তো? এটাতো সবাই জানে, তারপরও এখানে এটা উল্লেখ করার কোন মানেইতো হয়না। আর ঠিক এখানেই আমরা আমাদের অহংকারী মন-মাইন্ড এর কারণে আর একটু নির্দয়তার পরিচয় দেই, নিজের মূর্খতার পরিচয় নিজেরাই দেই। মনে আছে সেই অহংকারী রাজার কথা যিনি শেষ পর্যন্ত হাওয়াই সূট পরিধান করে তার প্রজাদের সম্মূখে উপবিষ্ট হয়েছিল। জানেন এগুলো কেন বলতেছি? কারণ আমাদের বিকৃত মানসিকতার পিছনে লুকিয়ে আছে অহংকারী মনোভাব, আর ক্ষুদ্রকে ক্ষুদ্র বলে হেয়-প্রতিপন্ন করার ধৃষ্টতা। এই দেখেন কথার ছলে কোথায় চলে যাচ্ছি,আবারো আর একটা কী-ওয়ার্ড নিয়ে আসলাম। সে যাই হোক তার সাথে আর আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাচ্ছিনা ঠিক এই মূহুর্তে।

~মূল কথা কি বলতেছিলাম সেটাই ভূলে গেছি। যাইহোক ফিরে যাই সেখানে, সেই চেনা সূরের কলতানটা একটু মনে করিয়ে দেই।
একটা ছেলে আর একটা মেয়ের সাধারণ সাকোলজিতে যেহেতু পার্থক্যের সীমা নেই সেহেতু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যে তুলনা করার প্রয়োজন পড়বে সেই ধারণাটা পোষণ করাও আর এক ধরণের জেদ এর পরিচয় প্রকাশ করে। বিধাতা প্রতিটা মানুষকে আলাদা আলাদাভাবে তার নিজস্ব জায়গায় পরিপূর্ণতা দান করেই সৃষ্টি করেছেন। কখনো কারো উপর অবিচার করেননি, কারণ উনার কোন কিছুতেই অভাব নেই তাছাড়া ইচ্ছাও নেই কোন মানুষকে অপমানিত হিসেবে দেখার, কারণ তিনি মহান বলেই বিন্দুর মর্মটা বোঝেন।আর আমরা? বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর অবিচার?! সেতো এক নৃশংসতা, পাপাচারের শেষ ধাপ, নিচতা-হীনতা-দীনতা সবকিছুরই বহিঃপ্রকাশ।

~কিন্তু ঐ যে বললাম পরিপূর্ণতা, সেই আমার আমির জন্য সেই নির্দিষ্ট স্থানটি খুজে বের করতে হবে। আমরা অনেকেই তা পারিনা, খুব খুব কম মানুষ ই তা পারে। তবে সেই সংখ্যাটা হাতের আঙ্গুলগুলোর কড়ি অতিক্রম করবে কিনা তা সন্দেহ। জীবনের সেই ভাল লাগা-মন্দ লাগা, ইচ্ছা-অনিচ্ছার বেড়াজালে আবদ্ধ থেকে, লাইফের মোস্ট টার্নিং পয়েন্টায় এসে নতুন আর একটা বিষয়ের সম্মূখিন হতে হয়। সবাই তাকে ভালবাসা নামে অভিহীত করে। আমারতো আর ক্ষমতা নেই তার রূপটাকে অন্যভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরার!

~প্রত্যেকের লাইফস্টাইলের একটা নিজস্ব স্বকীয়তা আছে, সো আমি ব্যাতিক্রম হব কেন? জগত্‍ সংসার এর বাধা ধরা নিয়মেইতো আমাকে চলতে হবে। মানুষের সাইকোলজি নিয়ে ভাবতে ভাবতে এখন নিজেই সাইকো হয়ে গেছি। অনেক কিছু বুঝার পরও তার শেষ রসটুকু অন্বেষণের নেশায় মত্ত্ব থাকি! বাস্তবতা নিরীক্ষণের পরও কিসের একটা শুণ্যতা উপলব্ধি করি! একটা সময় শেষে বুঝি এটাই হয়ত ভালোবাসা! আজ হোক বা কাল হোক এটার মুখোমুখী প্রত্যেককে হতেই হবে। আগে ভাবতাম কি হবে? ভাবাতে যেহেতু কিছুই হয়নি তাই এখন আর ভাবতেও ইচ্ছে হয়না। তারপরও ভাবতে বসি, চিন্তা করি, সাইকোলজি নিয়ে গবেষণা করার সেই অদম্য আকাঙ্খার পিছনে হারটাই মেনে নেই। সবসময় নিশ্চুপ থাকতে ভালবাসতাম, অথচ এখন আমার মতো বাচাল হয়ত আর একটাও নেই। প্রকৃতির ইচ্ছায় কিনা জানিনা তবে সবসময় মন খারাপ থাকাটা অভ্যাস বসতই আমার সঙ্গতা পেয়ে গেছে। তবে হ্যাঁ একটা কথা মনে পরলে নিজের অজান্তেই ঠোট দু'টো হাসির ঝিলিক ছড়ায়: ভালবাসা নাকি নিঃস্বার্থ হতে হয়! সবচেয়ে বড় গোঁড়ামী, এই চিন্তাধারা ছাড়া অন্য কিছু হতে পারেনা। আচ্ছা আপনি যদি একান্তই আপনার কথায় অবিচল থাকতে চান তাহলে কিছু প্রশ্নের উত্তর নির্ধারণ করেন তো, বলছিনা আমাকে দিতে হবে উত্তরগুলো আপনার কাছেই রেখে দিয়েন। আপনি কেন তাকে ভালবাসেন? তার রূপ, সৌন্দর্য, কণ্ঠসর, অ্যাটিচিউড, লাইফস্টাইল, চালচলন, ক্যারিয়ার, অর্থ, সম্মানবোধ, ক্ষমতা, নিজের একাকিত্ত্বতা গোঁচানোর জন্য, তার সঙ্গতা, কিছু প্রাকৃতিক টান, অথবা এমনও হতে পারে যে সবাই তাকে ভালবাসে তাই আপনিও মনের অজান্তেই তাকে ভালবেসে ফেলেছেন কি? আচ্ছা আপনিতো তাকে নিঃস্বার্থ ভালবেসেছিলেন তাহলে একটা পর্যায়ে এসে তাকে বোরিং লাগে কেন? আগের মতো সেই অনুভূতি এখন আর কাজ করছেনা কেন? তাকে, ঠিক তাকেই ভাবেন কেন? আর ভবিষ্যত এ কেন নয়?

~সকল কী-ওয়ার্ড এর বিবরণ দিব কিন্তু আপনি যখন সেই কী-ওয়ার্ড এর কী এর ব্যাখ্যা চেয়ে বসবেন তখন?


~ভালবাসায় কিভাবে সাইকোলজিটা কাজ করে? যেহেতু দু'পক্ষের চিন্তাধারা কখনোই এক হবেনা তাই এর বর্ণনাটাও আবশ্যকীয় হয়ে পরছে। তবে তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পরবর্তী সিকুয়েন্স এ দিব, এই সিকুয়েন্সটা একটা বিষয় বলেই শেষ করতে চাচ্ছি।

-> প্রতিটা ছেলেই তার নিজস্ব ক্ষমতার ব্যপারে সজাগ দৃষ্টিরাখে। তার একটা অলৌকিক ক্ষমতা থাকে কিন্তু দান এর প্রতিদান বলে একটা কথা আছেনা, ফলস্বরূপ তার পরিস্ফুটন ঘটানোর জন্য একটা সহযোগীর প্রয়োজন পড়ে। এই যে আমরা যেই ভূলটা করে থাকি, সহযোগীকে ঠিক সহযোগীর জায়গায় স্থান দেই, কিন্তু তার সাইকোলজির রাইট টাকে রাইট হিসেবে এক্সেপ্ট করতে পারেনা। প্রতিটা ছেলেই জানে এবং বিশ্বাস করে যে তার মূল্যমান ০। সে চায় অনেক প্রতিক্ষার বিনিময়ে ১ এর ডানে বসতে। একটা সারপ্রাইজ দিতে চায়, যেটা হতে পারে ক্ষুদ্র কিন্তু অন্তর্নিহীত মর্মার্থটাকে না বুঝে ছোটটাকে ছোট বলেই অভিমান করে বসে কেউ কেউ। সে আবারো চেষ্টা করে, দেখাতে চায় এই শোননা,অভিমান করে থেকে কি লাভ, দেখনা তোমার নিজপানে চাহিয়া তুমিতো ১০ হয়ে গেছ। আদৌ কি একটা মেয়ের সাইকোলজি সেটা গ্রহণ করবে....!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২২
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×