প্রায় দু'বছর আগের নাটক, হঠাৎ হোমপেজে চলে আসলো, ক্লিক করলাম। ইন্ট্রোটা বাস্তবিক ছিলো। দেখে ফেললাম।
~শিক্ষার সংস্কৃতি কখনো এমন হওয়া উচিৎ নয়, যাতে শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া দায়িত্ব তাদেরকে পালন করতে বাধ্য করা হয়!
~বাবা-মার স্বপ্ন, সমাজের প্রত্যাশা পূরণ, দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন, পাশের বাসার আন্টি/ভাবিদের মুখ বন্ধ করন ই যদি একটা ছাত্রের লক্ষ্যমাত্রা হয় তাহলে সে হতাশ, ডিপ্রেসড না হয়ে যাবে কোথায়? সুষ্ঠু মস্তিষ্ক সম্পন্ন একটি মেধাবী জাতি গঠনে আমাদের জোর দেওয়া উচিৎ, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই সে তার চারপাশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। তাকে আগে নিজের মতো করে জানা, নিজের হয়ে বাচতে শিখা, নিজের মতো করে ভাবতে শিখানো, সবাইকে ফ্রেন্ডলি জানানো উচিৎ। তাহলেই কেবল এবং কেবলমাত্র একটি মানবিক জাতি গঠনে সক্ষম হবো আমরা!
~গার্ডিয়ান হিসেবে আমাদেরকে সফলতার মানদণ্ড সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিৎ। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার কিংবা শিক্ষক হতে পারাটাই সার্থকতা নয়! যদি এমন হতো তাহলে ভুল চিকিৎসায় কিংবা ব্রণ টেস্ট করার নামে কেউ গালে চুমু দিতোনা, রানা প্লাজা ধ্বস কিংবা প্রস্তুতাবস্থায় ওভারব্রীজ ভেঙ্গে পড়তোনা অথবা বালিশ কেনা-তোলায় সাগর লুট হতোনা, স্বার্থের জন্য ক্ষতিকারক কোনো কিছুর অনুমোদন দেওয়া কিংবা অনুজ ভালো কাজ করেছে বলে বাসায় ফেরার পূর্বেই তার বদলির নোটিশ দেওয়া হতোনা, বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে বাসায় এনে পড়ানোতেই নিজেকে স্বার্থক ভাবা কিংবা শিক্ষক হিসেবে অহমিকা প্রদর্শন বা বাবা-মায়ের সমতুল্য হয়েও বিকৃত যৌনাচারে সাফল্যমণ্ডিত অংশগ্রহণ অথবা সামগ্রিক ভাবেই একটা তলা বিহীন ঝুড়ির মতো বাংলাদেশকে গঠন করা হতোনা।
~আপনি যখন প্যাশন নিয়ে একটি কাজ করবেন, সেখানে কখনো ক্লান্তি চলে আসবেনা, অদক্ষতার রেশ কিংবা অনভিজ্ঞতার আশ্রয়ে কাজ হতে পলায়ন বা শিক্ষার্জনের প্রতি লজ্জা কখনো আসবেনা।
~যখনি আমাদের অনুজরা হবি হিসেবে গার্ডেনিং ছাড়া অন্য বিষয়েও প্রবন্ধ লিখতে পারবে, এইম ইন লাইফে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই ছাড়া নিজের স্বাধীন ইচ্ছানুযায়ী লিখতে পারবে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, আমি এভারেস্ট জয় করতে চাই, আমি ল্যাম্বো ফেরারির মতো সুপারকার বানাতে চাই, আমি নিউটন আইন্সটাইন জামাল-নজরুলের মতো সায়েন্টিস্ট হতে চাই, আমি নৌকায় প্রশান্ত মহাসাগর পারি দিতে চাই, আমি মানুষ হতে চাই!!! আর যেদিন এই লেখাগুলো পড়ে আমরা না হেসে তার মনের অপ্রকাশিত সুপ্ত ইচ্ছা বাস্তবায়নে তাকে সব সময়ে সাহায্য করতে পারবো তখন বুঝতে পারবো আমরা জাতি গঠনের সঠিক পন্থা অবলম্বন করতে পেরেছি।
~অন্যথায় জনৈক ব্যক্তির মতো আমাকেও বলতে হবে, 'আজকে অফিসে যাওয়ার সময় অনেক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার উকিল ব্যারিস্টার টিচার দেখেছি কিন্তু একটি মানুষ ও দেখলাম না!'
নাটকঃ গোল্ডেন এ+ সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ রইলো।
বিঃদ্রঃ এটা নাটকের রিভিউ নয়। নাটকটা দেখার সাথে সাথে অপ্রকাশিত, বিবেকের কৌটায় বন্দী সুপ্ত কিছু বাক্য প্রকাশ করলাম, এই যা!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৯