~ফোরডব্লিউডির গাড়ি রাস্তায় পার্ক করে হকার থেকে একটা সিগারেট কিনে এক রেশ টান দিয়ে আকাশের দিকে ধোঁয়া নিক্ষেপ করলো। তৃপ্তি আসেনি, আরো একটান, তারপর আরেকটা। তিন টান দেওয়ার পর গাড়ির পিছনের দরজা খুলে ভিতরে বসা কোনো একজনের সাথে কিছু একটা বলে এবার উইন্ডশিল্ডে হাত রেখে আরেক টান। হ্যাঁ, এটাই জীবন...
আজকে সন্ধ্যা সারে পাঁচটার দিকে প্রিয়াঙ্গনের সামনে সিগন্যালে বাস দাঁড়িয়েছিলো জ্যামে বসে লক্ষ্য করছিলাম একজনের কার্যকলাপ। বলছিলাম একজনের সিগারেট ফুকার পাবলিক বিহেভিয়ারেল সাইকোলজি নিয়ে। উনি সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। বাহিনীর গাড়ি পার্ক করে রেখে, ইউনিফর্ম পরে পাবলিক প্লেসে এভাবে সিগারেট ফুকতে দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে আইন পালন করা কিংবা আইনের প্রতি কতটুকু শ্রদ্ধাবোধ অবশিষ্ট থাকবে সেটাই এখন প্রশ্ন!
~বিষয়টা নোট করতেছিলাম বাসায় ফেরার পথে কলাবাগানের জ্যামে বসে। মাঝে মাঝে অন্যমনস্ক হয়ে জানালা দিয়ে কৃত্রিম সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করি। মা- মেয়ে রিক্সায় বসে আছে; কথা বলছে। হয়তো জ্যামের তিক্ততা থেকে মুখ ফিরাতে! কেউ কিছু লক্ষ্য করার আগেই ঈগলের মতো ছোঁ মেরে কেউ একজন মায়ের গলার চেইনটা নিয়ে উধাও হয়ে গেলো। চোখের পলক পড়ার পূর্বেই বিপরীত পাশের চলন্ত রাস্তা অতিক্রম করে লোকচক্ষুর আড়াল হয়ে গেলো। ছেলেটা মধ্যবয়সী ছিলো।
আশে পাশে কোনো হইচই নেই শুধু মায়ের করুণ হৃদয় থেকে উদগীরিত চেপে ধরা আর্তনাদ ছাড়া! দু'একজন নিজের হাতে থাকা মোবাইলটায় আরেকবার চোখ বুলালো। নাহ, তাদের মোবাইল খোয়া যায় নাই। কারোর কোনো ব্যাগ ও গায়েব হয় নাই। পাবলিক এখন সেটিস্ফাইড!
~ইব্রাহীম আইকে।
১০/০২/২০২০ ইং।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭