~চলার পথে এখন অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক দেখা যায়। কারোর মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক বা কারোর মুখে ফুটপাথে পাওয়া নর্মাল মাস্ক। উদ্দেশ্য সবার একটাই, ধুলাবালি থেকে নিজেকে রক্ষা করা। ধুলাবালির শহর হিসেবে ঢাকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের পর থেকেই মানুষের মধ্যে এখন সচেতনতাবোধ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ সচেতন হচ্ছে, নিজের জীবনটাকে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু এতো সবের আড়ালে অপরাধ করার রাস্তা আমরা নিজেরাই তৈরি করে দিচ্ছি নাতো!
~হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, আদালত সব জায়গায় এখন মাস্কের ছড়াছড়ি। ফেইস হলো মানুষের প্রথম এবং প্রধান আইডেন্টিটি। মানুষ যখন সেটাকে হাইড করে যে কোনো জায়গায় প্রবেশের অনুমতি পাবে তখন তার দ্বারা যে কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে। অনেক ব্যাংকে দেখ যাচ্ছে মাস্ক পরে প্রবেশ করলে চাইলে সিকিউরিটি গার্ড বাধা দিচ্ছে, বায়ু দূষণের অজুহাতে পাবলিক যখন মাস্ক খুলতে চাচ্ছে না তখন সিকিউরিটি গার্ডের কিছু করার থাকছে না। এই সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে ব্যাংক রোবারির হার যে বেড়ে যাবে না, কিংবা এটিএম বুথে অসৎ মানুষের বাধাহীন প্রবেশ বৃদ্ধি পাবে না সেটা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অনুরূপভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ডিয়ানরা প্রবেশের সময় ও মাস্ক ব্যবহার করছে সাথে স্টুডেন্টরাও। এতে করে গার্ডিয়ান ছদ্মবেশে কিডন্যাপিং যে বেড়ে যাবে না সেই সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতাল, অফিস- আদালত, রাস্তাঘাটসহ পাবলিক প্লেসে চুরি-ছিনতাই এর মাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
~ধরা পরার ভয়ে কিংবা পরিচয় প্রকাশ হওয়ার আশংকায় সিসি ক্যামেরা থাকলে তার এরিয়াতে চুরি ছিনিতাই একটু কম হয়। মাস্ক পরার অবাধ অনুমতির কারণে এখন কেউ আর সিসি ক্যামেরাকেও তোয়াক্কা করবে না।
~মাস্ক পরে ফুসফুস ক্যান্সার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও যে কোনো অপরাধের ভিক্টিম হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারছি তো! প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়!
~কর্তৃপক্ষের ভরসায় সবসময় থাকলে হবেনা। অপরাধের মাত্রা বেড়ে গেলে সেটাকে কর্তৃপক্ষ আমলে নেয় কিন্তু ইতোপূর্বে ক্ষতি যা হওয়ার সেটাতো হয়েই যায়। সচেতন হতে হবে নিজেকে। নিজেকে রক্ষা করতে হবে নিজেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৪