দেওবন্দ গুরু মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর ব্যবহারকৃত একটা লক্বব বা টাইটেল ছিল ‘হাকীমুল উম্মত’। এ লক্ববটি মহান আল্লাহ পাক উনার লক্বব মুবারক। যার অর্থ হচ্ছে ‘উম্মতের বিচারক’।
আবার থানভীর আরো একটা টাইটেল হচ্ছে মাওলানা (মূলত মাদ্রাসার টাইটেল পাশ করলে এই লক্বব পাওয়া যায়)। অথচ এই ‘মাওলানা’ লক্বব মুবারককে স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি নিজেকেই উল্লেখ করেছেন সূরা বাক্বারার শেষ (২৮৬ নং) আয়াত শরীফ-এ।
দেওবন্দ মূর্খদের দাতভাঙ্গা জবাব:
হাবীবুল্লাহ লক্বব মুবারক: হাবীবুল্লাহ লক্বব মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লক্বব মুবারক হলেও তিনি অনেককেই এ লক্বব মুবরক দান করেছেন। যেমন: হাদীস শরীফ এ আছে “সখিহ (দানশীল) ব্যক্তি হাবীবুল্লাহ (আল্লাহ পাক উনার বন্ধু)। যারা জ্ঞানী তারা জানবেন, ইতিহাসে আছে আজমীরী শরীফ এ শায়িত হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহি আল্ইাহি উনারও লক্বব মুবারক হচ্ছে ‘হাবীবুল্লাহ’। এছাড়া হযরত যুননুন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারও লক্বব মুবারক হচ্ছে ‘হাবীবুল্লাহ’। (জীবনী গ্রন্থ)
ক্যাইয়ি্যুমুয যামান লক্বব মুবারক: হিরহিন্দ শরীফ- এ শায়িত হযরত মুযাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি’ উনার একই লক্বব মুবারক। এছাড়া উনার ছেলে হযরত মাসুম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারও একই লক্বব মুবারক। (জীবনী গ্রন্থ)
ইমামুস সিদ্দিকীন: ‘ইমামুস সিদ্দিকিন’ লক্বব মুবারক হচ্ছে হানাফি মাহযাবের ইমাম হযরত ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটি লক্বব। সূরা তওবায় সে ছ¦দিকিনগণ উনাদের সঙ্গী হতে বলা হয়েছে, সেই ছ¦দিকিনগণ উনাদের ইমামকেই ইমামুস সিদ্দিকিন বলা হয়। (জীবনী গ্রন্থ)
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
* এই লক্বব মুবারকগুলো তাসাউফ সম্পর্কিত লক্বব মুবারক, যাদের এই সম্পর্কে জ্ঞান নেই তারা বুঝবে না।
* হাদীস শরীফ উনার মধ্যে আছে প্রত্যেক যামানায় ৭ জন ওলী আল্লাহ থাকবেন, “নিশ্চয়ই প্রত্যেক জামানায় ৭ জন আল্লাহ পাক উনার ওলী থাকবেন, উনাদের উছিলায় ঐ যামানা রহমতপ্রাপ্ত হবে, বৃষ্টি প্রাপ্ত হবে, রিজিকপ্রাপ্ত হবে, বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাবে।” (আবু দাউদ শরীফ)
* “নিশ্চয়ই প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুযাদ্দিদ (সংস্কারক) আসবেন, তিনি ঐ যামানায় সকল বিদআত বেশরা তাজদীদের মাধ্যমে মিটিয়ে দিবেন” (আবু দাউদ শরীফ)
* যারা হাদীস শরীফ অস্বীকার করে এবং বিশেষ করে মূর্খরাই এই ওলী আল্লাহগণ উনাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়। এই সকল মূর্খদের জন্য হাদীসে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে আছে, “যারা আমার ওলী (বন্ধু) উনার বিরুদ্ধাচারণ করে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি।”