ইসলাম শান্তির ধর্ম। অন্যায়ভাবে নিরপরাধ মানুষের উপর, তাদের জান-মালের উপর হামলা করা বা ক্ষতি করা ইসলাম কোনো শর্তেই সমর্থন করে না।
“যার হাত ও জবান হতে মানুষ নিরাপদ নয়, সে আমার উম্মত নয়।” (আল হাদিস)
এছাড়াও শান্তি-শৃঙ্খলার বিষয়ে পবিত্র ইসলামী শরীয়তে অনেক আদেশ নিষেধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ধর্মাশ্রয়ী মওদুদীবাদী জামাত ও তাদের সহযোগী সংগঠনটি মূলত মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসী। তারা তালেবান, আল কায়েদা এসব সংগঠনের কথিত জিহাদে অনুপ্রাণিত। এই জামাত শিবির তাদের নামের সাথে ‘ইসলামী’ পবিত্র শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। যা মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননা করার শামিল। কেননা, প্রথমতঃ এরা কোনো ইসলামী দল নয়, বরং গণতন্ত্রের অনুসারী রাজনৈতিক দল। যেটা তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে ‘আল্লাহ্-রসূল’ পবিত্র শব্দদ্বয় বাদ দেয়া থেকে প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয়তঃ এদের কার্যক্রম, আমল, আক্বীদা সম্পূর্ণরূপে অনৈসলামিক। তৃতীয়তঃ অতীতে বিভিন্ন সময়ে ও বর্তমানে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকেও স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে- এরা মূলত সন্ত্রাসবাদী। ‘ইসলাম’ শুধু তাদের কাগজে কলমে। অন্তরে যদি ইসলাম থাকতো তবে মহান আল্লাহ পাক উনার ভয় তাদের অন্তরে থাকতো, অন্যায়ভাবে মানুষের উপর হামলা করতো না, তাদের জান-মালের ক্ষতি করতো না, বোমাবাজি করতো না। এই জামাত-শিবির মূলত হচ্ছে মওদুদীবাদী. মৌলবাদী, সন্ত্রাসবাদী। তারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম'র আদর্শ অনুসরণ করে না, বরং গুমরাহ মওদুদীর আদর্শ অনুসরণ করে। মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ অনুসরণ করে। কাজেই তাদের ‘ইসলামী’ বলা যায় না, বলা উচিত নয়। সুতরাং মিডিয়া, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত বিষয়টি বিবেচনায় এনে তাদের নামের সাথে ‘ইসলামী’ শব্দটি ব্যবহার না করা। প্রয়োজনে এ পবিত্র শব্দটি তাদের নাম থেকে বাতিল করতে বাধ্য করানো উচিত।