সম্প্রতি মিতা হক নামে এক সঙ্গীতশিল্পী ঘোমটা পরা পর্দানশীন মহিলাদের কটাক্ষ করে বলেছে, ‘আজকাল বাংলাদেশে রাস্তায় বেরিয়ে, ...সেখানে আমি দেখি যে, একমাত্র আমি বাঙালি, আমি শাড়ি পরে গেছি এবং আমার মাথায় ঘোমটা নাই। কিন্তু আর যারা এতটুকু চোখ বের করে রাখছে- এতে তারা আর যাই হোক, তারা বাঙ্গালী নয়। নাউযুবিল্লাহ!
তার এসব কথা শুনে প্রশ্ন জাগলো যে, ঘোমটা দেয়ায় যদি অবাঙালি হয়; তবে বাঙালি নারী কপালে ফোটা/টিপ পরলে সে পতিতা হবেনা কেন? কেননা টিপ’র ইতিহাস কমবেশি প্রায় সবারই জানা আছে। সেটা না জানলেও অন্ততঃ জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার জন্য নমরূদের নির্মিত বিশাল অগ্নিকু- নির্মাণের ঘটনাতো সবারই জানা আছে। সেখানে নমরূদের চরকি যখন কাজ করছিল না, তখন একজন অর্থাৎ শয়তান এসে নমরূদকে জানাল যে, কয়েকজন পতিতাকে যদি এখানে উপস্থিত করে খারাপ কাজ করানো যায়, তাহলে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চলে যাবেন আর তখনই যন্ত্রটি কাজ করবে। তাই করা হলো। তারপর সেসব পতিতাদের পরে দরকার হতে পারে এই ভেবে চিহ্নিত করার জন্য তাদের কপালে টিপ লাগিয়ে দেয়া হলো। সেই থেকে কপালে টিপ পরার প্রচলন হলো। (দলীলসমূহ: তাবারী, কাসাসুল আম্বিায়, তাফসীরে ইবনে কাসীর)।
এখন ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, কপালে টিপ পরাটা বেশ্যা/পতিতার লক্ষণ। যদি তাই হয়, তাহলে টিপ পরা নারী পতিতা না হয়ে বাঙালি হয় কিভাবে?
লেখাটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত