সব বাধা দূরীভূত হয়েছে , প্রয়াত শাসকের মৃত্যুর পর বর্তমান সৌদী শাসকের মধ্যে কিছুটা ঘাটতি ছিলো মিশরের স্বৈর শাসকের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে , বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সাহায্য দেয়া হয়েছিল মিশরের জনগনের উন্নয়নের জন্য , যেটা স্বৈরশাসক সিসি বেমালুম হজম করে ফেলেছিল। বর্তমান সৌদী শাসকগুষ্টি এতে চরম ক্ষুদ্ধ হন , কিন্তু এখন তারা উপলব্ধি করছেন জনগণ হচ্ছে নাট্যা অংশের মঞ্চ পর্ব , অন্তরালের পর্ব হচ্ছে জোরকরে টিকে থাকার জন্য রাজা বাদশা হোক আর সামরিক জান্তাই হোক সবাই মিলেমিশে থাকতে হবে। এটা ঘাগু স্বৈরশাসক সিসি ভালো ভাবে জানে বলেই পুরা একবছর চুপমেরে থাকে সৌদী নীতির পরিবর্তন দেখে , সিসি ঠিক-ই জানে নুতুন শাসকরা আবার প্রয়াত আবদুল্লার লাইন-এ ফিরে আসবে। বিশ্ব দেখলো সৌদি শাহেনশার মিশর ভ্রমনে কি ঘটলো। লাল গালিচা সংবর্ধনা , ভালোভাসামাখা হাসিমুখ , সামরিক বাদক দলের বাজনা , মিডিয়ার কলকলানিতে মিশরের সামরিক জান্তা ঘোষনা করলো " আপনার ২য় বাড়িতে ঐতিহাসিক সফরে স্বাগতম " ভালো কিছু ডিল হয়ে গেলো , বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের লেনদেন মিশর ও সৌদি জনগনের কি কল্ল্যাণ বয়ে আনবে তা একমাত্র ভবিস্যয়াত-ই জানে।

মিশরের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপতি মুরসি কে তাড়ায়েছিলো গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে আরো বেগবান করার জন্য , বেকুপ মিশরীরা এখন হিসাব মিলিয়ে দেখছে আগে যা ছিলো তাও গেছে , অবস্তা এখন মুরসী নয় মোবারকের চেয়ে খারাপ। সাউদির অবস্থাও একই , ইয়ামেনের যুদ্ধ শিয়া সুন্নী জিগির তুলেও কোন কাজ নাহয়ে সিরিয়াতে গেছিলো , কিন্তু এর্দোগানের মতো পাকা খেলোয়ারের সাথে সুবিধা করতে পড়ল না তেমন। সিরিয়া নিয়ে কাতার তুরস্ক আগে থেকেই এক কোয়া , সৌদিদের মতো মতলব বাজদের টিমে রাখা যাই তবে বোলিং বেটিং এ রাখতে তারা নারাজ।

তাই দুজনে দুজনার হয়ে সৌদি মিশর আবার টিম বানালো , সিসির এ মুহুর্তে কিছু আইওয়াশ দরকার , মুরসী তাড়ায়া , লাভ হলো জঙ্গী আমদানি , শিল্প পর্যটনের বেহাল আবস্তা , বেকারত্ব , দমন নিপীড়ন সবমিলে মিসরের জঘন্য পরিবেশ বিরাজ করছে। ১৫ কিলোমিটারের লম্বা সেতু মিশরের কি উন্নয়ন বয়ে আনবে তা বুঝার জন্য অর্থনীতির ছাত্র হওয়া লাগেনা , সিনাই নিয়া ইসরাইলের সাথে মিশরের এমনি বেজাল আছে , ক্যাম্প ডেবিড চুক্তি অনুযায়ী সিনাই তে সেনা চলাচল ও মোতায়ন মানা , আর জঙ্গী সমৃদ্ধ সিনাই এ ২০ বিলিয়ন ডলারের এই বিশাল কর্মকান্ডের জন্য সেনা নিরাপত্তা মোতায়ন অপরিহার্য , ইসরাইল এখানে একটি অনুঘটক , তাই সেতুর ভবিষ্যত সম্পর্কে ভবিষ্যত -ই বলতে পারবে। এর আগে ইসরাইল মুবারক কে বুঝিয়েছিল এধরনের সেতু সিনাই পর্যটনের ক্ষতি হবে, আসলে ইসরাইলের ভয় ছিলো আরব অস্ত্রের চালান সহজেই মিসরে নেয়া যাবে এ সেতু দিয়ে , এখন ইসরাইল সরকারিভাবে নিরব , তবে ওদের মিডিয়াতে বেশ শোরগোল হচ্ছে এটা নিয়ে। যদিও অস্ত্রের চালানের সাথে জঙ্গী চালানেরও ভয় বর্তমানের এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আর সেটা সৌদির সাথে যেটাকে পশ্চিমা বিশ্ব জঙ্গিদের আতুর ঘর মনে করে।

এরদোগান তথা তুরস্কের বর্তমান নেতাদের মতো পরিপক্ক কুটনৈতিক পক্ষ ছেড়ে মিশরকে নিয়ে সৌদির এ মাতামাতি হয়ত সৌদিকে আবার আব্দুল্লাহ শাসন আমলের মতো খেজুরগাছ একটি রাষ্ট্রে নিয়ে যাবে, যেখানে গত একবছরে সৌদি ভাবমূর্তি কিছুটা বেড়েছিল রানিং মেট হিসাবে কাতার তুরস্কের সাথে থাকার কারণে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



