১। ব্রাজিলের আলভারেজ গাভী দোহনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তো ২০০৬ এর অস্ট্র্রেলিয়ার বিশ্ব দোহন প্রতিযোগিতায় তাকে আমন্ত্রণ জানানো হল। বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রতিযোগিরা ভিড় জমিয়েছেন সিডনিতে। দেখা গেল হল্যান্ডের কেসলার আধা ঘণ্টায় ১০ লিটার দুধ দুইয়ে ফেললেন! রাশিয়ার হোগামভ ১০ মিনিটে একই পরিমাণ দোহন করে চমক দেখালেন। সবশেষে আলভারেজের পালা। খুব গর্ব নিয়ে সে ঢুকে যায় গোয়ালে। কিন্তু ১০ মিনিট, ২০ মিনিট, ৩০ মিনিট পার হয়ে যায়, আলভারেজের দেখা নেই। তারপর প্রায় পৌনে দুঘণ্টা পরে তাকে দেখা গেল আধা গেলাস দুধ হাতে বের হতে। উপস্থিত জনতা তো মহা হতাশ! বিশ্বচ্যাম্পিয়নের একি হাল! উৎসুক সাংবাদিক চুপ থাকতে না পেরে জানতে চাইলেন, ঘটনা কী হে? দাঁত খিচিয়ে আলভারেজ বলে, কি করব কন? আমারে তো দিছে একটা ষাঁড়!
২। এক জাপানি ভ্রমণে এসেছেন বাংলাদেশ। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে সামনে অপেক্ষারত ট্যাক্সিতে উঠে বসলেন হোটেলে যাওয়ার জন্য।
একটু পরে একটা হোন্ডা পাশ কাটাতেই জাপানিটা বলে উঠল, হোন্ডা, মেড ইন জাপান, ভেরি ফাস্ট! ড্রাইভার কিছু বলল না। একটু পর আরেকটি কার ওভারটেক করতেই জাপানির চিৎকার। টয়োটা! হা, হা, মেড ইন জাপান, ভেরি ফাস্ট! ট্যাক্সিড্রাইভার চুপচাপ শুনল, কিছু বলল না। এরপর একটার পর একটা গাড়ি পেছন থেকে উঠে যাচ্ছে আর জাপানি লোকটার উৎসাহ বেড়ে যাচ্ছে; কখনও মিৎসুবিশি, কখনও হোন্ডা, কখনও টয়োটা বলে লাফাচ্ছে আর মনের আনন্দে গুণকীর্তন করছে_মেড ইন জাপান, ভেরি ফাস্ট। ভেরি ফাস্ট! অবশেষে, হোটেলে পেঁৗছল তারা। ক্যাব থেকে নেমে ভাড়া দিতে গিয়ে টাস্কি। এইট হান্ড্রেড টাকা। হাউ কাম? এতক্ষণ চুপ থাকার পর কথা বলার চান্স পেয়েছে ট্যাক্সিড্রাইভার_ হা হা, ইয়ে, মিটার, মেড ইন বাংলাদেশ, ভেরি ফাস্ট, ভেরি ফাস্ট!
৩। কম্পিউটারে ওস্তাদ এক শিশুকে তার মা বিজ্ঞান পড়াচ্ছেন, ‘পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর একবার ঘুরতে সময় নেয় ২৪ ঘণ্টা।’
: এত সময়নেয়? পৃথিবী নিজেকে এখনো আপগ্রেড করছে না কেন?