আসুন দেখা যাক কিভাবে আজেবাজে চিন্তা ভাবনা না করে , আলতু ফালতু বিষয়ে ব্লগে যুদ্ধ না করে কোয়ালিটি টাইম কিলিং করা যায়
অবসরে আগে বই পড়তাম, তবে এখন মূলত সিনেমা আর টিভি সিরিয়াল গুলো দেখি।
এক সময় যা পেতাম তাই খেতাম (দেখতাম আরকি), কিন্তু এভাবে চললে আসলে দেখার জিনিষের অভাব নাই তাই
এখন বেশ বাছ-বিচার করে দেখি।
১। টিভি সিরিয়াল আর মুভি: দ্যা এক্স ফাইল
"The Truth Is Out There,"
"I Want to Believe,"
মুভি নামানোর আগে প্রথমেই দেখে নিই আই এম ডি বি আর রটেন টম্যাটোর রেটিং আর রিভিউ, আমার কাছে রটেন টম্যাটো কে আই এম ডি বির চাইতে বেশি রিলায়েবল মনে হয়
টিভি সিরিয়াল গুলোর মধ্যে আমার প্রথম পছন্দ "দ্যা এক্স ফাইলস"।
প্রায় এক দশক ধরে চলা ( ৯৩-০২) এই টিভি সিরিয়ালের ক্রিয়েটর-প্রোডিউসার লিজেন্ডারি ক্রিস কার্টার।
সিরিয়ালটি পছন্দ করার কিছু দারুন কারন আছে।
ই টি বা ভিন গ্রহের বুদ্ধিমত্তায় আমাদের চাইতে অনেক এগিয়ে থাকা প্রানী রা পৃথিবীতে এসে গেছে , তারা পৃথিবীতে কলোনী স্হাপন করতে চায়, আর আমেরিকান সরকার চায় তাদের কাছ থেকে উন্নততর প্রযুক্তি।
এরিয়া ফিফটি-ওয়ান, এলিয়েন প্রযুক্তি, এলিয়েন-হিউমেন হাইব্রিড , এলিয়েন দের এয়ারক্রাফট এই সব নিয়ে দারুন সব কনসেপ্ট এ ঠাসা এই কিভি সিরিজে কিন্তু অতিপ্রাকৃত অনেক কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে হয়েছে।
আমেরিকার বিভিন্ন আরবান লিজেন্ড, মিথ এর সাথে কনসারভেশন অফ লাক ( ভাগ্যের সংরক্ষণ সূত্র!!!) , মানুষের শরীরে আরেকটা ভিন্ন সত্তা তৈরী হওয়া, আমেরিকার কিছু আদিবাসী কিংবা গুপ্ত গোষ্ঠী র কার্যকলাপ, মানুষের ব্যাখ্যাতীত ক্ষমতা এই সব দারূন সব আইডিয়া নিয়ে বানানো এই সাই-ফাই সিরিয়ালটি।এক্সফাইলের প্রতিটা পর্বই দেখার মত।
কমপিউটার হ্যাকিং,টাইম ট্রাভেলিং, মিথোলজি ,ল্যাজারাস, দারুন সব মেটা ফিজিক্সের থিওরি এটাকে শুধু একটি টিভি সিরিয়ালের ও উপরে নিয়ে গেছে।
আর সবার উপরে আছে এক গাদা দারুন কন্সপাইরেসি থিওরী, আমেরিকানদের ( ফিফথ সিসন পর্যন্ত কানাডায় চিত্রায়িত) প্রোডাকশন বলেই হয়তো বানানো সম্ভব হয়েছে।
বোনাস হিসেবে আছে ক্যামেরা , পরিচালনা আর দারুন অভিনয়।
আরো একটা ব্যাপার হল , ক্যামেরার কাজ আর পরিচালনার অনেক ক্ষেত্রেই বিখ্যাত নির্মাতাদের স্টাইল অনুসরন করা হয়েছে।
যেমন একটা পর্ব পুরো ই আলফ্রেড হিচককের সম্মানে তার ধাচে নির্মিত ।
ডাক্টারী পড়া স্কালি আর অক্সফোর্ডের মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ফক্স মোল্ডার সিরিয়াল টির প্রধান দুটি চরিত্র। ডেভিড ডুকভনির অভিনয় মনে রাছার মত, আর স্কালি কিন্তু নায়িকা নয়, নারী চরিত্র হলেও এর একটি শক্ত ভিত্তি আছে, নায়িকা বললাম না কারন স্কালির চরিত্রে গ্ল্যামার চড়িয়ে দর্শক টানার শস্তা চেষ্টা করে হয়নি এতে।
মোল্ডার চলে যাবার পর আর দেখতে অবশ্য তেমন ভালো লাগে না যদিও শেষের দুই সিসনেও বেশ কয়েকটি ভালো পর্ব আছে।
নয়টি সিসন , সময় কাটানোর জন্যে কিন্তু ভালোই।
ও আরেকটি ব্যাপার , দ্যা লোন গান মেন, বিদ্রোহী হ্যাকারদের একটি সংঘ, তাদের প্রধান লক্ষ্য দেশের মানুষের সার্থে কাজ করা।
এরা সে সময় এতই জনপ্রিয়তা পায় যে ক্রিস এদের নিয়ে আরেকটি সিরিয়াল বানানো শুরু করেন, ভালোই চলছিলো,
তবে ২০০১ এর "মার্চে" এর পাইলট বা প্রথম পর্বে দেখানো হয় একটি এয়ার ক্রাফটের অটো পাইলটিং সিস্টেম কে সন্ত্রাসীরা রিমোট কন্ট্রোল করে টুইন টাওয়ারে আঘাত হানার চেষ্টা করে যা
হ্যাকারদের একজন জন বায়ার আর তার বাবা ঠেকিয়ে দেয়।
কয়েকটি পর্ব ( নির্মিত হয়েছিলো ১২ টি) প্রচারিত হবার পর রহস্যময় কারনে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
***বাই দ্যা ওয়ে থ্যাংকস টু রিশাদ
**( ছবি নেট থেকে সংগ্রহিত, তথ্য দি গ্রেট রিশাদ ,উইকি, আই এম ডি বি , এক্স ফাইলসের বিভিন্ন ফ্যান পেইজ থেকে নেয়া )