নেপোলিয়ন বলেছিল,"আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও,আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব!"
কথাটি কিন্তু তিনি পুরোপুরি সত্যই বলেছেন!একজন শিক্ষিত মা-ই পারেন তার সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে!আমরা বর্তমানে পুস্তক অধ্যয়ন করে একটা ডিগ্রী অর্জন করাকেই শিক্ষিত হিসেবে অভিহিত করি!ডিগ্রী অর্জন করা আর শিক্ষিত হওয়া এক জিনিস নয়!ডিগ্রীর অর্জনে অধিকাংশক্ষেত্রে হয়তো বা মেধার বিকাশ ঘটে!মেধার বিকাশ ঘটার পাশাপাশি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মানসিক বিকাশ ঘটা!মেধা আর মানসিক বিকাশ একটা সমাজের কিংবা একটা রাষ্ট্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে!সেজন্য একজন শিক্ষিত মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম!একজন সন্তানের প্রাথমিকভাবে মানসিক বিকাশ ঘটে পরিবার থেকে!আর এইক্ষেত্রে একজন শিক্ষিত আদর্শবান মা-ই মুখ্য ভূমিকা পালন করে!
আমরা জাতি হিসেবে এখন অনেক শিক্ষিত!মেধার ক্রমবর্ধমান বিকাশে আমরা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছি!কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় হচ্ছে আমাদের মানসিক বিকাশ কতটুকু ঘটেছে!অনেকক্ষেত্রে আমরা শিক্ষিতের সাথে সাথে মানসিক বিকারগ্রস্তও হয়ে পড়ছি!মানসিক বিকাশ মানেই হচ্ছে ভাল-মন্দ,সত্য-মিথ্যা সুনিপুনভাবে যাচাই করতে পারা!আমরা কতটুকু প্রকৃত শিক্ষিত হতে পেরেছি সেটা আমাদেরই নির্ধারন করতে হবে!
আমরা অনেকেই উগান্ডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম গোলাপীকে(ছদ্ম নাম) চিনি!তিনি অতটা পড়াশোনা করেন নি!অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন! সেজন্য তিনি তার সন্তাদেরও বেশি পড়াশোনা করাতে পারেন নি!তার বড় ছেলেটা ইন্টার পাশ করলেও ডিগ্রী অর্জন করতে পারে নি!পড়ালেখা কম থাকা/প্রকৃতশিক্ষার অভাব থাকার দরুন উগান্ডা কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল!তার ছেলের সীমাহীন দুর্নীতির কারনে তার ছেলে সেখানে "দুর্নীতির বরপুত্র" নামেও পরিচিত!এখনও উগান্ডায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অনেক জনপ্রিয়তা আছে!তার দলের নেতা-কর্মী,সাপোর্টাররা অনেকেই শিক্ষিত হলেও তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে নি!তাই তারা ঐ দুর্নীতিকে এখনও সাপোর্ট করছে!তারা দুই চোখেই দেখে কিন্তু বিচার করে এক চোখে!আর আমি টিনের চশমা পড়লেও কানা না!সবই দেখি!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭