somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি টিনের চশমা পড়লেও কানা না!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নেপোলিয়ন বলেছিল,"আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও,আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব!"

কথাটি কিন্তু তিনি পুরোপুরি সত্যই বলেছেন!একজন শিক্ষিত মা-ই পারেন তার সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে!আমরা বর্তমানে পুস্তক অধ্যয়ন করে একটা ডিগ্রী অর্জন করাকেই শিক্ষিত হিসেবে অভিহিত করি!ডিগ্রী অর্জন করা আর শিক্ষিত হওয়া এক জিনিস নয়!ডিগ্রীর অর্জনে অধিকাংশক্ষেত্রে হয়তো বা মেধার বিকাশ ঘটে!মেধার বিকাশ ঘটার পাশাপাশি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মানসিক বিকাশ ঘটা!মেধা আর মানসিক বিকাশ একটা সমাজের কিংবা একটা রাষ্ট্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে!সেজন্য একজন শিক্ষিত মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম!একজন সন্তানের প্রাথমিকভাবে মানসিক বিকাশ ঘটে পরিবার থেকে!আর এইক্ষেত্রে একজন শিক্ষিত আদর্শবান মা-ই মুখ্য ভূমিকা পালন করে!

আমরা জাতি হিসেবে এখন অনেক শিক্ষিত!মেধার ক্রমবর্ধমান বিকাশে আমরা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছি!কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় হচ্ছে আমাদের মানসিক বিকাশ কতটুকু ঘটেছে!অনেকক্ষেত্রে আমরা শিক্ষিতের সাথে সাথে মানসিক বিকারগ্রস্তও হয়ে পড়ছি!মানসিক বিকাশ মানেই হচ্ছে ভাল-মন্দ,সত্য-মিথ্যা সুনিপুনভাবে যাচাই করতে পারা!আমরা কতটুকু প্রকৃত শিক্ষিত হতে পেরেছি সেটা আমাদেরই নির্ধারন করতে হবে!

আমরা অনেকেই উগান্ডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম গোলাপীকে(ছদ্ম নাম) চিনি!তিনি অতটা পড়াশোনা করেন নি!অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন! সেজন্য তিনি তার সন্তাদেরও বেশি পড়াশোনা করাতে পারেন নি!তার বড় ছেলেটা ইন্টার পাশ করলেও ডিগ্রী অর্জন করতে পারে নি!পড়ালেখা কম থাকা/প্রকৃতশিক্ষার অভাব থাকার দরুন উগান্ডা কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল!তার ছেলের সীমাহীন দুর্নীতির কারনে তার ছেলে সেখানে "দুর্নীতির বরপুত্র" নামেও পরিচিত!এখনও উগান্ডায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অনেক জনপ্রিয়তা আছে!তার দলের নেতা-কর্মী,সাপোর্টাররা অনেকেই শিক্ষিত হলেও তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে নি!তাই তারা ঐ দুর্নীতিকে এখনও সাপোর্ট করছে!তারা দুই চোখেই দেখে কিন্তু বিচার করে এক চোখে!আর আমি টিনের চশমা পড়লেও কানা না!সবই দেখি!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×