তাকে তুমি কোথায় রাখবে শূন্যতায়
ছায়াশরীর, যখন সকল বিভ্রম মনে হয়?
আমাদের হাড়ের গভীরে ঢুকে যাচ্ছে বিরান
কাঁচের দেয়ালে মরচে, নৈ:শব্দ্যে ভাসছে ডুবোশহর,
একটা কবিতার লাইন আসছে না বহুকাল
এমনটা হয়ে গেল আমাদের যৌথ বিজন-বাস।
কলিংবেলের তার কেটে স্বস্তি পাচ্ছে না কেউ
পানির পাইপ বেয়ে উঠে আসছে মাকড়সার জাল
এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সদ্য-বাজারের ব্যস্ততা
এবং অগণন বিনীত সময় তারা অপেক্ষায় থেকেছে
রেললাইন দেখা হয় না অনেকদিন, ট্রেনের হুইসেল
বেহালার সুর আর বাড়ির ছাদ আর জোছনায় লঞ্চের ডেক,
সবই সব অদ্ভুত ভূত!
ছোটবেলার খাটের নিচে লুকায়ে গেছে-
বড়বেলার গোপন প্রেমিকা, শীতের বিকেলে মাঠে
স্বচ্ছ গেলাসে বাতাসের ঘ্রাণচুরি অভিযান শেষে
সন্ধ্যায় জিলাপির কড়াইতে আটকে থাকা গল্প-
গরম তেলে ভাজা হয়ে ফুরিয়ে যায় তালপাতায়,
ভোরবেলা ঘুম ভেঙে ধবল ক্ষীরে ডুবে থাকা কিশমিশ
নীল জামা ইশকুল বন্ধু'র মুখ
বৃষ্টিতে হেঁটে হেঁটে আমরা এমনটা বড় হয়ে যাই....
অজস্র প্রলাপের তোড়ে ভেসে ওঠে স্মৃতির শ্যাম্পেন,
পথে পথে পাপড়ি বিছিয়ে
বিকাল বেলায় আমরা খুঁজেছি মাঠের সীমানা, নদী-প্রান্ত, বুকভরা দীঘি
প্রিয়তম ভূমি, যশোহর-
এখানে আমাদের ছায়ারা টুকরো হয়ে পড়ে আছে....