বড়সড় চেহারার কাবুলিরা দৃষ্টিনন্দন। তবে যেন আমার পাওনাদার না হয়। সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা যারা পড়েছেন দেশেবিদেশে, কাবুলিদের মত বন্ধু লাজবাব। পাওনাদার হানাদার হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। গালী, কিলচড়, কানমলা, অন্যতর নিপীড়ণ প্রকাশ্যে ভদ্্রলোকের কানকাটা যায়। সুদের হার ঠিক এখন কত? মাসিক 10এর নিচে নয়।
স্বজাতি মহাজনরা সংখ্যায় প্রচুর। এদের দৌরাত্ম দেশের আইন দিয়ে কিছুটা রোখার চেষ্টা হয়েছে। মানুষের ভোগ বাসনা ভয়ঙ্কর। তায় আবার প্রিয়জনের অসুখবিসুখ মহাজনদের সাদা কাগজে টিপ দিয়ে নিতেই হয়, মাসিক 6 শতাংশের নিচে নয়। সুরুতে ক্রেডিট কার্ডশেষে কাবুলি।এতো গেলো ভোগে যাওয়া মানুষের কথা।
করিতকর্মা উদ্যোগী মানুষ যারা ব্যবসা করতে সচেষ্ট, মূলধন যথেষ্ট না থাকায় সুরু করতে অসুবিধে, তাদের জন্য ভেনচার ফান্ডরা আছে। ওটা বেশ লাভজনক ব্যবসা, ঠিক সুদের কারবার নয়।তবে ওদের মাঝারি থেকে বড় প্রোজেক্টের দিকে লক্ষ্য। ছোটদের নিয়ে পরতায় আসে না।
ক্ষুদ্্র তথা দরিদ্্র মানুষদের উদ্যোগকে সাহায্য করতে দয়া করে অনেকেই এগিয়েছেন। দান দয়া দাতার পূণ্য বাড়ায়, গ্রহীতা অপূর্ণই থেকে যায়। দান শুকিয়ে যায়। ক্ষুদ্্র চাষীর চাষের জন্য মহাজনের কাছে যায়, প্রকৃতি ও বাজার অনুকুল হলে শোধ হয় নয়তো সুদে অসলে গলায় দড়ি।
নোবল ইউনুস এবং আরও অনেকে সাসটেনেবল বিজনেস মডেল তৈরি করেছেন বা করছেন বা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে যা দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উপায় ক্ষুদ্্র উদ্যোগিরা মহাজনদের কাছে না গিয়ে ধার পান। প্রতিষ্ঠান থাকলে ছোট ধার কারবারটাকে অনেকটা আইনি করা যাবে।
মহাজন ও ফোড়ে-দালাল বাজার ব্যবস্তায় অবশ্য অঙ্গ। প্রতিষ্ঠাণ এই কাজগুলো অনেকটা করলে কিছু ব্যক্তির দৌরাত্ম অনেকটাই কমবে। তা ছাড়া মনে হয় ইকনমি অফ স্কেলের সুফল পাওয় যেতে পারে। গ্রাহক, চাষী এবং ক্ষুদ্্র প্রস্তুতকারকের অনেক সুবিধে মনে হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



