somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Lucius Apuleius(Metamorphoses of Apuleius)- The Golden Ass(ধারাবাহিক) অনুবাদ

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লুসিয়াসের রুপান্ত্রর-ষষ্ঠ অধ্যায়



ডাকাতের দূর্গ

ডাকাতরা বাইরের খুঁটিতে আমাকে আর আমার ঘোড়াকে বেঁধে-হৈচৈ করতে করতে এক এক করে সবাই ভেতরে ঢুকলো।

একজন চীৎকার করে বললো-‘বুড়ী,এই বূড়ী মরে গেলি নাকি,পড়ে আছিস কোথায়’?
আরেকজন বললো-‘কেন বলছ,বেচারীকে,মরা বুড়ী’?
‘মরা বুড়ী ছাড়া কি বলবো ওটাকে?দেখ না,মরার মত ঘুমাচ্ছে না কোথাও,দেখ?আরে ভাল কিছু একটা রান্না করে রাখবে,তা না শুধু ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সময় কাটাচ্ছে।সারাটা দিন বসে বসে ঐ খসখসে গলায় মদ গেলা,মদগুলো তো এ ভাবেই শেষ হচ্ছে’।

বেশ দুঃখ করেই বয়স্কা মহিলা বললো-‘না না চিন্তা করো না,আমার ক্লান্ত যোদ্ধারা,মাংস রান্না করা আছে,সবজীর ঝোল আছে,গেলাসগুলো ধুয়েমুছে পরিষ্কারও করা আছে,মদের ও কমতি নেই,তোমাদের ইচ্ছে মত খাওয়ার জন্যে।আর গরম পানি ও তৈরী,তোমাদের হাতমুখ ধোঁয়া মোছার জন্যে’।

ডাকাতরা কাপড়চোপড় খুলে একে একে শুরু করলো-গরম পানি দিয়ে ধোঁয়ামোছা।তারপর কিছুটা সুগন্ধি তেল মেখে সবাই ছুটলো খাবারের টেবিলে।নানান ধরণের খাবার ছিল টেবিলে।এর মাঝে হৈচৈ করে ঢুকলো আরেক দল ডাকাত-তাদের সাথে লুট করে আনা জিনিষপত্র।নানান ধরনের অলঙ্কার,দামী দামী পোষাক।
খাবারের টেবিলের মদ,মাংস,মাছ কোনটার কমতি ছিল না।প্রথমে খাওয়া দাওয়া নিয়ে কাড়াকাড়ি,তারপর নানান ধরনের যৌনতার হাসিঠাট্টা গল্পে মত্ত হয়ে পড়লো সবাই-অনেকটা মনে করিয়ে দিল আমাকে পিরিথোয়াসের বিয়ের অনুষ্ঠানে লাপিথ,কানাটুর দের খাবারের ঝগড়ার কথা।

দেখতে দলের নেতার মত একজন গম্ভীর গলায় বললো-‘টেবিলের এপাশে বসা এই সাহসী দলের প্রশংসা না করে পারছি না,মিলোর বাসা আক্রমন করে লুটপাট করাটা ছিল অতুলনীয়
সাহস আর বুদ্ধির প্রকাশ।টাকাপয়সা,গহনা,দামী দামী পোষাক আনেনি শুধু তারা,আমাদের কারও কোন শারীরিক ক্ষতি হয়নি,একজন যোদ্ধাও হারায়নি আমরা।কিন্ত বোহেমিয়া থেকে যারা ঘুরে আসলো,তাদের ব্যার্থতার কথাটা না বললেই নয়,লুঠ তো তেমন কিছু একটা আনেইনি,বরং আমরা হারালাম আমাদের বেশ কজন সঙ্গী।লামাকাস-ঐ দলের নেতা,আমাদের এ দলের সাফল্যের ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিল যে,তাকেও এভাবে হারালাম আমরাা।এ ধরনের ব্যার্থতা যদি চলতে থাকে তবে আমাদের শেষ হতে আর খুব একটা বেশী সময় লাগবে না।আশা করি এখানে যেন শেষ হয় এ ধরণের ঘটনা ভবিষ্যৎএ সহ্য করা হবে না আর,এ রকমের ভুল’।

আরেকজন দাঁড়িয়ে বললো-‘লামাকাসের সাহসের প্রশংসা না করে পারছি না -তার বীরসুলভ মনোভাবের জন্যেই বেঁচে আছি আমরা এ দলের অনেকের।পৃথিবীর ইতিহাসে লামাকাসের নাম লেখা থাকবে বীর সৈনিক-সেনাপতি-রাজাদের পাশে’।
‘খুব সুন্দর বলেছ-কিন্ত আমাদের ভুলে গেলে চলবে না,শুধু সরকারি গোসলখানা,আরামের মালিশ,বেশ্যাদের সাথে খেলা করলেই আমাদের কাজের দায়িত্ব শেষ হয় না,কাজের জন্য একটা পরিকল্পনা,দরকার যাও’।

বেশ রাগ করেই উত্তর দিল,নেতার মত লোকটা-‘তোমরা একটা গাধার দল,এত দিন পরেও তোমরা জানো না,বড় বাড়িতে ডাকাতি করা অনেক সহজ,ছোট খাট যে কোন বাড়ীর চেয়ে।বড় বাড়ীতে থাকে অনেক কাজের লোক,তবে কাঁরও যেন কোন দায়দায়িত্ব নেই।ছোট খাট বাড়ির মালিকেরা তাদের গহনা পত্র,দামী জিনিষ লুকিয়ে রাখে বিশেষভাবে,
আর সেগুলো বাচাতে প্রান দিয়ে যুদ্ধ করতে কার্পন্য করে না তারা।কাজের লোকদের আর তাদের মনিবদের সাথে আন্তিরকতটা অনেক বেশি।আমাদের থিবস শহরের ডাকাতির গল্প শুনলে হয়তো তোমাদের মাথায় আমার কথাগুলোর যুক্তিযুক্ততা বোঝার ক্ষমতা হয়তো হলেও হতে পারে কিছুটা।

থিবস শহরে সেবার যখন গেলাম আমরা,তখনকাঁর ঘটনা-সাত তোরনের খ্যাতনামা থিবস শহর,মনে হয় সেটা সকলেই জানে।তা ছাড়া আমাদের এই চুরি ডাকাতির ব্যাবসায় যারা আছে-তারা জানে,প্রথমে খোঁজ নেওয়া দরকার শহরের ধনী ব্যক্তিদের।থিবস শহরের ধনিদের মাঝে ক্রাইসেরাসের নামটাই প্রথমে আসে-যদি ও শোনা যায় প্রচুর সম্পত্তি আছে তার–তবুও সবসময় থাকে গরিবানা হালে।শহরের বাইরে ছোটখাট একটা বাড়ী,সারা বাড়ির দরজা জানালাগুলো অনেকটা দূর্গের মত লোহার শিক দিয়ে বাইরের দিক থেকে সাজানো,খুব একটা লোকজনও নেই।খবরে জানা গেল যায় প্রচুর সোনাদানা,টাকা পয়সা আছে ক্রাইসেরাসের।
আমরা ঠিক করলাম-ক্রাইসেরাসকে একটা দেখা দেওয়া দরকার।ওদের বাড়িটাতে লোকজনও খুব নাকি একটা বেশি নেই-তা ছাড়া আমাদের দলটাও বেশ বড়সড় ।

পৌঁছানোর পর সব দেখাশোনার পর ঠিক হলো-দরজা ভেঙ্গে ঢোকার প্রশ্নই আসে না,কেন না শব্দে আশে পাশের লোকজন জেনে ফেলবে সবাই,ঝামেলাই বাড়বে তাতে।আমাদের লামাকাস তার উপস্থিত বুদ্ধির কোন তুলনা ছিল না-তার পরিকল্পনা মত পুরোনো খুঁটিতে গর্ত করে হাত ঢুকিয়ে দরজাখোলার চেষ্টা করলাম আমরা।

কিছুটা দূভার্গই বলতে হবে,ক্রাইসেরাসর কানে পৌঁছালো দরজা খোলার শব্দ,ছাদে দৌড়ে ক্রাইসেরাস আশপাশের লোকজনকে ডাকাতির কথা বলে চিৎকার করে ডাকাডাকি আরম্ভ করলো-‘আগু্ন,আগুন,একটু দয়া করে সাহায্য না করলে,পুড়ে যাবে সারা বাড়ীটা’।

‘এ ছিল নতুন আরেক সমস্যা-কি করা যায় সে মূহুর্তে এ এক নতুন চিন্তা আমাদের।
লামাসের হাতটা তখনও আটকে আছে ভাঙ্গা কাঠের ফাঁকে,তবে দলের স্বার্থেই লামাস অনুরোধ করলো তার হাতটা কাঁধ থেকে কেটে ফেলে দেওয়ার জন্যে,নিজেকে নিয়ে কোন চিন্তা ছিল না তার।জামা দিয়ে বেঁধে দিলাম আমরা লামাসের ক্ষত,রক্তের দাগ যেন দিয়ে কেউ আমাদের পিছু ধাওয়া না করতে পারে।চার পাঁশে হৈচৈ-লোকজনের ছোটাছুটি,
পালিয়ে না গেলে জীবন রক্ষা হবে না কার ও।একেবারে সাক্ষাৎ মৃত্যুদন্ড,এক এক করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে সবাইকে।লামাকাস তখন বেশ দূর্বল,দৌড়ে পালানোর শক্তিটাও ছিল না তার শরীরে।আমাদের লামাকাসের জীবন শেষ করে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না,আহত ডাকাতকে ফেলে যাওয়া পুলিশের হাতে সারা দলের ধরা পড়ার আরেকটা পথ-লামাসের আর সকলের জন্য সে বির্সজন,কিন্ত কেউ মেনে নিতে পারেনি,এই শোচনীয় পরিণতি।যদিও আমাদের দলের প্রাথমিক প্রতিশুর্তি সেটাতো সবার জানা,কোন আহত কাউকে পেছনে ফেলে রেখে যাওয়া যাবে না,কোনসময়।কিন্ত যে হাত আমাদের সাথে হাত মিলিয়ে,
একগাদা ডাকাতি,লুটের সঙ্গী।অত সহজে কি ছুড়ে ফেলা যায়-সেই বন্ধুকে,কেউ রাজী হচ্ছিল না।আমাদের বাদানুবাদ দেখে লামাকাস একসময় তার হাতের তলোয়ারে একটা চুমু দিয়ে,হেসে ঢুকিয়ে দিল-পাঁজরের হাড়ের মাঝে’।

‘লামাসকাস ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী মানুষ-তার মৃত্যু ছিল সকলের কাছে অভাবনীয়,চরম দুঃখের।লামাসের শরীর কাপড়ে জড়িয়ে ভাসিয়ে দিলাম আমরা ইমেরিয়াস নদীর স্রোতে-নদী নিয়ে যাবে সাগরে, আর সাগরের বিশাল সুরে লামাসকাস থাকবে তার চির শান্তির নিবাসে’।

‘শান্তিতে থাকুক লামাসকাস আমাদের সবার ছিল এটাই প্রার্থনা’।সকলের দীর্ঘশ্বাসের সাথে প্রার্থনা ছিল,এক বীর সৈনিকের যথাযথ সমাপ্তি’।


০০০০০০০



‘আমাদের দলের আরেক বুদ্ধিমান বন্ধু,আলকিমাস-আমাদের,পরিকল্পনার প্রতি পদক্ষেপে সবসময় ছিল আলকিমিসের ছাপ।এক বয়স্কা মহিলার ঘরে ডাকাতিতে গেলাম সেবার আমরা-বাড়ীতে ঢোকার পর নিয়মমত মহিলাকে মেরে ফেলার কথা,তা না করে,কেন জানি আলকিমাস লুটের জিনিষপত্র জানালা দিয়ে নিচের দিকে ফেলে দিচ্ছিল।

সবকিছু ফেলে দেওয়ার পর বিছানা থেকে যখন বুড়ীকে সরিয়ে নিচ্ছিল,তখন বুড়ী প্রশ্ন করলো-‘বাবা কেন তুমি এই গরীবের জিনিষপত্র সব ফেলে দিচ্ছ,ঐ বড় লোকের বাড়ীতে’।

‘এই কথা শুনে বেশ কিছুটা থতমত খেল আলকিমাস-তার ধারণা ছিল লুটের জিনিষপত্র সবকিছু ফেলে পাঠাচ্ছে সে নীচের রাস্তায়।আরেকবার খোলা জানালায় গিয়ে সেটা পরখ করে দেখার জন্যে দাঁড়িয়ে ছিল আলকিমাস,ঘুনাক্ষরেও তার মনে হয় নি,কোন বিপদ দাঁড়িয়েড়িয়ে তার পেছনে।বুড়ী-খুনী,শয়তান বুড়ীটা,সেই সূযোগে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে আলকিমাসকে সোজা ফেলে দিল রাস্তায়।রাস্তার পাথরে মাথায় ধাক্কা-আবার এক পাশে পড়ে থাকা বড় একটা পাথরের টুকরায় ধাক্কায় ভেঙ্গে গেল আলকিমাসের পাঁজরের বেশ কটা হাড়।রক্তাক্ত আলকিমাসের শেষ যাত্রা,মৃত্যুর আগে আমাদের বলে গেল পুরো ঘটনাটা।লামাকাসের মতই তার শেষকৃত্য হলো,ইমেরিয়াস নদীর স্রোতে-অবশ্যি ওটা তার যোগ্যতারই অর্জন’।

‘দুই সাহসী বন্ধুদের হারিয়ে আমাদের থিবসে থাকার ইচ্ছে ছিল না আর, আশেপাশে শহর বলতে ছিল ছোট্ট একটা শহর,পালাটিয়া।যাকগে এরপর পালাটিয়াতে চলে গেলাম আমরা-গ্লাডিয়াটেরদের বেশ জাঁকজমকের এক অনুষ্ঠান হচ্ছিল তখন।
অনুষ্ঠানটার খরচ সবটাই দিচ্ছিল ডেমোকারেস।ডেমোকারেসের বেশ নামডাক ঐ শহরটায়-শুধু ধনী না,বেশ উদার খরচের হাতটাও তার।অনুষ্ঠানের জাঁকজমকের বর্ননা দেওয়াটা ঠিক হবে না আমার-কথায় বলতে গেলে শুধুশুধু অবিচারই করা হবে।যাক গে সেই গ্লাডিয়াটের যোদ্ধাদের কথা বলি বরং-যারা ছিল বেশ নামকরা সবাই তাদের নিজে নিজেদের বিশেষ অস্ত্রের পারদর্শিতায়,খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসা হতো তাদের এই বিশেষ অনুষ্ঠানটার জন্যে।
একেকটা দলের একেকটা বিশেষত্ব।কেউ পারদর্শী ছোট্ট হাতের অস্ত্র যুদ্ধে,কেউ পারদর্শী বল্লমের যুদ্ধে,কেউ আবার লোহার জালের যুদ্ধে।একপাশে মাটি খোঁড়া গ্লাডিয়াটেরদের আসন্ন যুদ্ধে হেরে যাওয়া মৃতদেহগুলো কবর দেয়ার জন্যে।একদল,মানুষকে পশুর মত খাওয়াদাওয়ায় মোটাসোটা করে তৈরী করে নেওয়া-বলির জন্তুর মত,আসামী,অপরাধী,মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত মানুষগুলো।বাইরের থেকে নিয়ে আসা কারুকার্য করা কাঠের গাড়ি-সাজানো নানান ধরনের নামকরা শিল্পীদের কাজ’।

‘বলে নেই বেশ বড়বড় কতগুলো ভাল্লুকও ছিল একপাশে-তার বেশ কিছু অংশ ডেমোকারেসের নিজের শিকার করে ধরে আনা,কিছু কিনে আনা বেশ চড়া দামে আর কটা তার বন্ধুদের উঁপহার।ভাল্লুকগুলো বাগানের একপাশে রেখে দেওয়া বিশেষ তত্তাবধানে।যদি বা তার সব প্রস্ততি ছিল সকলের আনন্দের জন্যে-কিন্ত অসন্তষ্ট ছিল মনে হয় দেবতারা,
ভাল্লুকদের সবগুলো গরম সহ্য না করতে পেরে মারা গেল সব।এমনই দাঁড়াল যে পালাটিয়া শহরের রাস্তা ভঁরে গেল মরা ভাল্লুকের শরীর দিয়ে’।

‘খবরটা শোনার পর,বাবলুয়াস আর আমি,দুজনে মিলে নতুন এক পরিকল্পনা তৈরী করলাম।মরা একটা ভাল্লুক নিয়ে আসবো আমরা,আমাদের সরাইখানায়-ভাবটা যেন সেটা খাওয়ার জন্যেই নিয়ে আসা আমাদের।মাংস হাড় ফেলে দিয়ে ভেতরটা পরিষ্কার করার পর কয়লার ছাই আর লবণ দিয়ে রোদে রেখে দিব কটা দিন শুকানোর জন্যে।আমাদের চিরন্তন শপথ আমরা সবাই একে অন্যের জন্যে,আমাদের জীবনটা দলের স্বার্থে।ঠিক করা হলো আমাদের যে সবচেয়ে দ্রুত, সাহসী,তাৎক্ষনিক চিন্তা করতে পারে,তাকে ভাল্লুক সাজিয়ে নিয়ে যাব তার এক বন্ধুর উপহার হিসাবে ডেমাকেরাসের বাড়ীতে,আর ভাল্লুকের সমস্যায় নতুন ভাল্লুক দেখে নিঃসন্দেহে ডেমোকেরাস খুশী হয়ে অনেক কিছুই ভুলে যাবে আর সমাধান হবে আমাদের সমস্যা।

অন্যান্যরা রাতের অন্ধকারে বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করবে-আর ভাল্লুকের চামড়ায় যে লুকোনো তার দায়িত্ব হবে দরজা খুলে বাকী সবাইকে ভেতরে নেওয়া।এর পর হবে যথারীতি লুটপাট।

ভাল্লুক হওয়ার ইচ্ছে ছিল সবারই,তাই শেষমেষ ভোট নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।সম্পূর্ন পরিকল্পনা শোনার পর ভোটে নতুন সদস্য থেরাসলিওনকে দেওয়া ভাল্লুক হওয়ার দায়িত্ব।কোন উদ্বেগ,উত্তেজনা ছিল না থেরাসলিওনের চেহারায়,চুপচাপ বসে ছিল ভাল্লুকের খোলা চামড়ায় ফাঁকে তাকে সেলাই করে ভাল্লুক বানানোর সময়টায়।

সেলাই করার সময়,জোড়া দেওয়া অংশটাকে ঢেকে দেয়া ভাল্লুকের লম্বা লম্বা লোম দিয়ে।
বেশ সস্তায় কেনা একটা খাঁচার মধ্যে তাকে ঢুকিয়ে নিলাম-সবকিছুর প্রস্ততি প্রায় শেষ।পরের পদক্ষেপ-নিকানোর নামের এক থ্রেসিয়ান,ডেমাকেরাসের বন্ধুর চিঠি নকল করা-লেখা হলো বছরের ভাল্লুক শিকারের প্রথম শিকার বন্ধু ডেমাকেরাসের জন্যে’।


‘সন্ধ্যার বেশ ঘন অন্ধকার চারপাশে-ভাল্লুক থেরাসেলিওন আর ডেমাকেরাসের বন্ধুর চিঠি নিয়ে গেলাম তার বাড়ীর দিকে।ভাল্লুক দেখার পর ডেমাকেরা তো বেশ খুশী,কাজের লোককে
ডেকে দশটা সোনার মোহর বখসিসও দিল।‘বিরাট-কি সুন্দর ভাল্লুকটা,অচিন্তনীয়’,মন্তব্য করছিল সবাই,খাচার পাশে দাঁড়িয়ে যেন সারা বাড়ীটা।থেরাসেলিওন বেশ জোরসোরে এপাশ ওপাশ করছিল খাঁচার পাশ থেকে ভঁয়ে সরে যায় যেন সবাই’।

ডেমাকেরাসের বন্ধুরা সবাই ভাল্লুক দেখে তাকে অভিনন্দন জানালো।ডেমাকেরাস কাজের লোককে বললো-‘খাচার থেকে বের করে একে নিয়ে যাও অন্য ভাল্লুকদের সাথে,বাগান এলাকায়’।
‘বাধ্য হয়ে আমাকে বুদ্ধি করে ডেমাকেরাসকে বলতে হলো-অনেক দূর থেকে এসেছে ভাল্লুকটা এত তাড়াতাড়ি ওকে অন্য ভাল্লুকদের সাথে ছেড়ে দেওয়াটা বোধহয় ঠিক হবে না। তা ছাড়া এ এলাকার ভাল্লুকদের অসুখের কথা ভোলাটাও উচিত হবে না।বরং ভাল্লুকটাকে রাখা ভাল হবে কোন ঠান্ডা জায়গায়,সন্ধ্যার হালকা ঠাণ্ডা বাতাস আছে যেখানে।গুহায় স্যাতস্যাতে ভাবটা নেই তবে আছে নদীর বা লেকের ভেসে যাওয়া ঠাণ্ডা বাতাস,সেটা নাকি ভাল্লুকদের খুব পচ্ছন্দের’।

‘আমার কথাগুলো,ডেমাকেরাসের কাছে ছিল বেশ মনঃপুত,সে তার কাজের লোককে ডেকে বললো “না,না,কথাটা ঠিকই একটা পচ্ছন্দমত জায়গা দেখে খাচাসহ ভাল্লুকটা রেখে দাও”।

সুযোগমত আমি বলে ফেললাম-‘চাইলে আমরা সাহায্য করতে পারি,এটাই তো আমাদের কাজ।ডেমাকেরাস উত্তর দিলল-‘মনে হয় না সেটার কটা দরকার হবে,এ বাড়ীর সবার বেশ কিছুটা দক্ষতা আছে ভাল্লুকের ব্যাপারে’।

‘ডেমাকেরাসের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা চলে গেলাম আমাদের তৈরী করা নতুন আস্থানায়।শহর থেকে বেশী দুরে না-পুরোনো একটা কবরস্থান,পেছনের কটা কফিনের বাক্স ভেঙ্গে তৈরী করে রাখা ছিল,আমাদের লুটগুলো লুকিয়ে রাখার জন্যে।তলোয়ার,অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমরা তো সবাই তৈরী হওয়া রাতের অভিযানে।ডেমাকেরাসের বাড়ীর বাইরে আমরা সবাই অপেক্ষায়,অন্ধকারের,রাতের সেই ঘুমানো পর্বের জন্য যখন সারা পৃথিবী গভীর ঘুমে’।

‘থেরাসেলিওন কথামত তার দায়িত্ব পালনে কোন কার্পন্য করেনি-অন্ধকারে ঠিকমত খাঁচা থেকে বের হয়ে ডেমাকেরাসের বাড়ির সব ঘুমন্ত কাজের লোকদের খুন করেছে তাদেরই অস্ত্র দিয়ে।বাড়ীর পাহারদারেরও ছিল একই পরিণতি-পাহারাদারের কোমরের চাবির গোছা দিয়ে পরে দরজা খুলে দিল সে।থেরাসেলিওন আমাদের দেখিয়ে দিল ঘরটা-ক্ষন কিছু আগেই কাজের লোকজন রুপার থালাবাসন রেখে দিয়ে গেছে অনুষ্ঠানের শেষ হওয়ার পর।লুঠের জিনিষপত্র নিয়ে কিছু লোকজন চলে গেল কবরস্থানে।ডেমাকেরাসের বাড়ীতে ছিলাম-আমি আর থেরাসেলিওন তার ভাল্লুকের পোশাকে।যে যত সাহসীই হউক না কেন,ভাল্লুকের শরীরের থেরাসেলিওনকে ভঁয় না পেয়ে উপায় ছিল না কারও’।

‘কোন সমস্যা ছাড়াই চলছিল পরিকল্পনা আমাদের-তবে অজানা লুকানো,দূভার্গ্য কারই বা জানা।দলের আর সবার জন্য অপেক্ষ করছিলাম,আমি আর থেরাসেলিওন-হঠাৎ ডেমাকেরাসের কাজের লোক এক ঘুম ভেঙ্গে ভাল্লুক ঘুরে বেড়াতে দেখে সে বাড়ীর আরেকপাশের কাজের লোকজনকে চিৎকার করে ডাক দিল।ছোটাছুটি আরম্ভ হলো সবার আঙ্গিনায়-হাতে লাঠি,
তলোয়ার,মশাল।সব দরজা জানালাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হলো প্রথমে-শিকারী কুকুর কটাও লেলিয়ে দেওয়া ভাল্লুক থেরাসেলিওনের দিকে।দরজার একপাশ দিয়ে দুঃখে লুকিয়ে দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না আমার শুধু,হতাশায় দেখে গেলাম থেরাসেলিওনের শেষ সময়টা-একদল দাঁতাল কুকুরের সাথে পেরে ওঠেনি থেরাসেতাল।তবে তার শেষ মুহুর্তেও সে ভুলে যায়নি তার শপথ।ভাল্লুকের দাঁত,থাবাগুলো দিয়ে যদিও সে কুকুরগুলোকে আক্রমন করে,
দরজা ভেঙ্গে বের হয়ে গেল শহরের রাস্তায়।তবু নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি থেরাসেলিওন-কুকুরের দলের সাথে যোগ দিল আশেপাশের সব কুকুরের দল,আর সেটাই শেষ পরিণতি থেরাসেলিওনের’।

‘কুকুরগুলো যেখানে সেখানে কামড় দিয়ে টূকরো টুকরো করলো ভাল্লুক থেরাসেলিওনের শরীর।অভাবনীয় এ যন্ত্রণা সহ্য করা সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে,চার পাশের লোকজনকে ডেকে বললাম-এটা কি ঠিক হচ্ছে,অসহায় একটা প্রাণীকে এভাবে ধুকেধুকে মারা।কেউ শোনেনি আমার কথা,দেখি হঠাৎ বিরাট শরীরের এক লোক হাতে এক বল্লম সোজা নিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া থেরাসেলিওনের বুকে,দেখাদেখি বেশ কজন আর ও তাদের হাতের তলোয়ার দিয়ে খোঁচানো আরম্ভ করলো,ভাল্লুক থেরাসেলিওনকে।কিন্ত মৃত ভাল্লুকের শরীরটা কেউ ধরে কাটবার সাহস করেনি-শেষে এক কসাই এসে কেটে ফেলার পর অবাক সবাই-ভাল্লুক না এক ডাকাত লুকানো ভাল্লুকের শরীরে’।

‘মনভঁরা দুঃখ নিয়ে ফির্ব গেলাম আমাদের নতুন আস্থানায়,কবরস্থানে-কফিনের ভেতরে লুকোনো লুট নিয়ে সবাই ফিরে এসেছে আমাদের আড্ডায়,পাহাড়ী পথের ওঠানামা আর ও বেশী অসহনীয় ছিল আমাদের বন্ধুকে হারিয়ে’।
গেলাসের পর গেলাস মদ গিলে আরমৃতদের উৎসর্গ করে দুঃখের গান গাওয়ার পর,কান্নায় হতাশায় একসময় ঘুমিয়ে পড়লো সবাই।

০০০০০

ডাকাতদলের বুড়ী খাবার দিয়ে গেল আমার সাথের ঘোড়াকে আর আমাকে,ঘোড়ার ভাব ছিল এমন যে সে এক বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি।কাচা গম খাওয়া হয়নি আমার কোনসময়,
গম যা খাওয়া হয় সেটা রুটি হিসাবে না হয় তরকারিতে মাংসের সাথে।একপাঁশে ফেলে রাখা পুরোনো শক্ত কিছু রুটি দেখে সেটাই খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম আমি-যদিও শক্ত রুটি চিবুতে চিবুতে দাঁতগুলোয় বেশ কষ্ট-আর ব্যাথা।

মাঝরাতের দিকে ডাকাত দলের সবাই বেশ তাড়াহুড়া করে তাদের আস্তানা ছেড়ে গেল,কেউ কেউ পরে ছিল ভুতের পোশাক,আবার কয়েকজন ছিল সাধারন পোষাকে,তবে সবার হাতে ছিল তলোয়ার।ঘুমের মাঝে ও যেন আমার খাওয়া থেমে থাকেনি যেন,এটাতো লুসিয়াসের সেই আগের শরীরটা না,বিরাট পেটে দরকার অনেক খাবার দাবার।সকালের আলোয় ছুঁয়ে যাওয়া সারা পৃথিবী তবু থামে নি আমার খাওয়া,পরে পাশের ছোট্ট ঝরনার পানিতে পিপাসা মেটানো।

কিছুক্ষণ পরেই ফিরে এলো ডাকাতের দল,কোন হৈচৈ নাই,সবাই বেশ চুপচাপ-সাথে ছিল না কোন লুট,সাথে শুধু এক কম বয়সী মেয়ে।কাপড়চোপড় দেখে মনে হলো কোন এক শহরের নামীদামী লোকের মেয়ে হ্য়তো।সাধারণের চেয়ে অনেক বেশী সুন্দরী-তার অতুলনীয় সৌন্দর্য এমন যে আমি গাধা লুসিয়াসটাও হারিয়ে যাওয়া তার প্রেমে।দুঃখে হতাশায় টেনে টেনে নিজের চুল টেনে হাউমাউ করে কাঁদছিল মেয়েটা আর ছিড়ে যাচ্ছিল তার কাপড় ছেঁড়া।

‘শোন,আমরা তোমার কোন ক্ষতি করবো না-শুধু কটা দিন অপেক্ষা কর।মানুষ হিসেবে আমরা কেউ খারাপ নই।আমাদের দারিদ্রতার কারণেই আমাদের এই অবস্থা,এই কাজ বেছে নেওয়া আমাদের।তুমি তো তোমার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান,তোমার মুক্তিপন দিতে তোমার বাবা মা অবশ্যই কোন কার্পন্য করবে না’।ডাকাতদের একজন বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলো,মেয়েটাকে।


শান্তনার কথায় কোন রদবদল হয় নি মেয়েটার ব্যাবহারে-হাউমাউ করে দুই হাঁটুর মাঝে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেই যাচ্ছিল সে,দোষ তো আর দেয়া যায় না তাকে।
ডাকাতদের একজন ডেকে বললো বুড়ীকে মেয়েটাকে বোঝানোর জন্যে,বুড়ী কথা বার্তা বলার কান্নাটা কিছুক্ষণ থামলেও-আবার আরম্ভ হলো কান্না আর চিৎকার।


মেয়েটা বুক চাপড়িয়ে চাপড়িয়ে বলছিল-‘নিচের বাড়ী ছেড়ে এ কোথায় আমি।বাবা-মা-কাজের লোকজন আরাম আয়েস ছেড়ে,আমি বসে আছি কতগুলো চোর ডাকাতদের সাথে।
সবসময় ভঁয় কোন সময় যাবে জীবনটা,কান্নাকাটি ছাড়া কিইবা আছে করার?এ অবস্থায় বেচে থাকার আগ্রহই বা থাকে কেমন করে’?
থেমে থেমে কান্না আর হাহুতাস-কিছুক্ষণ পর কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লো,সে।
ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেমে থাকেনি-আবার কান্না,আবার বুক চাপড়িয়ে হাহাকার।বুড়ী তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করলো-কিন্ত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলছিল মেয়েটা, ‘জানি কোন আশা নাই আর বাঁচার আমার,শেষ হবে তলোয়ার বা দড়ির ফাঁসিতে’।

ডাকাতদের বুড়ীটা শেষমেষ বেশ রেগেই গেল-‘তুমি একটা শয়তান মেয়ে,কেন তুমি ঘুমিয়ে জেগে আবার এই শয়তানী,তুমি চাও না আমার এই গরীব ছেলের দল,কিছু টাকা পয়সা পায় তোমার ধনী বাবার কাছে।কান্না যদি না থামাও আমি ওদের ডেকে বলবো তোমাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে ফেলতে,এ ছাড়া আর কোন উপায় দেখছি না আর’।

বেশ কিছুটা ভঁয় পেয়ে মেয়েটা-বুড়ীর হাতটা হাতে নিয়ে এলোপাথাড়ি চুমু আর অনুরোধের সুরে বললো-‘তুমি আমার নানীর মত,তোমার সোনালী চুলের এই মুখে মনে হয় না,তুমি এত নিষ্ঠুর হতে পার।আমার জীবনে যে কত দুঃখ সেটা তুমি শুনলেই বুঝতে পারবে’।

বুড়ী মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,কোন আপত্তি নাই তার।একটা স্বস্তির আশ্বাস পেয়ে কথা শুরু করলো মেয়েটা-‘আমার এক খালাত ভাই,নাম টেলামপেলাস,ছোট বেলা থেকে একসাথেই মানুষ হয়েছি আমরা।এমনকি অনেক রাত কাটানো আমাদের একই বিছানায়,দুজন আমরা দুজনকে ভালবাসি প্রচন্ড।শহরের বেশ নামীদামী লোক এক,সবাই খুবই পচ্ছন্দ করে তাকে,সবাই চায় যেন তাড়াতাড়ি উন্নতি হয় তার।আমাদের বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয়ে আছে,আংটি রদবদল ও হয়ে গেছে,বেশ কিছু দিন হয়ে গেল।আজ সরকারী অফিস থেকে আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি পেলাম আমরা।টেলামপেলাস যথারীতি নিয়মভাবে- বন্ধুদের নিয়ে মন্দিরে গেল বলি দিতে।আমি বাড়িতে ছিলাম কনের পোষাক পরে,বিয়ের গানবাজনা,লোকজনের অভিনন্দন-এ অনূভূতির বর্ননা দেয়া যায় না ভাষায়।ঠিক এর মাঝে একদল লোক হাতে ঝকঝকে তলোয়ার নিয়ে চলে আসলো সোজা কনের ঘরে।কোন দাঙ্গামা নেই,রক্তারক্তি নেই সোজা কনেকে তুলে নিয়ে বের হয়ে গেল।কাজের লোকজন,পাহারাদারদের দল সবাই ভঁয়ে চুপচাপ,কাঁরও কোন শক্তি বুদ্ধি,কিছুই ছিল না সে সময়।ভঁয়ে আধমরা আমাকেমায়ের কোল থেকে তুলে নিয়ে গেল ডাকাতেরা।বিয়েটা এই ভাবেই শেষ হয়ে গেল,যা ছিল আমার স্বপ্নের স্বপ্ন।অনেকটা যেন হিপোডামিইয়া আর পিরিথিয়াসের বিয়ে-যা ভেঙ্গে গেল কানাতুর আর লাপিতদের মারামারিতে,লাউডামিয়া প্রষ্টালিয়াসের বিয়ের কথাটাও বলা যায়,
যখন প্রষ্টালিয়াস চলে গেল ট্রয়ের যুদ্ধে,যেখানে সে প্রথম গ্রীক যে নিহত হলো সেই যুদ্ধে।
এ যেন একটা দুঃস্বপ্ন-আমাকে তুলে আনলো এই বর্বররা-বাসরের ফুলের বিছানা থেকে, পাহাড়ী অজানা পথ দিয়ে যেতে যেতে,আমি টেলামপেলাসের নাম ধরে ডাকছি বার বার। আমার ভালবাসা হারিয়ে গেল শরীরের প্রথম স্বাদের আগেই।টেলামপেলাস দৌড়ে ডাকাতদের পেছনে ধাওয়া করে-ডাকাতদের রেগে মেগে বড় একটা পাথর তুলে মেরে ফেললো আমার প্রিয় টেলামপেলাসকে।চীৎকার করে ঘুমটা ভেঙ্গে যাওয়া আমার’।

সব শোনার বুড়ী মহিলা-‘চিন্তা করনা,তুমি,সবাই জানে দিনের বেলার স্বপ্ন কোনদিনই সত্যি হয় না।জান এমন ও শুনেছি-দিনের স্বপ্নে খুন হওয়া,মারধর এগুলো সৌভাগ্যের লক্ষন।আবার দিনের স্বপ্নে হাসি খুশি,প্রেমিকের সাথে শরীরের গল্প সেগুলো দূর্ভাগ্যের লক্ষণ।শোন তোমাকে একটা রূপকথার গল্প বলি,মনটা ভাল হবে তোমার’।


সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:২৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×