আমি ভাবিতাম সে যাহা ভাবে তাহা সত্য। আমি তাহাকে বিন্দু মাত্র কষ্ট দিতে প্রস্তুত নই। জানি না ইহা পাপ কি না। যখন বুজিতে পারিলুম সে আমার প্রতি দুর্বল তখন তাহার দুনিয়াকে আমি জানাইলাম আমি তাহার প্রতি দুর্বল । তাহার পৃথিবী আমকে অর্ধচন্দ্র দান করিল , আমিও শত কষ্টে তাহা মানিয়া নিলাম। কেন জানি না আমার হইতে হয়। না না, মনে হয় জানি, আমি এইসবের উপযুক্ত । হ্যাঁ সত্য আমি তাহাকে নিয়া ভাবিতে চাই নাই কিন্তু যখন বুজিলাম আমি তাহাকে নিয়া না ভাবিয়া ও একটা মিনিট অতিক্রম করিতে পারতেছি না, যখন পরিবেশ আমার বিপক্ষে, নাই কোনও ধূলিকণা যাহা আমার সহিত আলিঙ্গন করিয়া আমায় ব্যস্ত রাখিবে- তখন শুধু আমি তাহার মঙ্গল কামনা ছাড়া আর কিবা করিতে পারি। স্রষ্টা আমার সুখ চান কি না জানি না, শুধু জানি আমার জন্য অন্য কারো সুখে যেন আমার কালো ছায়া না পরে।
(আমি জানি না কেন কষ্ট পাচ্ছি, সম্ববত আমি তাহাকে তাহার চাইতে অধিক ভালবেসে ফেলেছি।)
কিন্তু সত্য তাহারও উপরে ... আমি একটা সত্যকে বাদ দিতে পারি না। যে রশ্মি ধরিয়া দুইজন অই শব্দটাকে টানিবার আশা করি সেই রশ্মি শেষ পর্যন্ত শুধু আমার হস্তেই বিদ্যমান থাকে।
(আর সেই কষ্ট কেমন আমি বুজাইতে পারিব না । শুধু মনে হয় এর চেয়ে আমার প্রস্থান মনে হয় অধিক সুখময় আমার ও পৃথিবীর উভয়েরই জন্য)
আসলে আমায় কেউ বুজিল না। কেউ বুজবেও না। আমিও চাই না কেউ বুজুক। এটাই স্বাভাবিক , কিন্তু না বুজিয়া ভুল বুজা বেশি বিপদজনক। আর আমার ক্ষেত্রে তাই হইয়া থাকে সর্বদা।
আর তাহাই আমাকে কষ্ট দিয়া মারিতে চায়। মরিবার ভয় নাই , কিন্তু যাহাকে ভালোবাসিতে হয় তাহাকে হারাইবার কষ্টটা অসহ্যের সীমা অতিক্রম করিয়াছে। আমি জানি না কেমন আছি। শুধু জানি ভালো থাকিতে চাইতেছি যাহা হইবে না। ইহাতে একজন ভালো থাকিলেই আমি সার্থক। কষ্ট দেয়া অপেক্ষা কষ্ট পাওয়া অনেক ভালো।
[শান্তনা যে একজন সুখে আছে. আর পৃথিবীতে আমার অক্সিজেন অ - নষ্ট হইয়া থাকিল।]