বার্বাডোস নামে একটা দেশ আসে। খুব সুন্দর দেশ। দেশটা বেশ সম্পদশালীও কিছু ক্ষেত্রে। কিন্তু তাও দেশটা তেমন কিছু করতে পারতেসে না কারন একটাই, দেশটার সরকার। বার্বাডোসের সরকার বার বার দুর্নীতি নির্মূলের কথা বললেও দিনশেষে দেশের টপক্লাস দুর্নীতিবাজদের নিয়েই সরকার গঠন করে তারা। দেশের সর্বশক্তির মালিক এই সরকার দলই। জনগন মাঝে মাঝে দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে চাইলে এই সরকার “গ্লোরি টু বার্বাডোস” বলে চিৎকার মেরে উঠে আর জনগন তখন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সব ভুলে যায়, যারা ভুলে যায় না তাদেরকে কালো নিনজা বাহিনী " ইয়ে কালি কালি আখে তুরুরু" বলে গায়েব করে দেয়।

নামেমাত্র একটা মাজাভাঙ্গা বিরোধী দল আসে, অনেকটা না থাকার মতই। এই বিরোধীদল একদিন হঠাত করে বেশ কয়েকগ্লাস মাউনেন্ট ডিউ খেয়ে সাহস করে বলে ফেলল যে, “এই সরকার দুর্নীতিবাজ, দেশটাকে লুটে পুটে খাচ্ছে।“ এই শুনে সরকারী দল চেতে “আগ লাগা দে বেবি ফায়ার”। সাথে সাথে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল যে, দেশের একটা জনগন যদি তাদের সাথে “সহমত ভাই বা পাব্লিক করেন শেয়ার দিবো” বলে তাহলে তারা ক্ষমতা ছেড়ে দিবে। সরকার দল এই পুরো প্রক্রিয়াটা ইন্সপেকশনের জন্য একটা ছোট্ট টিম পাঠাতে বলল বিরোধী দলকে। বিরোধীদল অনেক খুশি হয়ে যথারীতি একটা দল পাঠিয়ে দিল। সরকারী তাদেরকে নিয়ে গেল এক অন্ধের স্কুলে, সেখানে যেয়ে তারা সবাইকে জিজ্ঞেস করলো,

- তোমরা কি আমাদেরকে দুর্নীতি করতে দেখেছো?
- অন্ধরা বলল “নাহ তো!”

পাশের থেকে সরকারী দলের একজন বিরোধীদলের উদ্দেশ্যে ফাটাবাঁশের মত আওয়াজ করে বলল “নিজের চোখেই তো দেখলেন।” বিরোধীদলের চোখে পানি।

এইবার সরকারীদল তাদের প্রমাণনামা আরও শক্ত করতে বিরোধী টিমকে নিয়ে গেল একটা বধির স্কুলে? এইবার ফাটা বাঁশের মত আওয়াজ করা লোকটা জিজ্ঞেস করলো “তোমরা কি আমাদের দুর্নীতির কথা কখনো শুনেছ” পুরো ক্লাস চুপ। ফাটাবাঁশ হাসতে হাসতে বলল, এই বাচ্চাগুলা এত্তো স্মার্ট যে, তারা এই ফালতু প্রশ্ন উত্তর দিবে কি, শুনতেও রাজি না। বিরোধী টিম মাথা চুলকাতে, চুল্কাতে বলল “এহ?!”

এইবার তারা নিয়ে গেল আরেক স্কুলে। মূকদের স্কুল। সেখানে যেয়ে চেলেঞ্জিং টাইম পার করা ফাটাবাঁশের ওপেন চ্যালেঞ্জ যে, এই নিষ্পাপ বাচ্চাগুলা কাওকে ভয় পায়না এবং মিথ্যাও বলে না, পারলে এদের মুখ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলায়ে দেখান। বিরোধীটিম ততক্ষনে লন্ডন এম্বাসিতে যোগাযোগ শুরু করে দিসে এসাইলামের জন্য। ফাটাবাশ এরপর সবাইকে আলতো চুমু দিয়ে বিদায় দিয়ে দেন। পুরো প্রক্রিয়াটাই সাধারন জনগণকে লাইভ দেখায় সেই দেশের “চ্যানেল সিক্সটি নাইন প্লাস টু।” জনগন বিরোধীদলের মেল্টডাউন লাইভ দেখতে পারে এবং বিরোধীদলের ষড়যন্ত্রের মুখে লাথি দিয়ে আবার সরকারি দলকে বিপুল ভোটে জয়ী করে। ওহ আচ্ছা বিরোধীদলের নামটা বলা হয় নাই, পুরো নামটা আমি ঠিক জানিনা কিন্তু সংক্ষেপে ওদেরকে ‘ব.ল.দ’ বলে।

এই ঘটনাটা আমি ছোটবেলায় শুন্সিলাম। আমার কাছে বেশ কাল্পনিক লাগসে। এমন কোন দেশে হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না।

ফান ফ্যাক্টঃ কান্ট্রি/রিজিওন সিলেক্ট করতে বললে, আমি বাংলাদেশের জায়গায় ভুল করে বার্বাডোস সিলেক্ট করে ফেলি। তবে এই ফ্যাক্টের সাথে এই কাহিনীর দূরদূরান্তে কোন সম্পর্ক নাই। এমনি বললাম আর কি। তাই নো উইঙ্ক ইমোজি।