somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিকতা,বস্তুবাদ ও মানবতাঃএক মেকী সহাবস্থান

৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে আমাদের কে প্রায়ই একটা কথা শুনতে হয় যে মানবতা আর বস্তুবাদ বর্তমানে চিরসাম্যর সাথে একত্রিত হয়ে গেছে। আর চিরসাম্যের ফলে বর্তমানে নাস্তিকতা আর মানবতা সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে । আর ধর্ম বর্তমানে মানবতার চরমতম বিরোধী অবস্থানে আছে প্রতক্ষ্য ভাবে কয়েক দিকে আর অপ্রতক্ষ্য বা প্রচ্ছন্ন ভাবে সকল দিকে। আর এটাকে পরিত্যাগ করতে পারলেই আমরা মানবতা আর নৈতিকতা,বিজ্ঞান এবং প্রগতির পথে চলতে পারব।

আচ্ছা, একজন ধার্মিকের নিজস্ব দৃষ্টি থেকে না দেখে যদি এটাকে একটা নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে দেখা যায় তাহলে পারে ব্যাপারটা কি দাঁড়ায়?

আসলেই কি বস্তুবাদ মানবতার সমার্থক? আর চিরসাম্য আর মানবতা কি বস্তুবাদ ও নাস্তিকতার সমার্থক এটা দেখা যাক
আমরা বহুকাল পর্যন্ত ধার্মিক নৈতিকতা ব্যাক্তিগত ইশ্বর এ বিশ্বাস,সৃষ্টিবাদী মানসিকতা পোষণ এর ভিত্তিতে মানবতার শ্রেণী বিন্যাস করেছিলাম । কিন্তু এক্ষেত্রে বহু অনৈতিক এবং অমানবিক ব্যাপার ও সংঘঠিত হয়েছে। (এটা কি মূলত ধার্মিকতার জন্য বা ধর্মের প্রভাবে হয়েছে? নাকি এর পিছনে অন্য কোন কারণ ছিল? ) এটা পরে আলোচনা করলেও চলবে তবে যা বলার আছে সেটা হচ্ছে। যে উনাবিংশ শতকের প্রথম দিকে বস্তুবাদী প্রাকৃতিক নির্বাচন বাদ এর প্রসার ঘটা শুরু হয় যেখানে মানব কেও একটা উন্নত পশু হিসেবেই দেখা হয় আর এর সাথে সমস্ত পূর্ববর্তী প্রথা আর ধর্মীয় রীতি সমূহকে শুধুই একটি প্রথা বলে সরিয়ে দেয়া হয় একপাশে। আর নৈতিকতা কেও একটা ডারউইনইয়ান বিবর্তন মতবাদের ধাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ ধর্ম নয় বরং বিবর্তন এর প্রাকৃতিক নির্বাচনই আমাদেরকে মানবতা আর নৈতিকতা কে ধাপে ধাপে জানতে সহায়তা করে, ভালো কথা কিন্তু দেখা যাক যে এই সমীকরণ স্বয়ং বড় বড় ডারউইন বাদীদের কাছেই কত অসার।

ডারউইনবাদের একনিষ্ঠ সমর্থক Richard Dawkins এর ভাষ্যমতেই তবে শোনা যাক যে প্রাকৃতিক নির্বাচন নৈতিকতার ভিত্তি হতে পারে কিনা

২০০০ সালেতার কিছু কথা ছিল এই প্রসঙ্গে নিচে কথা সমূহ আর তার অনুবাদ দেয়া হল
There have in the past been attempts to base a morality on evolution. I don't want to have anything to do with that. The kind of world that a Darwinian, going back to survival of the fittest now, and nature red in tooth and claw, I think nature really is red in tooth and claw. I think if you look out at the way wild nature is, out there in the bush, in the prairie, it is extremely ruthless, extremely unpleasant, it's exactly the kind of world that I would not wish to live in. And so any kind of politics that is based upon Darwinism for me would be bad politics, it would be immoral. Putting it another way, I'm a passionate Darwinian when it comes to science, when it comes to explaining the world, but I'm a passionate anti-Darwinian when it comes to morality and politics

সুত্রঃThe Descent of Man - The Moral Animal (Part 3) এবং রিচারড ডকিন্স এর সাক্ষাৎকার ফ্রাঙ্ক মিল এর সাথে
অনুবাদঃ বিগত সময়ে ডারউইন বাদের সাথে নৈতিকতা কে একত্রিত করার চেষ্টা করা হয়েছে আমার কোন রকম সম্পৃক্ততা নেই এর সাথে। বিবর্তনবাদী পৃথিবী যেমন ভাবে নিজেকে তুলে ধরে সেটা আসলেই নখ আর দাতের আঘাতে রক্তে লাল হয়ে আছে । আমার মনে হয় প্রকৃতি আসলেই দাঁত ও নখরের আঘাতে রঞ্জিত হয়ে আছে
আপনি যদি প্রকৃতির দিকে তাকান তাহলেও এর সত্যতা খুঁজে পাবেন। এটা অসম্ভব নিষ্ঠুর অস্বাভাবিক রকমের অস্বস্তিকর। এটা একেবারেই সেই পৃথিবী হতে পারেনা যেখানে আমি বেঁচে থাকতে চাইব। যেকন রাজনীতি যেটা ডারউইন বাদের উপর প্রতিষ্ঠিত সেটা একেকবারেই খারাপ আর অনৈতিক রাজনীতি হবে আমার জন্য। যদি আরেক দিক থেকে দেখতে হয় তাহলে আমি বলব আমি বিজ্ঞানের দিক দিয়ে একজন নিবেদিতপ্রাণ ডারউইনবাদী যখন এটা পৃথিবীকে ব্যাখা করার কাজ করে কিন্তু আমি সোচ্চার অডারউইন বাদী যখন এটা রাজনীতি আর নৈতিকতার মান দণ্ড প্রদানের চেষ্টা করে।

এতে অবশ্যই এটা বোঝা যায় যে বিবর্তন আর যাই হোক না কেন মানব জাতিকে পরিচালনার মাপকাঠি নয়। আর এটা বলেছেন বর্তমানের সবথেকে বড় ডারউইন বাদের সমর্থক রিচারড ডকিন্স।
তাহলে বস্তুবাদী মানসিকতার অন্যতম স্তম্ভ ডারউইন বাদ এখানে অকেজো। এটা আমাদেরকে নৈতিকতা আর মানবতার ভিত্তি দিতে পারেনা এটার আভাস পাওয়া যায় এখানে

তাহলে কি অন্য কোন বস্তুবাদী মতবাদ আমাদেরকে এই মানবতার সাথে সবথেকে ভালো ভাবে পরিচিত করিয়ে দিতে পারে?
যদি আমরা এই ক্ষেত্রে মার্ক্স এর দিকে তাকাই তাহলে আমাদের জন্য এর থেকেও বড় বিস্ময় অপেক্ষা করছে
Neue Rheinische Zeitung No. 136 এ মার্ক্স এর এক অমর বানীর সন্ধান পাই আমরা আর সেটা হচ্ছে
"May the devil take these people’s movements, especially when they are ‘peacefulআচ্ছা এরপরে দেখা যাক যে তার মানবতা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি কি ছিল?

মার্ক্স এর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল মানব এর ব্যাপারে মূলত ভোগ এবং শ্রম এর দিক দিয়ে মার্ক্স মানব কে এক ধরণের উন্নত পশুই(ডারউইন বাদের মত) মনে করতেন এবং এটাই তার লেখনীর মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন যে মানুষ এমন এক ধরণের পশু যে কিনা প্রকৃতিকে নিজের প্রয়োজনে পরিবর্তিত করে এবং এর থেকে উপযোগিতা আহরণ করে। এটা ততটা অন্যরকম বা অমানবিক মনে হয় না অনেকের কাছেই ।
তবে এটা মার্ক্স কে অথবা তার দর্শন কে পুরোপুরি ব্যাখা করতে সমর্থ না। কেননা মারক্সিয়ান দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষ মানব সমাজের একটা উপাদান বা কম্পনেন্ট (যদিও এটা সামষ্টিক অর্থে)

আর এই পক্ষে আরও কিছু বিষয় কে তুলে ধরা হল যেখানে এটা বোঝা যাবে যে মার্ক্স নিজেও মানবতার কোন রক্ষক ছিলেন না
তিনি শ্রম এর ভিত্তিতে শ্রেণীকরণ এর বিপক্ষে ছিলেন। এজন্য তাকে একজন মহান বিপ্লবী বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও এটাও ধরা হয় যে মার্ক্স ছিলেন মানবতার মুক্তিদান কারী ঠিক আছে তাহলে আপনাদেরকে এর নিচের উক্তি গুলোকে পরে নিতে বলা হল

"The classes and the races too weak to master the new conditions of life must give way…. They must perish in the revolutionary holocaust." – Karl Marx, Marx People's Paper, April 16, 1856, Journal of the History of Idea, 1981
এখানে যে ব্যাক্তি হলোকাস্ত এ বিশ্বাসী এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের এর বিপক্ষে তাকে অবশ্যই মানবতার রক্ষক বলা যায়না? এছাড়াও তার শিষ্যদের দ্বারা সংঘঠিত শ্রেণীসংগ্রাম নির্মূল এর জন্য কৃত শান্তিপূর্ণ কাজকর্মের কথা না হয় নাই বলা হল ।
আচ্ছা এই দুটি মতবাদের একটিও কি খুব মানবিক? কোন রকমের বিশ্লেষণে না গিয়েও এটা বলা যায়
না অবশ্যই না
আচ্ছা এখন একটা সরল বিশ্লেষণে আসা যাক

আচ্ছা মনে করুন আমি এমন একজন মানুষ যে কিনা একটা অনেক উচ্চ অবস্থানে অবস্থান করছি(শারিরিক, বস্তুগত এবং বৌদ্ধিক তিন দিক থেকেই) এখন আমাকে কোন ব্যাপার বা কোন বৃহত্তর উদ্দেশ্য কে সাধন করার জন্য বিপুল পরিমান মানবকে অত্যাচার আর শোষণ করার প্রয়োজন। এটা করতে হবে যাতে করে কোন বস্তুবাদী কল্যাণ সাধিত হয় আমার এবং আমার জাতির জন্য তাহলে কি আমার বিবেক আমাকে করতে সেটা বাধা দিবে? মিলিয়ন বছরের বিবর্তনের তাড়নায় কি আমি এই নিজেকে রক্ষা এবং তোষণ করার মানসিকতা পোষণ করব না ? আর এতে কোন মতবাদ আমাকে আর আমার বিবেক কে বাধা দিবে? আর বস্তুবাদী অথবা শক্তিগত বাধার কি আসলেই কোন রকম ভুমিকা থাকবে এখানে? এছাড়াও কোন যুক্তির বলে আমাকে কেউ বিরোধিতার সম্মুখীন করবে? এটা তো প্রকৃতির নিয়ম তাইনা? শক্তিশালী টিকে থাকে আর দুর্বল বিনষ্ট হয় । গভীরভাবে চিন্তা করলে এটা একটা ভয়াবহ মতবাদ বলেই মনে হবে যে কারো কাছে আর এজন্যই হয়ত ডকিন্স উপরের কথা সমূহ বলেছেন
এছাড়াও আমার কথা তে যারা নাস্তিকতা এবং বস্তুবাদ বিদ্বেষ খুঁজে পাচ্ছেন তাদের জন্য আছে নিচের উক্তিটা

Cornell University এর একজন প্রফেসর William B. Provine যিনি নিজে একজন ডারউইন বাদী বিবর্তন নৈতিকতার ভিত্তি হতে পারে কিনা সে বিষয়ে তিনি কি বলেছেন দেখা যাক
"(...), when he [Darwin] deduced the theory of natural selection to explain the adaptations in which he had previously seen the handiwork of God, Darwin knew that he was committing cultural murder. He understood immediately that if natural selection explained adaptations and evolution by descent were true, then the argument from design was dead and all that went with it, namely the existence of a personal god, free will, life after death, immutable moral laws, and ultimate meaning in life. The immediate reactions to Darwin's On the Origin of Species exhibit, in addition to favorable and admiring responses from a relatively few scientists, an understandable fear and disgust that has never disappeared from Western culture."

অনুবাদঃ যখন ডারউইন তার বিবর্তনবাদ এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ প্রচার করেন তখন তিনি জানতেন যে তিনি সংস্কৃতিকে হত্যা করছেন। যেটাকে পূর্ববর্তী সময়ে ইশ্বর এর কাজ বলে ধারণা করা হত এখন থেকে সেটা হয়ে গেল শুধুই প্রাকৃতিক নির্বাচন। তিনি সাথে সাথেই বুঝে গেছিলেন যে যদি প্রাকৃতিক নির্বাচন আর অভিযোজন এর ভিত্তিতে পশুত্ব থেকে বিবর্তন সত্যি হয় তাহলে আর্গুমেন্ট অব ডিজাইন মৃত হয়ে যাবে এবং তার সাথে সাথে আরও সকল বিষয় যেমন ব্যাক্তিগত ইশ্বর এ বিশ্বাস, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি,অলঙ্ঘনীয় নৈতিক আইন সমূহ এবং জীবনের চরমতম বা পরম অর্থ সবই ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। ডারউইন এর অরিজিন অব স্পিসিজ এর প্রথম প্রদর্শনী তে যে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া হয়েছিল সেটা কিছু বিশেষজ্ঞ এর কাছে ভালো মনে হলেও একটা বোধগম্য ভয় আর সংকোচ ও দেখা দিয়েছিল যেটা আজও এতটুকু মলিন হয়নি।
আচ্ছা এখন একটা অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন আসে আর সেটা হচ্ছে কেন তবে বস্তুবাদী মানসিকতার প্রসারের পরেও পাশ্চাত্য একটা নৈতিকতা বিবর্জিত ভাগাড়ে পুরোপুরি রূপান্তরিত হয়নি ?

এটার কারন এটা হতে পারে যে বস্তুবাদী পরিবেশে বড় হলেও আজও একটা ভাববাদী এবং আধ্যাত্মিক দর্শন মানুষের অভ্যন্তরে প্রচ্ছন্ন ভাবে বিদ্যমান আজও আর এই বস্তুবাদী দর্শনের সর্বোচ্চ সীমানা ডারউইন বাদ ৬৯% পশ্চিমা আমেরিকান এর কাছে সত্য মনে হয় না। আজও তাদের নৈতিকতার ভিত্তি আত্মিক মতবাদ। এজন্য হেডনিজম এবং utilitarianism এরমত মতবাদ এর মত মতবাদ এর সম্মুখীন হয়েও তারা পুরোপুরি ভাবে ভুলে মানবতা আর নৈতিকতা

এটার জবাব দিতে গিয়ে অনেকে ফ্রয়েড এর সেই বিখ্যাত উক্তিটি তুলে ধরেন যে এককালে হয়ত ধর্ম নৈতিকতা আর মানবতা শিখিয়েছে আর আধ্যাত্মিক দর্শন আমাদেরকে মানবতার বানী শুনিয়েছে তবে আজ আর সেগুলোর দরকার নাই আজ ধর্ম শুধুই দুর্বলের বেঁচে থাকার হাতিয়ার তাহলে আমি তাদেরকে সি এস লুইস এর আরও একটি উক্তি সমন্ধে নিচে জানিয়ে দিতে চাই
সি এস লুইস তার Abolition of Man, নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেন

(1946/1978: 19) "Without the aid of trained emotions the intellect is powerless against the animal organism. I had sooner play cards against a man who was quite skeptical about ethics, but bred to believe that a 'gentleman does not cheat', than against an irreproachable moral philosopher who had been brought up among sharper’s. In battle it is not syllogisms that will keep the reluctant nerves and muscles to their post in the third hour of the bombardment."

এখানে "Without the aid of trained emotions the intellect is powerless against the animal organism. বলতে কি বোঝানো হয়েছে? আর যদি মনে হয়ই যে কোন ধরণের বস্তুবাদী মনভাব এবং মতবাদ আমাদের কে এটা শিক্ষা দিতে সক্ষম তাহলে নিয়ে আসুন আপনারা সেই মতবাদ।

আর এর দ্বারা মানবতা আর বস্তুবাদ কোথায় থেকে কিসের মাধ্যমে আর কেন একত্রিত হয়েছে সেটা অবশ্যই ভাবার মত বিষয় ? আর সেটা কোন দিক থেকে একত্রিত মানবতার সাথে এরকম কোন কার্যকরী সংযোগ কোথায়?

বস্তুবাদের একটা দর্শন আছে এমন যে আমরা মহাজাগতিক পথিক।
কিন্তু আবার তার সেই ডারউইন বাদই বলে যে পৃথিবীর মত অপর আরেকটা গ্রহ মহাবিশ্বে পাবার সম্ভাবনা প্রায় নেই এর কাছাকাছি সেখানে এর প্রভাবও বাতুলতার কাছাকাছি হওয়াই শোভন।

তাহলে এই মতবাদ যার সম্ভাবনা মিলিয়ন এমনি বিলিয়নে এক সেরকম একটি মতবাদ আমাদের কে মহান জীবনদর্শন শিক্ষা দেবে এটা ভাবা কিভাবে যায়?

এছাড়াও চার্বাক, সাংখ্য এরকম কিছু মতবাদ আছে আমাদের নিকট তবে এটা জেনে রাখা জরুরি যে চার্বাক বাদ ছিল প্যাগান মতবাদ আর সাংখ্য তে ইশ্বর কে অস্বীকার করা হলেও আত্না আর দেবতা কে অস্বীকার করা হয়নি অর্থাৎ ধর্ম যদি নাওবা হয় এরপরেও কোন আত্মিক মতবাদ ব্যাতিত বস্তুবাদী এবং চরম বস্তুবাদী মতবাদ দ্বারা যদি কেউ নৈতিকতার ভিত্তিকে তুলে ধরতে চান তাহলে তাকে অবশ্যই দূরদর্শী বলা যায়না

আচ্ছা শেষ করার আগে বস্তুবাদীদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন
বস্তুবাদে ভালবাসার অবস্থান কোথায়? এর মাধ্যমে ভালবাসাকে কিভাবে ব্যাখা করবেন আপনি? বস্তুবাদে তো ভালবাসাকে শুধুই টিকে থাকার জন্য একটা ফালতু কেমিক্যাল রি একশান হিসেবে দেখা হয় এর কোন বস্তুবাদী গুরুত্ব আছে কি?
প্রাকৃতিক নির্বাচনের দ্বারা মানব সমাজে একজন অসহায় পঙ্গুকে বাচিয়ে রাখার পক্ষে কিভাবে বস্তুবাদের সপক্ষে যুক্তি খুঁজবেন? আর যদি সে একেবারে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয় তবে কিভাবে খুঁজবেন?
জীবনের এবং জৈবিক চেতনার মহত্তম মানে বস্তুবাদে কি ?
(এটা মাত্র ভুমিকা এখানে বস্তুবাদীদের[কেবলমাত্র বস্তুবাদের অনুসারী যারা] মতবাদ এবং যুক্তি শোনার পরেই এর দ্বিতীয় পর্ব আসবে)
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×