দেখুন ছবি ব্লগ: পর্ব -১ Click This Link
দেখুন ছবি ব্লগ: পর্ব -২ Click This Link
দেখুন ছবি ব্লগ: পর্ব -৩ Click This Link
দেখুন ছবি ব্লগ: পর্ব -৪ Click This Link
চিত্রঃ ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু।
১. বঙ্গবন্ধু।
[বাংলাদেশের জন্মদিন ২৬ মার্চ, ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল, ১৭ এপ্রিল সেই সরকার (মুজিবনগর সরকার) শপথ গ্রহণ করেছিল। মার্চের ২৬ থেকে এপ্রিলের ১০ তারিখ— এই পনেরো দিন দেশে সরকার না থাকলেও মুজিবনগর সরকারই ঐ পনেরো দিনও ছিল মর্মে বৈধতা দেওয়া হয়। এই ধরনের বৈধতাকে বলা হয় ভূতাপেক্ষ বৈধতা বা রেট্রোস্পেক্টিভ ইফেক্ট। কোনো একটা আইন 'পরে' পাশ করে সেই আইন 'আগেও' কার্যকর ছিল ধরে নেওয়া হলে সেই কার্যকরিতাকে 'রেট্রোস্পেকটিভ ইফেক্ট' বলে।
ঐ সরকারের অধীনে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে 'দেশ স্বাধীন' করেননি। বরং দেশকে পাকিস্তানিদের কবল থেকে 'দখলমুক্ত' করে 'বিজয়' অর্জন করেছেন। দেশ মার্চের ২৬ তারিখ থেকেই স্বাধীন। মার্চের ২৬ তারিখ থেকেই এই ভূখণ্ডের নাম বাংলাদেশ, পূর্ব পাকিস্তান না (২৫ মার্চ পর্যন্ত এই ভূখণ্ড পূর্ব পাকিস্তান ছিল)। মুক্তিযুদ্ধ যদি এখনও চলত, আমরা যদি দখলদারমুক্ত হতে না পারতাম; তা হলে আমাদের একটা স্বাধীনতাদিবস (২৬ মার্চ) থাকত, আমরা কাগজে-কলমে ও মনে-মনে স্বাধীন থাকতাম; কিন্তু পাকিস্তানেরই অনুগত থাকতে হতো, বিভিন্ন রাষ্ট্রের দ্বারে-দ্বারে এখনও ঘুরতে হতো স্বীকৃতির জন্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী 'পূর্ব পাকিস্তান'-এ হামলা করেনি, হামলা করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ওপর। একাত্তরের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা 'পশ্চিম পাকিস্তান'-এর বিরুদ্ধে লড়াই করিনি, লড়াই করেছি 'পাকিস্তান'-এর বিরুদ্ধে। কারণ ২৬ মার্চের পর থেকে পাকিস্তানের পূর্ব বা পশ্চিম শাখা বলে কিছু ছিল না। পূর্ব শাখাটি হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ আর পশ্চিমটি শুধুই পাকিস্তান।
১৬ ডিসেম্বরকে বাংলাদেশের জন্মদিন মনে করা কিংবা বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হয়েছিল ভাবার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকালীন নয়মাস আমরা পাকিস্তানিই ছিলাম, মুজিব-তাজউদ্দিন-নজরুল সরকার অবৈধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা অহেতুক এবং এই যে মানবতাবিরোধী ছয়জন অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হলো, ঐ ফাঁসিও অবৈধ। কারণ যে আইনে আমরা তাদের বিচার করেছি, ঐ আইনে কেবল বাংলাদেশীদেরই বিচার হওয়া সম্ভব, অন্যদেশীদের না। ঐ অপরাধীরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর সময়টায় এই ভূখণ্ডকে বাংলাদেশ ভাবা না হলে, পূর্ব পাকিস্তান ভাবা হলে এই আইনে ওদের বিচার হওয়া সম্ভব না।
অতএব ১৬ ডিসেম্বর ফেসবুকে 'শুভ জন্মদিন, বাংলাদেশ' কিংবা 'এইচবিডি, বিডি' লেখার কোনো সুযোগ নেই। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্মদিন— এটা একটা মিথ্যাচার, এটা একটা ফাঁদ, এটা একটা টোপ। সত্যটা জানতে হবে।
আখতারুজ্জামান আজাদ
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯]
২. বঙ্গবন্ধু।
৩. আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি, মনে হচ্ছে লাঠির উপর বসে আছেন।
৪. বঙ্গবন্ধু, জনস্রোতের মধ্যমণি।
৫.
৬.
৭.
৮. মাওলানা ভাসানী।
৯. দলে দলে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ নির্যাতিত জনতা।
১০.
১১.
১২.
১৩. ******* [ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য আর সত্যতার বিষয়ে অনিশ্চয়তার ফলে সরিয়ে নেয়া হলো ]
১৪. ২৫ মার্চ রাতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
১৫. পাক বাহিনী শাস্তি দিচ্ছেন নিরীহ বাঙালিদের।
১৬. শরণার্থী শিবির।
১৭.
১৮.
১৯. হিন্দু নাকি মুসলিম, গবেষণা করছেন পাক সৈন্য।
২০.
২১.
২২.
২৩.
কৃতজ্ঞতাঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3204027476280496&id=288243444525595 ,
google.com, Wikipedia, facebook.com
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩