somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবি ব্লগঃ ৫ - মুক্তিযুদ্ধকালীন কয়েকটি স্থিরচিত্র

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেখুন ছবি ব্লগ: পর্ব -১ Click This Link
দেখুন ছবি ব্লগ: পর্ব -২ Click This Link
দেখুন ছবি ব্লগ: পর্ব -৩ Click This Link
দেখুন ছবি ব্লগ: পর্ব -৪ Click This Link


চিত্রঃ ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু।
১. বঙ্গবন্ধু।



[বাংলাদেশের জন্মদিন ২৬ মার্চ, ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল, ১৭ এপ্রিল সেই সরকার (মুজিবনগর সরকার) শপথ গ্রহণ করেছিল। মার্চের ২৬ থেকে এপ্রিলের ১০ তারিখ— এই পনেরো দিন দেশে সরকার না থাকলেও মুজিবনগর সরকারই ঐ পনেরো দিনও ছিল মর্মে বৈধতা দেওয়া হয়। এই ধরনের বৈধতাকে বলা হয় ভূতাপেক্ষ বৈধতা বা রেট্রোস্পেক্টিভ ইফেক্ট। কোনো একটা আইন 'পরে' পাশ করে সেই আইন 'আগেও' কার্যকর ছিল ধরে নেওয়া হলে সেই কার্যকরিতাকে 'রেট্রোস্পেকটিভ ইফেক্ট' বলে।
ঐ সরকারের অধীনে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে 'দেশ স্বাধীন' করেননি। বরং দেশকে পাকিস্তানিদের কবল থেকে 'দখলমুক্ত' করে 'বিজয়' অর্জন করেছেন। দেশ মার্চের ২৬ তারিখ থেকেই স্বাধীন। মার্চের ২৬ তারিখ থেকেই এই ভূখণ্ডের নাম বাংলাদেশ, পূর্ব পাকিস্তান না (২৫ মার্চ পর্যন্ত এই ভূখণ্ড পূর্ব পাকিস্তান ছিল)। মুক্তিযুদ্ধ যদি এখনও চলত, আমরা যদি দখলদারমুক্ত হতে না পারতাম; তা হলে আমাদের একটা স্বাধীনতাদিবস (২৬ মার্চ) থাকত, আমরা কাগজে-কলমে ও মনে-মনে স্বাধীন থাকতাম; কিন্তু পাকিস্তানেরই অনুগত থাকতে হতো, বিভিন্ন রাষ্ট্রের দ্বারে-দ্বারে এখনও ঘুরতে হতো স্বীকৃতির জন্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী 'পূর্ব পাকিস্তান'-এ হামলা করেনি, হামলা করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ওপর। একাত্তরের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা 'পশ্চিম পাকিস্তান'-এর বিরুদ্ধে লড়াই করিনি, লড়াই করেছি 'পাকিস্তান'-এর বিরুদ্ধে। কারণ ২৬ মার্চের পর থেকে পাকিস্তানের পূর্ব বা পশ্চিম শাখা বলে কিছু ছিল না। পূর্ব শাখাটি হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ আর পশ্চিমটি শুধুই পাকিস্তান।
১৬ ডিসেম্বরকে বাংলাদেশের জন্মদিন মনে করা কিংবা বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হয়েছিল ভাবার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকালীন নয়মাস আমরা পাকিস্তানিই ছিলাম, মুজিব-তাজউদ্দিন-নজরুল সরকার অবৈধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা অহেতুক এবং এই যে মানবতাবিরোধী ছয়জন অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হলো, ঐ ফাঁসিও অবৈধ। কারণ যে আইনে আমরা তাদের বিচার করেছি, ঐ আইনে কেবল বাংলাদেশীদেরই বিচার হওয়া সম্ভব, অন্যদেশীদের না। ঐ অপরাধীরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর সময়টায় এই ভূখণ্ডকে বাংলাদেশ ভাবা না হলে, পূর্ব পাকিস্তান ভাবা হলে এই আইনে ওদের বিচার হওয়া সম্ভব না।

অতএব ১৬ ডিসেম্বর ফেসবুকে 'শুভ জন্মদিন, বাংলাদেশ' কিংবা 'এইচবিডি, বিডি' লেখার কোনো সুযোগ নেই। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্মদিন— এটা একটা মিথ্যাচার, এটা একটা ফাঁদ, এটা একটা টোপ। সত্যটা জানতে হবে।

আখতারুজ্জামান আজাদ
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯]

২. বঙ্গবন্ধু।


৩. আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি, মনে হচ্ছে লাঠির উপর বসে আছেন।


৪. বঙ্গবন্ধু, জনস্রোতের মধ্যমণি।


৫.


৬.


৭.


৮. মাওলানা ভাসানী।


৯. দলে দলে নিরাপদ আশ্র‍য়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ নির্যাতিত জনতা।


১০.


১১.


১২.


১৩. ******* [ প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য আর সত্যতার বিষয়ে অনিশ্চয়তার ফলে সরিয়ে নেয়া হলো ]
১৪. ২৫ মার্চ রাতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড।


১৫. পাক বাহিনী শাস্তি দিচ্ছেন নিরীহ বাঙালিদের।


১৬. শরণার্থী শিবির।


১৭.


১৮.


১৯. হিন্দু নাকি মুসলিম, গবেষণা করছেন পাক সৈন্য।


২০.


২১.


২২.


২৩.



কৃতজ্ঞতাঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3204027476280496&id=288243444525595 ,
google.com, Wikipedia, facebook.com
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×