
অনেকদিন আগের কথা,
তখন বাংলাদেশের মসনদে ছিলেন ধর্মপ্রাণ একজন মহান শাসক। তিনি তাহাজ্জুদে রাত পার করে দিতেন। তাঁর তাসবীহ এতই লম্বা ছিলো যেটা দিয়ে তিনি দিল্লি শাসন করতে পারতেন। তাসবিহ'র এ মাথায় তিনি, ঐ মাথায় দিল্লি। দিল্লির মসনদ এই শাসকের আঙ্গুলের ইশারায় নাচতো।
তাঁর দরবারে “জ্বি হুজুর, মারহাবা, আলমপনা, জাঁহাপনা, হজরত” এ টাইপ তেলবাচক শব্দ ব্যবহৃত হত। তিনি খুউব পছন্দ করতেন। তাঁর দানের হাত এতই বড় ছিলো যে, লিখে শেষ করা যাবে না। মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে যাবে। তন্মধ্যে দুই একটা না লিখলেই নয়।
- তিনি দরবেশ বাবা নামক একজনকে পুরো শেয়ার বাজার দিয়ে দিয়েছিলেন।
- মাঝেমধ্যে দিল্লির কাজে খুশি হয়ে বন্দর, রাস্তাঘাটও দিয়ে দিতেন।
- এমনকি তাঁর এক ডাকবাহক ছিলেন, তাকে প্রায় চারশ কোটি স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছিলেন, উপহার।
এসব উদারতার কারণে তাঁর অনুসারীরা আবেগে তাঁকে ‘মা’ ডাকতেন। তিনিও ‘বাছা’ বলে বুকে টেনে নিতেন। মাঝেমধ্যে কাঁঠালের বিরিয়ানি, বার্গার এসব খাওয়াতেন।
কিন্তু এই মমতাময়ী মা কোনরকম ভিন্নমত বরদাশত করতেন না। খুউব রাগ করতেন। বিলকুল নিষিদ্ধ ছিলো। এদিকওদিক হলেই ‘কল্লা-গায়েব’ টাইপ অবস্থা। যারাই টু করেছেন তাদের তাঁর জান্নাতুল ফেরদৌসের আয়নাঘরে পাঠিয়ে দিতেন।
তাঁর জীবদ্দশায় একটা সেতু বানিয়ে পুরো মুলকের সব রাজ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যের রাজারা বলেছিলেন ‘মারাহাবা’।
তিনি চেয়েছিলেন ২১০০ সাল পর্যন্ত তাঁর উদারতার এ ধারা অব্যাহত রাখবেন। কিন্তু বিধি বাম। পারলেন না। ২০২৪ সালে বাংলাদেশকে মুক্ত করে দিয়ে তাসবীহ ধরে ধরে দিল্লি চলে গেলেন। আহ হা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



