
ইউনুস সাহেব যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন, মনে হচ্ছে না তিনি সফল হবেন। তাকে তার কাজ করতেই দেয়া হবে না। এদের এই অজুহাত, ওদের ওই অজুহাত করে করে তার সময় শেষ হবে, ফলে তিনি ব্যর্থ সরকারের তকমা নিয়ে গদি ছাড়বেন। তাকে সুষ্ঠুভাবে দেশ চালানোর জন্য আরও কঠোর হতে হবে। তার-
১. সংবিধান সংশোধন করা উচিত।
২. হাসিনা সরকারের পালিত রাষ্ট্রপতিকে বিদায় দেয়া উচিত।
৩. রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করা উচিত। এই কয়েকটি বিষয় নিয়ে এই মুহুর্তে না ভাবলে ইউনুস সাহেব খালি ব্যাগ নিয়ে ফিরতে হবে।
এক সময় হয়তো গণ-আন্দোলনের মুখেও পড়তে পারেন।
সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ড সকলেরই জানা। সে বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা নিষ্প্রয়োজন। আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া সবচেয়ে ভীতিকর তিনটা দিক হলো,
১. প্রশাসন সেক্টর দলীয়করণ :
২. প্রতিটা সেক্টরে অবাধ দুর্নীতির সুযোগ :
৩. শিক্ষার হার বাড়াতে গিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস :
এ তিনটা দিক বাংলাদেশকে অন্তত ১০০ বছরের জন্য পিছিয়ে রাখবে।
অবাধ দুর্নীতি আর শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের প্রভাব এবং ফলাফল সবারই জানা। একটা দেশকে ধ্বংস করার জন্য এবং লোভী আর মূর্খ জাতি গড়তে হলে প্রথমে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করতে হবে। তারপর দুর্নীতি প্রতিটা নাগরিকের চিন্তা চেতনায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। প্রতিটা কাজ ‘টাকা ছাড়া হয় না ’, ‘স্পীড মানি লাগবে’, ‘মামা-খালু লাগবে’ এই সিস্টেমে নিয়ে আসাই হলো ছোটখাটো দুর্নীতি। যে জাতির মন-মগজে এই সিস্টেম জানা থাকবে সে জাতির পতন ঠেকানো অসম্ভব।
কিন্তু প্রশাসন দলীয়করণের কারণে নতুন সরকারের খুব একটা লাভ নেই। সরকার বড়জোর উদ্যোগ নিবে, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তারা নতুন সরকারকে কোনভাবেই সাহায্য করবে না। প্রতিটা সেক্টরে দাবি, কর্মসূচি, কর্মবিরতি নামক অজুহাত দিতে থাকবে। এই মুহুর্তে তা চলমান। কার্জত পুলিশ এই মুহুর্তে কিছুই করছে না। গা ছাড়া একটা ভাব। আনসার আন্দোলন করলো কিছুদিন আগে। পল্লীবিদ্যুৎ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। এইভাবে প্রতিটা সেক্টরে দুর্নীতি, দলীয়করণের কারণে দেশের জনগণ সুফল পাবে না। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দল নির্বাচনের জন্য চাপ দিতে থাকবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফল নিতে আসবে।
এই হলো ভবিষ্যত বাংলাদেশের কিছু কর্মকাণ্ড। আশাকরছি কিছুদিন পর বিস্তারিত দেখতে পাবেন।
ইউনুস সাহেব নিজের ভালো মানুষী দিয়ে বাঙালি সোজা করতে পারবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



