somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কালো বিড়ালের’ পদত্যাগ দাবি

১২ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, তিনি রেলের ‘কালো বিড়াল’ খুঁঁজে বের করবেন। টাকাসহ তাঁর এপিএসের গাড়ি আটকের খবরে অনেক পাঠক এখন রেলমন্ত্রীকেই সেই কালো বিড়াল বলে মন্তব্য করেছেন

‘আচ্ছা, আপনি নিজেই তাহলে সেই কালো বিড়াল? ন্যূনতম লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করুন।’ ‘রেলমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ চাই। সভ্য সমাজে, সভ্য দেশে এটাই রীতি।’
প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে এই মন্তব্য দুটি করেছেন আলী হাসান ও আবদুল হালিম মিয়া। কেবল এ দুজনই নন, শত শত পাঠক গতকাল এ ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। টাকাসহ মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আটকের ঘটনার জন্য তাঁরা সবাই মন্ত্রীকেই দুষেছেন। ‘রেলমন্ত্রীর এপিএসের গাড়ি হঠাৎ পিলখানায়’ শিরোনামে গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত সংবাদটিতে মন্তব্য পড়েছে ৭৮০টি। প্রায় সবাই এ ঘটনার জন্য মন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ পাঠক মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। পাঠকদের আরেক অংশ সুরঞ্জিতকেই ‘রেলের কালো বিড়াল’ বলে মন্তব্য করেছেন। অনেকে উদ্বিগ্ন গাড়িচালক আজম খানের নিরাপত্তা নিয়েও।
‘কালো বিড়াল’: রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, তিনি রেলের কালো বিড়াল খুঁঁজে বের করবেন। গতকাল অনেক পাঠক এই কালো বিড়াল নিয়েই মন্তব্য করেছেন।
এ কে এম বদরুদোজ্জা লিখেছেন, ‘বিড়ালের লেজ কাটা গেছে। বিড়ালের যদি লজ্জাশরম থাকে, তবে সে আর শুঁটকি খাবে না।’
এন ইসলাম নামের এক পাঠক লিখেছেন, ‘এই হলো কালো বিড়াল। সব জলের মতো পরিষ্কার।’ রুবেল আহমেদ মন্তব্য করেছেন, ‘শুঁটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার হলে যা হয় আর কি।’ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘রেলের কালো বিড়াল ধরতে গিয়ে থলের বিড়াল বের হয়ে গেছে!’
রহমতউল্লাহ সরকার বলেছেন, ‘অবশেষে বের হলো আমাদের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের কালো বিড়াল!’ বাবুল লিখেছেন, ‘আবোলতাবোল বুঝিয়ে কোনো লাভ হবে না, সব জলের মতো পরিষ্কার। দেখা যাক সরকার কী ব্যবস্থা নেয়।’
রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরষের মধ্যে ভূত আর এই ঘটনার মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না।’ জামান লিখেছেন, ‘যতই চেষ্টা করুন না কেন, থলের বিড়াল তিনি আর ঢাকতে পারবেন না। ওটা আজ বের হয়েছে, কাল না হয় পরশু ওটা মুখও খুলবে।’
মোহাম্মদ রহমান বলেছেন, ‘কালো বিড়াল এত কাছে তবু ধরা যায় না!’ জারিস তালুকদার বলেন, ‘শুঁটকির বাজারে বিড়াল চৌকিদার!’ মাহফুজা বুলবুল লিখেছেন, ‘এই আমাদের রেলমন্ত্রী! তাঁর কোর্তার নিচেই কালো বিড়াল! তিনি দেশ তোলপাড় করে কালো বিড়াল খুঁজছেন!’
ফেরদৌস ইপন লিখেছেন, ‘একেই যেন বলে, চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের এক দিন।’ মোহন খান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের কালো বিড়াল এখন মন্ত্রী সুরঞ্জিতের গাড়িতে!!!! আশা করি প্রধানমন্ত্রী এই টাকার ব্যাপারে তাঁর মূল্যবান বাণী দেবেন।’
কুলসুম আল নজরুল বলেন, ‘কালো বিড়াল গাড়িতে। বাংলাদেশের প্রথম রেলমন্ত্রীর বাড়িতে বস্তায় ভরে গাড়িতে করে টাকা নেবার পথে এপিএসসহ রেল কর্মকতারা আটক।’
তোফাজ্জল ইসলাম লিখেছেন, ‘শুঁটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার। বঙ্গবন্ধু ঠিকই বলেছেন, “সবাই পায় সোনার খনি, আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।”’
সুরঞ্জিতের পদত্যাগ দাবি: পাঠকেরা মনে করেন, এ ঘটনার সঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের যোগসাজশ আছে। তাই অনেক পাঠকই সরাসরি রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
মোহাম্মদ মুকুল লিখেছেন, ‘মন্ত্রীজী, আর লেকচারবাজির দরকার নেই। পদত্যাগ করুন।’ আবদুল মালেক লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষকে চাকরি দেওয়ার নামে কমিশন-বাণিজ্য। আর এ কমিশন মন্ত্রী সুরঞ্জিতের জন্য!!! দাদা, তোমার লজ্জা থাকা উচিত। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।’
এম আলাম অভি লিখেছেন, ‘রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। শুধু রেলমন্ত্রীর কমিটি না, সরকার ও দুদক থেকে কমিটি হওয়া চাই।’ সওগাত হোসেন লিখেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’ চৌধুরী লিখেছেন, ‘আপনার বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ থাকে তো, আজই পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগকে তথা পুরো জাতিকে এই লজ্জা থেকে বাঁচান।’
মাহবুব আলম লিখেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন। উনি মনে করেন, উনিই সবচেয়ে চালাক আর সবাই বোকা। তাঁর মিথ্যাচারই প্রমাণ করে, উনি কত বড় চোর এবং দুর্নীতিবাজ...।’
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×