প্রতিবাদ করেন। ভালো কথা। এটা কোন জাতীয় প্রতিবাদ। এই এম্বুল্যান্সে যদি আমার স্ত্রি গর্ভবতী অবস্থায় যদি থাকতো তাহলে সে হার্ট এট্যাকে মারা যেতো। অথবা কল্পনা করুন। আপনার স্ত্রি, বাপ, মা বা আদরের ছোট বোন অসুস্থ অবস্থায় এই এম্বুলেন্স এ আছে। আর কিছু সন্ত্রাসী সেই এম্বুলেন্স এ আক্রমণ করছে। আপনার ও অসুস্থ ব্যাক্তির কি অবস্থা হবে সেটা সহজেই অনুমেয়।
১৯৭১ সালেও মনে হয় পাক হানাদার বাহীনি এমন অত্যাচার করবে না। ১৯৭১ সালে যদি পাক হানাদার বাহিনী যদি এই কাজ করে তাহলে আমি অবাক হবো না। বা ইংরেজ আমলে যদি কোন সাহেবের চামচা যদি এই কাজ করে তাতেও আমি অবাক হবো না। কারন তারা ছিলো বিদেশী। তাদের আমাদের উপর কোন মায়া ছিলো না। তারা ছিলো পশু।
আজ স্বাধীন দেশে এসব কি হচ্ছে?
আর ছাত্রদের কোন পিছু টান নাই। ছাত্ররা সব সময় জীবন দিতে প্রস্তুত। ছাত্র মারা গেলে পরিবারের ভোজা কমবে।
আর একজন ব্যাবসায়ী এর উপর তার পরিবার নির্ভর। তার আয়ে সংসার চলে। গত ২ বছর করোনা মহামারিতে তাদের আয় তেমন হয় নি। এখন রমজান মাস। কাপড় বিক্রি করার মৌসুম। সামনে ঈদ। ঈদের খরচ, করোনার সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সব মিলিয়ে তাদের এখন জান জীবন দিয়ে ব্যাবসা করার কথা ছিলো। তা না করে এম্বল্যান্সে আক্রমন করে।
মানবতা আজ কোথায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৬