ছবির উসৎ: ফেসবুক
01. আমার কাচ্চির সাথে প্রথম পরিচয় ২০১৬ সালে। আমি তখন সরকারি চাকরি তে নতুন নতুন দরখাস্ত করা শুরু করি। ডিসেম্বর মাসের কোন এক শুক্রবারে আমার ইন্টারভিউ ছিলো। পরীক্ষার সেন্টার এর নাম মনে নাই্ পরীক্ষার সেন্টার টি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (চকবাজারের টা) এখানে পড়েছিলো। আমার সাথে আমার নানী এসেছিলো। আবার আমার নানী কে দেখার জন্য মামী আর মামা এসেছিলো।
মামায় আবার আমাদের কাচ্চির প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দেয়। তখন আমার বয়স ছিলো প্রায় ২১ বছর ৪ মাস। এই ২১ বছর আমি কাচ্চি বিরানী স্বাদ পেলাম। আমরা যাার ঢাকার বাহিরে জন্ম এবং বসবাস তারা শহরের জীবনধারার সাথে অভ্যস্থ্য না।
02. এর পরে ২০১৯ সালে। সেই একই সেন্টারে আমাদের পরীক্ষা। আমার সাথে ছিলো আমার খালাত্বো ভাই। সাথে ছিলো ৫০০ টাকার প্রাইজবন্ড। গুলিস্থান থেকে সেই প্রাইজবন্ড ভাঙ্গাইলাম। পরে রাজধানী হোটেল থেকে কাচ্চি খাইলাম।
03. এই একই সালের ডিসেম্বরের দিকে। আমি আর আমার আপন ছোট ভাই চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছিলাম। তখন আমাদের আব্বু চুয়াডাঙ্গায় পোস্টিং ছিলো। গুলিস্থানের সাথে একটা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। সেই এলাকাতে আমরা দুই ভাই কাচ্ছি খেয়েছিলাম।
04. ২০১৯ সালে আমাদের অনার্স এর ফাইনাল পরীক্ষা হয়। আমাদের পরীক্ষার সেন্টার ছিলো সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ। এই কলেজ নারায়ণগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ এর ভেতরে খুব নাম করা কলেজ। এই কলেজে ইন্টারে চান্স পাওয়া আর নটরডেম কলেজে চান্স পাওয়া এক। আমাদের পরীক্ষা শেষ হয় বিকাল ৫ টা বাজে। বাসায় (গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ) যেতে যেতে রাত ৭টা বাজবে। তাই নারায়ণগঞ্জ থেকে এক প্যাকেট কাচ্চি নিয়ে যাই। বাসায় খাবো। তখন আমি বাসায় একাই থাকতাম।
কাচ্চি একটি মজার খাবার। তবে সেটা বাড়িতে রান্না করে খাওয়াই উত্তম। বাংলার হোটেলে কুকুরের, মরে পচে যাওয়া খাসির গোস্ত দিয়ে কাচ্চি রান্না করা হয়; এটা আমার সন্দেহ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩