পিতা হচ্ছে সংসারের ছাদ। আমাদের জীবনে পিতার প্রয়োজনীয়তা অনেক। নাইন টেইন পোলাপানদের মত এই জাতীয় কথা বলে ব্লগ বড় করবো না।
২০০৫ সালে আমি ক্লাশ ফাইবে পড়ি। তখন আমার মামার বিয়ে হয়। সেই বিয়েতে দূর সম্পর্কের এক খালাত্বো বোনের সাথে পরিচয় হয়। সে ছিলো খুব সুন্দরী। সে সময় ঐ মেয়ের সাথে ঐশ্বরিয়ার তুলনা করা যেতো। সাদা চামড়া, সুন্দর চেহেরার গড়ন, মিষ্টি হাসি যে কারো পুরুষকে কাবু করেতে পারবে। মেয়েটি ছিলো আমার সম বয়সী। ওর সাথে আমার ভালো খাতিল জমে ওঠে।
আমি কল্পনা করেই নিয়েছিলাম এই মেয়ে বড় হয়ে কোন সরকারি অফিসার, প্রভাবশালী নেতা, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী এর সাথে বিয়ে হবে। তার পিছনে ছেলেদের লম্বা লাইন ধরবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
সময় ফেসবুক টুইটার ছিলো না। থাকলে তার সাথে যোগাযোগ হতো। পরে মনে করেন তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আমি যখন ক্লাস টেইনে পড়ি তখন শুনি পিতা মারা যায়।
আমি ইন্টারে ভর্তি হলাম। স্নাতক ও ভর্তি হলাম। সময় বযে যায়। মাষ্টার্স পাশ করলাম। একদিন ঐ মেয়ের সাথে দেখা হয়। ওর মা আর ঐ সুন্দরী বোন আসে। ঐ মেয়ের সাথে এক মুদির দোকানদারের সাথে বিয়ে হয়। অতছ তার বাপ বেচে থাকলে অবশ্যই ঐ নিজের মেয়ে কে মুদির দোকানদারের সাথে মেয়ে বিয়ে দিতো না। বিসিএস ক্যাডার, বড় শিল্পপতি এর সাথে বিয়ে হতো। থানার দাড়োগা দূরে থাক, তাকে বিয়ে করার জন্য পুলিশ সুপারেরা প্রতিযোগিতা করতো। তার বাপ মারা যাবার পর; ওর দিকে কোন ছেলে ফিরেও তাকাতো না। এখন অবশ্য মোটা হয়ে তার সৌন্দর্য নাই হয়ে গেছে।
আরেকজন হচ্ছে আমাদের এলাকার বড় আপু। খুব ব্যাক্তিত্ববান, খুব টেলেন্ড ছিলো। এক বার পড়লে মুখস্ত হয়, এমন মেধাবী । বাপ দিনমুজুর। ঐ আপুর বাপ আপুকে ডাক্তার বানায়। এই দিনু মজুর বাপ, তার সন্তান কে ডাক্তার বানাতে কত কষ্ট হয়েছে এটা ঐ বাপই জানে। আপুর সাথে দেখা হয়। সাথে তার স্বামী ছিলো। “কেমন আছেন?” এই জাতীয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। আরো সময় পেলে তিনি কোথায় পোস্টিং আছে, কত তম বিসিএস ক্যাডার সব জিগাইতাম।
সন্তান জন্ম দেয়া সোজা। একে লালন পালন করা কঠিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯