এই গল্পটি কাল্পনিক। বাস্তব জীবনে কোন মিল নাই। বাস্তবের সাথে কারো জীবনে মিলে গেলে এটা কাকতালীয়। এর জন্য লেখক দায়ী না।
২০১১ সাল। রাহাত মাত্র এসএসসি পাশ করেছে। তাহার পিতা বাবুল হোসেন ছেলের টেস্ট পরীক্ষার সময় মারা যায়। রাহাত এসএসসি পাশ করার পর পুলিশ এর কন্সেটাবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এবং রাহাতের সেই বিজ্ঞপ্তিতে চাকরি হয়ে যা্য়।
পিতা হারা রাহাতের সংসার সম্পন্ন চাপ এখন রাহাতের উপর। ক্লাস ফাইভ পড়ুয়া ছোট বোন। মা এর শ্বাস কষ্ট সব কিছু রাহাত কে থামাতে পারে নি। রাহাত পুলিশ এর চাকরি পাশাপাশি ইন্টার পাশ করে। পরে সে বুয়েটে কম্পিউটার ইজ্ঞিনিয়ারিং এ চান্স পায়।
রাহাত এর উদ্ধর্তন কর্মকর্তা রাহাত কে পড়ালেখা করার সুযোগ দেয়। রাহাত বুয়েট থেকে পাশ করে। এবং বিসিএস এ পুলিশ ক্যাডার চয়েজ দেয়। সেই বিসিএস এ সে এডিশনাল পুলিশ সুপার হয়। এবং সে পুলিশের সাইবার ইউনিট এ পোস্টিং পায়।
এসএসসি পরীক্ষার সময় রাহাতের সহপাঠী ছিলো মিলন। মিলন এর পিতা ছিলো বিশাল বড়লোক। পড়ালেখা ঠিক মত মনে রাখতে পারতো না। বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে কোন এক বিষয়ে স্নাতক করে। কিন্তু মিলন এখনো বেকার। মিলন ব্যাবসা করার সামহস পাচ্ছে না।
অন্যদিকে রাহাত MSC করে। এবং সাইবার সিকিউরিটির এর উপর পিএইচডি কারর জন্য ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পায়। পিএইচডি করার পর রাহাতের প্রমোশন হয়। সে এখন সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট এর ডিআইজি।
পিতার মৃত্যুতে যদি রাহাত জমে যায় নাই।
নাহল ইমরোজ
ভবেরচর, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৮