একদিন নবীজি এক কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আর দেখলেন সেই কবরে আযাব হচ্ছে। পরে নবীজি জানতে পারলেন তারা প্রসাব করে পানি ব্যাবহার করতো না। তারা পবিত্রতা নিয়ে তেমন মাতামাতি করতো না।
এখন আসল কথায় আসি। আমি মুগদার ওভার ব্রিজ দিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার চোখ নিচে যায়। দেখি এক লৈাক দেয়ালের সামনে প্রসাব করছে। যদিও সেটা প্রসাব করার জায়গা না। শুধু এখানে না, নারায়ণগঞ্জের রেল স্টেশনে আকাশে বাতাশে প্রসাবের গন্ধ উড়ে বেড়ায়। ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এর নগর ভবন এর পিছনের দিকে মানুষ প্রসাব করে ভাসিয়ে দিয়েছে। মুতের গন্ধে হাটা যায় না। মানুষের এত প্রসাব ধরে কেন , বুঝি না। আমার যতই প্রসাবের বেগ ধরুক। আমি বাহিরে মুতি না। বাসায়, না হয় পাবলিক টয়লেটে প্রসাব করার চেষ্টা করি। বাংলার মানুষ খুব ধর্মপ্রাণ। আমি সরকার প্রধান হলে দেয়ালে দেয়ালে আরবি অক্ষরে লিখে দিতাম “এখানে প্রসাব করা নিষেধ।”
ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট নাই। প্রত্যেক বাজারে ও বাস স্ট্যান্ডে একটি করে পাবলিক টয়লেট থাকতে হবে। আর পৌর এলাকায় গুরুত্বপূর্ন স্থানে টয়লেট বসাতে হবে। আমাদের মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাজারে একটি পাবলিক টয়লেট আছে। কিন্তু সেখানে কোন ভদ্রলোক গিয়ে প্রসাব পায়খানা করতে পারবে না। তাই পাবলিক টয়লেট স্থাপনের পাশাপাশি একে পরিস্কার করে রাখতে হবে।
ঢাকায় জিপিও এর সাথে একটি পাবলিক টয়লেট আছে। সেটা খুব সুন্দর একটি টয়লেট। সম্পন্ন ফাইভ স্টার হোটেলের মত। এই রকম পাবলিক টয়লেট যদি সব জায়গায় থাকতো।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩০