ছবি: গুগল ম্যাপ থেকে সংগ্রহীত।
দোকানের পজিশন: গুগল ম্যাপ এর লিংক।
ঠিকানা: কলেজ রোডের মাথায়, পল্লী বিদুৎ অফিস এর নিকটে, ভবেরচর, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ।
আমাদের আপন টেলিকম একজন বিখ্যাত দোকানদ্বার। ২০০৩ সাল। আমি তখন ক্লাস থ্রি তে পড়ি। তখন থেকে তাকে নোটিশ করি। তিনি প্রথম দিকে চা বিক্রি করতেন। পরে তিনি গ্রামীণ এর ল্যান্ড লাইন এর ব্যাবসা করতেন। তখন কেউ যদি বিদেশ কথা বলতে চাইতো তখন তার কাছ থেকে আসতো। পরে ল্যান্ড লাইন ওঠে গেলো। পরে মোবাইলে ISD এবং TNT কল আসলো। তিনি মোবাইল দিয়ে বিদেশে ফোন দিতে পারতেন। বিদেশে অবস্থানরত কারো সাথে কথা বলতে চাইলে, উনার কাছে যাওয়া লাগতো। আমার যতটুকু মনে পড়ে আমার আব্বু তার কাছ থেকে ৩০০ টাকার প্রিপেইড কার্ড ক্রয় করেছিলো।
আমার যতটুকু মনে পড়ে তিনি ২০০৫ সালের পর থেকে আর চা বিক্রি করে নাই। তিনি মোবাইল এর কার্ড, রিচার্জ ইত্যাদি করতে লাগলো। এবং সাথে সাবান, ডিজারটেন্ট পাওডার, বিস্কুট, চিফস, জুস, এনার্জি ডিংস বিক্রি করতেন।
২০০৯ সালে আমি খন আব্বুর কোয়ার্টার ছেড়ে নানার বাসা এসে পড়ি। এবং ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় এ ভর্তি হই। স্কুল ছুটি হাবার পর তার কাছ থেকে টাইগার এনার্জি ডিংক্স খেতাম।
২০১০ সালে আমার নানা আমাকে নকিয়া ১৬৬১ কিনে দেয়। আমি মোবাইলে লোড এই আপন ভাই এর কাছ থেকে নিতাম। উনার কাছ থেকে কত হেড ফোন নিয়েছি তার কোন হিসাব নাই। ২০১০ সালে রোযার ঈদে রেডিও তে একটি অনুষ্ঠান শুনি। ভূত এফ এম। উপস্থাপক ছিলেন রাসেল। আমার মনে আছে আমি আপনের এর এখান থেকে একটি হেডফোন আনি। তাছাড়া আমি উনার কাছ থেকে কতগুলা যে অনিকের চার্জার আর অনিকের ব্যাটারি ক্রয় করেছি তার কোন হিসাব নাই।
এখন উনি হচ্ছেন আমাদের এই এলাকার একটি ব্রান্ড। নকিয়া যেমন ব্রান্ড ছিলো। তিনিও একপ্রকার ব্যান্ড। আমাদের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান থেকে আপন ভাই বেশী পরিচিত। আমরা তার উন্নতি কামনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩