এই ঈদে খুব আরাম করে গাইবান্ধা গিয়েছি। আবার খুব আরাম করে ঢাকায় ফিরেছি। কোন ভীড় হয় নি। ভীড়ের জন্য ট্রেনে ওঠতে আর নামতে কোন অনুবিধা হয় নি।
এই কয়েকদিনে রেলের লাভ ৬ কোটি ৭১ লাখ। এটা কয়েকদিনের হিসাব। সম্পর্ন্ন বছরের না।
ট্রেনের টিকেট সমস্যা সেই বহু পুরাতন। এবার ১০০% টিকেট অনলাইনে করেছে। যার কারনে সার্ভারে চাপ পড়েছে। আমাদের টিকেট পেতে খুব সমস্যা হয়েছিলো। এই সমস্যাতে ঘি দিয়েছিলো একটা ফ্যাক্ট। গাইবান্ধা থেকে ঢাকার জন্য টিকেট লাগবে মনে করেন ১০০ টা। রেল গাইবান্ধার জন্য ৪ টা টিকেট সর্বরাহ করে। বাকি ৯৬ জন্য টিকেট কাটতে ফেইল। টিকেটের চাহিদা ৯৭। আর সরকার সাপ্লাই দিচ্ছে ১০৪। তাহলে অনলাইনে টিকেট প্রপত্যা নিয়ে কোন অসুবিধা হতো না। ১৪ তারিখের জন্য টিকেট আছে ১১৫০৪৫ টি। আর টিকেট কাটার জন্য ওদের সার্ভাবে 1332775 জন লোক ওদের এপ এবং ওয়েব সাইডে লগিং করেছেন। তাহলে বুঝেন, চাহিদা অনুযায়ী যোগানের কত তফাৎ। আর আমি সব সময় ৮ টা ৪ মিনিটের মধ্যে ঢাকা যাওয়ার ট্রেনের টিকেট শেষ হয়ে যেতো। তার মধ্যে আসনবিহীন টিকেট অনেকে নেয়। সেই হিসেবে ট্রেনের লাভ হবার কথা। অপ ব্যায় কমাতে হবে।
দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে ট্রেনের আসন, লোকবল, ট্রেনের লাইন, স্টেশন এর সংখ্যা, সব বাড়ানো দরকার। তবে রেল ওয়েকে ধন্যবাদ দিবো যে এবার ঈদে রেল স্টেশনে তেমন ভীড় হয় নাই। আর টিকেট ক্রয় করতে যে জাতীয় পরিচয় পত্রের সিস্টেমটাও সুন্দর। এখন আর কেউ “বুশ” “ওবামা” “বিল ক্লিনটন” নাম দিয়ে ফেইক আইডি খুলতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫