আমার কাছে বর্ষাকাল তেমন ভালো লাগে না। এখন ভালো লাগে না। আগেও বর্ষকাল ভালো লাগতো। এখন ভালো লাগে না। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, প্যাক কাদায় রাস্তা নোংরা হয়ে যায়। বৃষ্টির জন্য কাজে বাহিরে যাওয়া যায় না।
গ্রাম এলাকাতে, যখন গাছ পালা ছিলো, গ্রামে যখন মাটির রাস্তা ছিলো তখন বর্ষা কাল ভালো লাগতো। মনে হতো যেন প্রকৃতি গোছল করে পবিত্র হয়েছে। এখন ঢাকা শহরে বৃষ্টি হলে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং ড্রেনের পানি আর জলাবদ্ধার পানি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।
আমার কাছে ভালো লাগে শীতকাল।
কুয়াশাছন্ন সকালে, লেবুর রস দিয়ে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামে শীতের সকালে ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠা বিক্রি করে। বখেন গ্রামেও এলপি গ্যাস চলে গেছে। আগে দিনে যখন খালারা, নানীরা, দাদীরা মাটির চুলা দিয়ে যথন ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠা বানাতো, কি যে মজা লাগতো। আমি কি বলছি এটা হয়তো মুরব্বিরা বুঝবেন।
আবর সকালে খেজুরের রস পাওয়া যেতো। ডিসেম্বরের পরীক্ষা শেষে শীতের ছুটিতে গ্রামে যেতাম। চাচাত্বো ভাইদের সাথে ঘুরতাম। রাতে ভূতের গল্প করতাম। আর নানার বাসায় গেলে নানী পিঠা বানাতো। একবার কোন এর কুরবানী ঈদ শীতকালে হয়েছিলো। মাটির চুলা দিয়ে গরুর গোস্ত এবং চিতই পিঠা রান্না হচ্ছিল। এ ছিলো এক অন্য রকম অনুভূতি। ট্রাক ভাড়া করে, সাউন্ড বক্স এ গান ছাড়লেও এমন আনন্দপূর্ন অনুভূতি আসবে না।