গতকাল রাতে ট্রেনে করে গাইবান্ধা জেলায় যাচ্ছিলাম।
কোন একটি ট্রেনকে ক্রসিং করানোর জন্য আমাদের ট্রেন একটি স্টেশনে থামে। স্টেশনে তেমন ভীড় নাই। রাতের বেলা, তাই দুএকজন স্টাফ ছাড়া তেমন কেউ নাই। আর কিছু যাত্রী প্লাটফর্মে দাড়িয়ে।
এখন ট্রেন ছেড়ে দিবে। তাড়াহুড়া করে এক জোড়া দম্পতি ট্রেনে ওঠে। আ পিছে পিছে এক ভদ্রলোক ট্রেনে ওঠবে, এমন প্রস্তুতি নিচ্ছে। হঠাৎ ঐ ভদ্রলোক মহিলার ভেন্টি ব্যাগ টান দেয়। মহিলাও তার ব্যাগ টান দেয়। কিন্তু ব্যাগ আর রক্ষা হলো না। চোর ততক্ষনে অনেক দূরে। আর ট্রেন চলতে শুরু করেছে। আর স্বামী তার বউ এর ব্যাগ বাচানোর জন্য চন্তন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেয়। স্বামী ভারসাম্য হারিয়ে প্লাটফর্মে পড়ে যায়। সৌভাগ্যক্রমে তিনি ট্রেনের চাকায় পড়ে নাই। তা হলে স্বামীও মারা যেতো।
পরে এক লোক ইমারজেন্সি ব্রেক টান দেয়। আহত স্বামীকে সহ যাত্রীরা উদ্ধার করে। পরে স্ত্রী তার স্বামীকে অনেকক্ষন জরিয়ে রাখে। যা দেখে, তাদের প্রতি আমার মায়া জন্মাইয়া যায়।
আর চুরির এই ঘটনা আমার চোখের সামনেই হয়েছে। চোরের বেশভূশা দেখে মনে হচ্ছিল সে কোন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। সরকারি বা কম্পনি তে সে চাকরি করে।
কে যে চোর আর কে যে ভদ্রলোক সেটা জানা মুশকিল। তাই ট্রেনে আর বাসে সাবধানে যাবেন। জানালার সাথে বসলে নিজ দায়িত্বে, নিজের মোবাইল নিজে পাহাড়া দিবেন। অপিরিচিত দেয়া খাবার, খাবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩