
আমি বড় হয়েছি গ্রামে। ২০১৩ সাল পযর্ন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, গ্রামের মানুষ জন আনন্দে ও নিজ ইচ্ছাতেই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে দেখেছি। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে, ছিলো এক প্রকার টান টান উত্তেজনা। প্রার্থীরা উন্নয়ন করবেন। সমাজসেবা করবেন। জনগণের পাশে থাকবেন। ইত্যাদি আশ্বাস দিতেন। “আমার ভাই তুমার ভাই, উমুক ভাই, তমুক ভাই।” “আমার ভাই এর চরিত্র, ফুলের মত পবিত্র।” এমন শ্লোগানে মিছিল হতো। আমরাও উপভোগ করতাম।
আসতে আসতে ভোট এর দিন আসতো। ভোটের দিন গ্রামের ভোট কেন্দ্র নানান ভাবে সাজাতো। সুন্দর করেই সাজাতো। তখন তো আমার কাছে এন্ডোয়েট ফোন বা ক্যামেরা ছিলো না। তাই ছবি তুলে রাখতে পারি নাই। ভোট দিয়ে যে যার কাজে চলে যেতো। বিকালের সময় রেজাল্ট দেবার সময় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করতো। সব মিলিয়ে এক প্রকার আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করতো। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতো। যেমন জালভোট দেওয়া। জালভোট দেওয়া কে কেন্দ্রকরে মারামারি। মারামারি থেকে খুনাখুটিও হয়।
২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও অন্যান দল অংশগ্রহন না করায় ৩০০ টি আসনের মধ্যে ১৫৩ টি আসনে আওয়ামীলীগ বিনা প্রতিদন্ধীতায় জিতে যায়। এর পর থেকে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আমি দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, একবার উপজেলা নির্বাচন ও ২০১৮ সালের সাধারন নির্বাচনে ভোট দিয়েছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



