
==> ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত আমি স্নাতক এ পড়েছি। নিয়মিত যাতাযাত করতাম। সেজন্য আমার ভাংতি টাকার চাহিদা ছিলো বেশী। বেশীর ভাগ সময় যমুনা ব্যাংক, ভবেরচর শাখা (মুন্সীগঞ্জ) থেকে আমি ১০ টাকার নোট বা ২০ টাকার নোট বান্ডেল হিসেবে আনতাম। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত কারেন্ট বির ও গ্যাস বিল দেওয়ার জন্য আমি নিয়মিত যমুনা ব্যাংকের উক্ত শাখাতে যেতাম। তখন সুযোগ বুজে ভাংতি টাকা আনতাম। তা ছাড়া বেশ কয়েকবার সোনালী ব্যাংক, ভবেরচর শাখা থেকেওে ভাংতি টাকা এনেছি।
ক্লাসে ইনকোর্স পরীক্ষা থাকলে, কাউকে উপহার দেওয়া লাগলে, কলেজে দিতে হবে, কোন বিশেষ কাজে গুলিস্থান থেকে নতুন টাকা আনতাম। মনে করেন আমি ট্রেড লাইসেন্স করার সময় নতুন টাকা নিয়ে গেলাম। কলেজে ইনকোর্স পরীক্ষা, পরীক্ষার ফিস ধরছে ৩০০ টাকা। আমি ১০ টাকার নোট ৩০ টা স্যারদের দিলাম। পরীক্ষার এডমিট কার্ডের জন্য ১০০ টাকা দেওয়া লাগবে, মনে করেন আমি ১০ টাকার ১০ টি নোট কেরানী কে দিতাম। এখন অবশ্য আগের মত প্রচুর পরিমাণ ভাংতি টাকা লাগে না।
==> এক টাকার কয়েন, দুই টাকার কয়েন, দুই টাকার নোট বা ৫ টাকার নোট, এগুলো একসাথে জমা করি। পরে ব্যাংকে গেলে আমি আমার একাউন্টে জমা রাখি। এই স্বভাব হয়তো আপনাদের কাছে পাগলামি মনে হতে পারে। এই করার কারন হচ্ছে, বাজার শেষে ২ টাকা বা ৩ টাকা বেচে গেলে আমি কি করবো? ফালাইয়া তো দিতে পারি না। কারন এটা টাকা। ১ টাকার কয়েন ২ টাকার কয়েন এগুলো অনেক জমলে, অনেক টাকা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকের একাউন্টে জমা দেই। যার ভাংতি টাকার দরকার, সে ব্যাংক থেকে এসে নিয়ে যাক।
==> আসল কথা: আমার শরীল খুব ঘামায়। যারা দিনমজুর, যারা রিক্সা চালায়, যারা ঠেলাগাড়ি চালায় তারা খুব ঘামায়। ঘামের চোটে ১০ টাকার নোট, ২০ টাকার নোট, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট নষ্ট হয়ে যায়। ছিড়া ছিড়া ভাব দেখা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিৎ শক্তিশালী কাগজ দিয়ে টাকা ছাপানো, যাতে মানুষের ঘামে চুবালেও টাকার কোন ক্ষতি যাতে না হয়। পুরতন ছিড়া নোট মার্কেট থেকে ফিরাইয়া আনেন। নতুন টাকা ছাপান। ১ টাকার নোট পুনরায় ছাপানো হউক। ২ টাকার নোট, ৫ টাকার নোট, ১০ টাকার নোট, ২০ টাকার নোট, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট বেশী বেশী করে ছাপান। ভবিষৎ এ ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক কারেন্সি হবে হয়তো! কিন্তু বাঙ্গালীদের ক্যাশলেস সোসাইটি হতে অনেক সময় লাগবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



