
টেলিটক হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এটা পাবলিক লিমিটেড কম্পনি। মোবাইল অপারেটর হিসেবে যাত্রা শুরু করে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। বর্তমান ৬৫ লক্ষ ৫০ হাজার প্রায়। মোট মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৯ কোটি ৪২ লক্ষ ৬০ হাজার। যা হিসেব করলে ৩,৩৭% মার্কেট দখল করে আছে।
আমি সর্বপ্রথম টেলিটক সিম কিনি ২০১০ সালে। আমি তখন ক্লাশ টেইনে পড়ি। তখন আমাদের মুন্সীগঞ্জ জেলায় গজারিয়াতে কোন টাওয়ার ছিলো না। ছাদের উপরে গেলে টেলিটক এর দুই একটি সিগন্যাল পওয়া যেতো। বর্তমানে আমার নানী বাড়িতে Full Network আসে। তবে ইন্টারনেট এর গতি কম। ছাদের উপরেও গতি কম। আমি যদি বাসায় খাটে শুয়ে শুয়ে টেলিটক ইন্টারনেট পরিসেবা দিয়ে যদি ইউটুব চালাতে না পারি, তাহলে টেলিটক সিমের ইন্টারনেট চালাবো কেন?
২০১২ সালের দিকে মনে হয় টেলিটক থ্রি জি ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করে। আমি ২০১৩ সালে ঢাকার মামার বাসায় গিয়ে টেলিটক সিম দিয়ে থ্রি জি ইন্টারনেট চালাইছিলাম। তখন তো গান, ভিডিও, মুভি এসব ডাউনলোড এর প্রচলন ছিলো। তখন আমি স্পিড খুব ভালো পেয়েছিলাম। একদম ২ এমবিপিএস থেকে ১.৫ এমবিপিএস স্পিড পাচ্ছিলাম। এই স্পিড সেই সময় এর জন্য খুব ভালো। এত গতি পেয়ে, প্রায় অনেক গান, মুডি ও ভূত এফ এম নামিয়েছিলাম।
২০১০ সালের সেই সিমটি হারিয়ে ফেলি। সম্ববত ২০১৩ বা ২০১৪ সালের কুরবানী ঈদে আমি টেলিটক সিম কিনি। কারন সরকারি চাকরি এপ্লাই করতে লাগে। মনে অনলাইনে চাকরির আবেদন করিলে, ইহার আবেদন ফি টেলিটক প্রিপেইড সিম দিয়ে জমা দেওয়া লাগে। ২০১৫ সাল থেকে আমি নিয়মিত সরকারি চাকরি তে এপ্লাই করতাম। মাজে মাজে অনলাইনে চাকরি তে আবেদন করলে টেলিটক সিম ব্যাবহার করি। এ ছাড়া ভয়েস কল, ইন্টারনেট এর জন্য কেউ টেলিটক সিম ব্যাবহার করি না। গ্রামীন ফোনের মত যদি ভয়েস কল আর ইন্টারনেট পরিসেবা দিতো, তাহলে গ্রমিন ছেড়ে টেলিটক সিম চালাতাম। আমি আমার খালাত্বো ভাই কে ২০২০ সালের শেষের দিকে একটি টেলিটক সিম উপহার দেই্।
বর্তমানে ৬৫ লক্ষ ৫০ হাজার যারা গ্রাহক তাদের মধ্যে অনেকে নিয়মিত সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করে। আবার কারো ফটোকপি/কম্পিউটার-প্রিন্ট, এসব দোকানের মালিক। কারন কাষ্টমারের অনলাইনে চাকরির আবেদন করা লাগে।
কিভাবে এর গ্রাহক বানানো যায়, সেটার জ্ঞান আমি দিবো না। কারন মার্কেটিং এ আমার বাস্তব জ্ঞান নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



