somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাকাশের দূত ও সৌর শক্তির ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মহাকাশের দূত ও সৌর শক্তির ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি
সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সৃষ্টি প্রফেসর শঙ্কু — তাঁর নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিজ্ঞানের আশ্চর্য সব আবিষ্কার, একেকটি কল্পনার জগৎ, আর রহস্যে ঘেরা অভিযানের গল্প। সম্প্রতি ইউটিউবে শুনছিলাম “মহাকাশের দূত” গল্পটি, যেখানে একজন এলিয়েন প্রতি পাঁচ হাজার বছর পর পর পৃথিবীতে এসে মানবসভ্যতাকে এক ধাপ এগিয়ে দেয়।



গল্পটি শুনতে শুনতে হঠাৎ একটি ভাবনা মাথায় এলো — যদি সেই মহাজাগতিক দূত আমাদের জন্য রেখে যেত এমন এক প্রযুক্তি যা সম্পূর্ণ সৌরশক্তিনির্ভর, এবং যা দিয়ে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সবকিছু চালাতে পারি?



সৌর শক্তি: সূর্য থেকে সোনার শক্তি
আমরা জানি, সূর্য হলো পৃথিবীর প্রধান শক্তির উৎস। আমাদের বাড়ির ছাদে বা কিছু ক্যালকুলেটরে যেসব সোলার প্যানেল দেখা যায়, সেগুলো সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। এই বিদ্যুৎ দিয়ে ছোট ফ্যান, কম পাওয়ারের এলইডি লাইট চালানো সম্ভব। কিন্তু ভাবুন তো, যদি এলিয়েনরা এমন একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ প্রযুক্তি দিয়ে যেত, যা দিয়ে আমাদের টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন, পানির পাম্প, এমনকি ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিন পর্যন্ত চালানো যেত?

বজ্রবিদ্যুৎ: ঠাডার শক্তি
আমাদের গ্রামবাংলার ভাষায় বজ্রপাতকে “ঠাডা” বলা হয়। এই ঠাডা বা বজ্রপাতে থাকে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক শক্তি, যা অল্প সময়ের জন্য হলেও গগনবিদারী আলো ও শব্দ সৃষ্টি করে। এখন ভাবুন, যদি সেই এলিয়েন দূত আমাদের দিয়ে যেত একটি বিশেষ ব্যাটারি, যেটা ঠাডার শক্তি ধরে রাখতে পারে? প্রতি বজ্রপাতের সময় সেই শক্তি জমা হতো, এবং পরে ব্যবহার করা যেত দিনের বেলায় বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময়।







ফিউশন: কল্পনা ও বাস্তবতার সীমানায়
এইরকম ভাবনার ফিউশন ঘটালে দেখা যায়, "মহাকাশের দূত" গল্পটি কেবল একটি সায়েন্স ফিকশন নয়, বরং প্রেরণার উৎস, যা আমাদের প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে শেখায়। হয়তো কোনোদিন বাস্তবেই এমন প্রযুক্তি আবিষ্কার হবে, যখন আমরা সৌর আলো এবং বজ্রবিদ্যুৎ দিয়ে পুরো শহর চালাতে পারব—এক ফোঁটা জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়া।


উপসংহার
আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পর, কিংবা কাল সকালে—কে জানে, হয়তো আবার কোনো মহাজাগতিক দূত আমাদের সভ্যতার দরজায় কড়া নাড়বে। তখন সে হয়তো সঙ্গে করে নিয়ে আসবে এমন এক প্রযুক্তি, যা বদলে দেবে আমাদের জীবন, আমাদের পৃথিবী। আর তখন আমরা বলব—হ্যাঁ, আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কারণ আমরা কল্পনা করতে শিখেছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)

মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫



ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কোনো চকচকে ল্যাব বা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরিতে জন্মায়নি

লিখেছেন নাঈম আহমেদ, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

চীনের জে-১০ এর পেছনেও রয়েছে সেই ত্যাগ আর সংকল্পের গল্প—
১: গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) দলের অক্লান্ত পরিশ্রম।
২: বাইসাইকেলে চেপে কাজে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সু চিশৌ।
৩: প্রথম উড্ডয়নের পর কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১২ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬





হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৬


এমন কোনো ইস্যু আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০%ও একমত এমন কোনো বিষয় চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×