
বাংলাদেশের বাস্তবতা নিয়ে এক ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। এখানে অনেক সময় উদার মানসিকতার মানুষ টিকতে পারে না। হয় তাদের সেই মনোভাব ক্ষয়ে যায়, নয়তো তারা ভিন্ন দেশে গিয়ে আশ্রয় খোঁজে। গরিবি, সীমিত অর্থনীতি আর সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি মিলে আমাদের সমাজকে দুর্বল করে রেখেছে। তাই হয়তো অনেকেই বলেন—এই সমাজ এখনো গণতন্ত্র নামক মহামূল্যবান ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত নয়।
গণতন্ত্রকে আমরা অনেক সময় একতা নয়, বিভেদের কারণ হিসেবে দেখি। এর একটি মজার উদাহরণ পাওয়া যায় একটি প্রশিক্ষণ কোর্সে। সেখানে ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিল। প্রতিদিন টি-ব্রেকে তাদের জন্য সিঙ্গাড়া দেওয়া হতো। কিন্তু সমস্যা হলো—১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন সিঙ্গাড়া পছন্দ করত না। তারা ডাইরেক্টরের কাছে আবেদন করল যেন অন্য কিছু দেওয়া হয়। বাকি ২০ জন অবশ্য সিঙ্গাড়ার পক্ষেই দৃঢ় অবস্থান নিল।
ডাইরেক্টর বললেন, ঠিক আছে, এবার ভোট হবে। যে খাবার বেশি ভোট পাবে, সেটাই প্রতিদিন দেওয়া হবে। ফলাফল বেরোল এভাবে—
সিঙ্গাড়া – ২০ জন
ফলমূল – ১৮ জন
স্যান্ডউইচ – ১৫ জন
বার্গার – ১৩ জন
চপ – ১২ জন
পুরি – ১০ জন
নুডুলস – ৭ জন
ভেজিটেবল রোল – ৫ জন
ফলাফল কী দাঁড়াল? সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না থাকা সত্ত্বেও, বিভক্ত মতামতের কারণে সিঙ্গাড়াই বিজয়ী হলো।
এখানেই গণতন্ত্রের এক বাস্তব চিত্র ধরা দেয়—যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠরা এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে, সংখ্যালঘু হলেও সংগঠিতরা জয় পায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


