কুরবানী হচ্ছে মুসলিমদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই দিন ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ আল্লাহকে খুসি করার জন্য পশু কুরবানী করে থাকে। কুরবানীর গোস্ত এক ভাগ নিজের জন্য; আরেক ভাগ আত্নীয়দের জন্য; আরেক ভাগ গরিবদের জন্য।
=> অনেকে আবেগের ঠেলায় বলে ফেলে এবার কুরবানী দিবো না। এবার এই টাকাটা গরিবদের দান করবো। এই টাকাটা গরিবদের দান করেন, সমস্যা নাই। অনেক গরিব আছে বছরে শুধু এই দিনে গোস্ত দিয়ে ভাত খেতে পারে। টাকা দান করার পাশাপাশি তাদের কে এক কেজি করে গরু/খাসির গোস্তও বিতরন করতে পারেন। তাহলে তারা এই দিন ভালো করে; মজা করে খেতে পারবে।
=> আমাদের দেশে আগে একজনে গড়ে ৩ থেকে ৮ জন করে ভাই থাকতো। এর মধ্যে একজন না একজন গ্রামে থাকতো, গরু বা খাসি পালতেন। কুরবানী ঈদ আসলে সেই পশু কুরবানী করা হতো। এখন পশুর হাট থেকে গরু ক্রয় করে। এখন গরু কিভাবে পালা লাগে সেই বিষয়ে জ্ঞান না থাকায় গরু ক্রয় করে অনেকে বিপাকে পড়ে। এই দুই তিনদিন গরু পালতে গিয়ে তাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। আবার ঢাকা শহরে অনেক সময় বাসায় গরু রাখতেও সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায় গরু ছুটে পালিয়ে যায়। যদি এমন সার্ভিস থাকতো ঈদের আগ দিন পযর্ন্ত আমার গরু আরেকজন লালন পালন করে দিবে; তাহলে ভালো হতো। এই গরুর লালন পালন করার ব্যাবসা টি মন্দ হবে না।
=> এবার আসল কথায় আসা যাক। নিয়ম হচ্ছে আল্লাহ কে খুসি করার জন্য কুরবানী করবো। অনেকে কি করে! ঐ চেয়াম্যান ১ লাখ টাকা দিয়ে গরু ক্রয় করেছে আমার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গরু না কিনলে মান ইজ্জত থাকে না। এই মুহুত্তে আল্লাহর সন্তুষ্টি বাদ দিয়ে যদি নিজের ইজ্জত এর কথা ভাবেন তাহলে আপনার কুরবানী হবে না। আবার হাটে দেখা যায় গরুর নাম দিছে হিরো আলম, জায়েদ খান ইত্যাদি ইত্যাদি। এই জাতীয় নামকরনও কুরবানী কে দূষিত করছে বলে আমি মনে করি।
আমরা যাতে সঠিক নিয়ম মেনে ঈদ উদযাপন করতে পারি সেই তৌফিক দিক।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০০