
এটা আমাদের ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি অংশ। এই ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এর নিকটে এই স্থান টি।
আমার নানীর বাসা ঢাকা চট্টগ্রাম হাই ওয়ের পাশে। বলতে পারেন জানালা খুলতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেখতে পাওয়া যায়। আমার নানী বাড়ি গজারিয়া উপজেলার, মুন্সিগঞ্জ এ অবস্থিত। মেঘনাব্রীজ থেকে দাউদকান্দি ব্রীজ পযর্ন্ত আমাদের উপজেলা।


আমি ক্লাশ নাইন থেকে অনার্স পর্যন্ত এই নানী বাসাতেই ছিলাম। নানী মূলত বাড়িতে থাকতেন না। বেশীর ভাগ সময় খালার বাসা আর মামার বাসাতে থাকতেন। কত রাত যে নানীর বাসায় একা ঘুমাইছি তার কোন হিসাব নাই। মানুষেন ঘুম ভাঙ্গে পাখির ডাকে। আমার ঘুম ভাংতো বাসের হর্ন এ। যা আমি খুব উপভোগ করতাম।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসার পর আমি নানীর বাড়িতে উঠেছি। আমি না থাকার কারনে নানী বাড়ি ভূতুড়ে বাড়ি হয়ে গেছে। মামা ঢাকা বাড়ি করেছে। খালা অন্য স্থানে থাকে। আব্বুর চাকরির পোস্টিং বিভিন্ন স্থানে থাকার কারনে আম্মুও আব্বুর সাথে থাকে। খুবই অযত্নে পড়ে থাকে আমার এই নানী বাড়ি। কলেজ লাইফের কত স্মৃতি এখনো পড়ে আছে এই খানে!!!

ছবিটি দাউদকান্দি ব্রীজ থেকে ক্যাপচার করা। ২০১৬ সালে। আমি তখন অনার্স ২য় বর্ষে পড়তাম। রিয়ার (আমার প্রাণের সাবেক বউ, আমার প্রথম ভালোবাসা) বাসা এই দাউদকান্দি ব্রীজ পার হলেই। তখন কে জানতো... দাউদকান্দির মেয়ে কে বিয়ে করে কান্না করতে হবে।
আমার নানা ২০০৯ সালে এই সাতকাহনিয়া গ্রামে গ্যাস আনে। তখন আমি নবম শ্রেনীতে পড়তাম। তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা আমার নানা বাসায় এসে গ্যাসের চুলা উদ্ভোধন করেন।
২০১৯ সালে জানুয়ারি মাসে আমি সাতকাহনিয়া গ্রামে প্রথম ব্রডবেন্ড ইন্টারনেট এর লাইন আনি। গতকাল দেখলাম গ্রামের অনেকে ব্রডবেন্ড এর সংযোগ নিয়েছেন।
আমাদের গ্রামের মসজিদে একজন ইমাম সাহেব ছিলেন। তিনি মসজিদ প্রতিষ্ঠা থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত ইমামতি করেন। আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামে সম্ভবত ২০০৫ বা ২০০৬ সালে মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয়। তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিলো।
সত্যি কথা বলতে সেই ইমাম সাহেব যাবার পর এই পযর্ন্ত কত বার যে ইমাম সাহেব পাল্টানো হয়েছে তার কোন হিসাব নাই।
যাই হউক। নানী মারা যাবার পর এই বাড়ি কানা হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




