আমার বউ , রিয়ার করোনা ভাইরাস টীকার রেজিষ্ট্রেশন আমার মোবাইল দিয়ে করা ছিলো। তাই তার টীকার সনদ নিয়ে তার বাসায় যাই। এবং রিয়ার আব্বুর সাথে কথা হয়। বাসায় এসে নিজেকে খুব বোকা বোকা মনে হচ্ছিলো।
সূচনা: তখন আমরা ছিলাম আমার আব্বুর সরকারি কোয়াটার্রে। আমার বউ এর করোনা ভাইরাস এর টীকা দেবার জন্য ১৩-০৩-২০২২ ইং তারিখে বাড়িতে যাই। আমি তাকে তার বাপের বাড়িতে (দাউদকান্দি, কুমিল্লা) রেখে এসে আমি আমার বাসা গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) এ চলে আসি।
পিছনের ঘটনা শুরু: টীকা দেওয়া শেষ। তার সাথে কথা বলে গাইবান্ধা চলে যাবার জন্য টিকেট ক্রয় করি। রিয়ার সাথে কথা বলেই দুইটি টিকেট ক্রয় করি। টিকেটটি ছিলো ২০-০৩-২০২২ তারিখের।
যাত্রার একদিন আগে রিয়ার আম্মু (সৎ মা) বলে যে সমানে তো রোযা আসতাছে। রিয়া ঈদের পরে আপনাদের বাসায় যাবে। তাই আমি একা একা গাইবান্ধতে চলে যাই। আমি গাইবান্ধাতে চলে আসার সাথে সাথে সে তার মোবাইল বন্ধ করে ফেলে।
০২ এপ্লির রোযা শুরু হয় ঈদ চলে যায়। মাঝ খানে তার জন্মদিন ও পহেলা বৈশাখ চলে যায়। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে পারি নাই। কারন তার মোবাইল বন্ধ ছিলো।
ঈদের পর পরেই ১০ মার্চ আমাদের মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হয়। আমার নিয়্যাত ছিলো পরীক্ষা ৩১ মার্চ শেষ হলে তাকে নিয়ে আসবো। তার অভিমান দূর করবো।
আমাদের শেষ পরীক্ষার আগের দিন মানে ৩০ মে রিয়ার আব্বু আমাদের বাড়ি আসে। এবং তালাকের প্রস্তাব রাখে। এবং ১৯ জুন তালাক হয়।
তালাক যাতে না হয় সে জন্য আমি বউ উদ্দারের জন্য মামলা করেছিলাম। ২৮-০৭-২০২২ তারিখে আমি সেই মামলা প্রত্যাহার করলাম।
উপসংহার: ২৭-০৭-২০২২ ইং তারিখে রিয়ার বাসায় গেলাম। এবং রিয়ার আব্বুর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম রিয়া আমার সাথে অভিমান করেছিলো। একদল লোক এই অভিমান কে রাগে পরিনত করে। যার পরিনাম আমাদের তালাক হয়।
পরীক্ষার সাথে আমার সাথে কেন রাখি নাই: আমি গজারিয়াতে একা একা ছিলাম। আমার আম্মু বা রিয়ার আম্মু ছিলো না। রিয়ার একার পক্ষে গজারিয়ার বাসা (নিজেদের বাসা) সামলানো ও রান্না বান্না করা সম্ভব হতো না। আর আমার পরীক্ষার জন্য আমি নিজেও সংসারে মনযোগ দিতে পারতাম না। তাই ঈদের পরেও তাকে তার বাপের বাড়ি রাখি
রিয়ার কাছে যদি ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পেতাম...।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




