somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের পোস্ট মাষ্টার। ভবেরচর পোস্ট অফিস।

০৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে এই ইন্টারনেট এর যুগে কেউ আর চিঠি লেখে না। মানুষ আর আগের মত পোস্ট অফিসে যায় না। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত আমি প্রচুর আমদের পোস্ট অফিসে গেছি। আমি আগে সরকারি চাকরির জন্য এপ্লাই করতাম। আবেদন পত্র পোস্ট অফিস/ডাক যোগে পাঠানো লাগতো। এক দিন দুই তিন এভাবে নিয়মিত যেতে যেতে আমাদের পোস্ট মাষ্টারের সাথে সুসম্পর্ক হয়।



উনি আমাদের পোস্ট মাষ্টার, ভবেরচর পোস্ট অফিস, গজারিয়া, মুন্সিগজ্ঞ। তিনি ডাক বিভাগের অভিবাগীয় স্টাফ। তিনি বেতন পান না। তাকে উৎসাহ ভাতা হিসেবে মনে হয় ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দেয়া হয়। যতই ঝড় হোক, যতই তুফান হওক, রৌদ্র বৃষ্টি যা হউক তাকে অফিস কামাই করতে দেখি নাই। কলেজ না থাকলে আমি পোস্ট মাষ্টারের সাথে সময় কাটাতাম। বেশীর ভাগ সময়ে অফিসিয়াল চিঠি, কোর্ট এর চিঠি, তালাক এর চিঠি লেনদেন হতো।

এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা আসলে তার ডিউটি বেড়ে যেতো। কারন ২০১৯ সাল পযর্ন্ত সরকার পাবলিক পরীক্ষার উত্তর পত্র পোস্ট অফিস মারফত পরিবহন করতো। আপনার আমার এসএসসি, এইচ এস সি, পরীক্ষার উত্তর পত্র কোন না কোন পোস্ট মাষ্টর/ ডাক পিয়ন বহন করেছেন।

তার শরীল খুব টাইট। তাকে অসুস্থ হতে দেখি নাই। আপনার আমার হাই প্রেসার, ডায়েবেটিস আছে। কিন্তু আমাদের এই পোস্ট মাষ্টারের কোন প্রকার অসুখ নাই। তিনি ধান লাগান, তিনি ক্ষেতে কাজ করতে পারেন। ৪০ কেজি বস্তা নিয়ে অনায়েসে হাটতে পারে।


পোস্ট অফিসে দুই ধরনের স্টাফ আছে। এক হচ্ছে বিভাগীয়। যারা সম্পন্ন সরকারি। তারা সরকারি বেতন, বোনাস, পেনসান পাবেন। আর অবিভাগীয়রা শুধু মাত্র ১২০০ টাকা পান। আর কোন টাকা পান না। এমনকি পেনশানও পান না। এই ডিভাইডেট ইংরেজ আমল করে গেছলো। তখন সাদা চামড়া (মানে ইংরেজরা) থাকতো বিভাগীয় পদে। আর ইন্ডিয়ানরা থাকতো অবিভাগীয় পদে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও এই নিয়ম পাল্টায় নাই।

বিসিএস থেকে ডাক বিভাগে যে পদ থেকে শুরু সেটা হচ্ছে ডিপিএমজি।

এখনো পোস্ট অফিসে রেজি: জিইপি, সাধারন ডাকে চিঠি পাঠানো হয়। আর কোন পন্য পাঠাতে হলে রেজিষ্টার্ড পার্সেল সার্ভিস আছে। আর টাকা পাঠানোর জনা মানি অর্ডার আছে। ডাক বিভাগে আপনি সঞ্চয় করতে পারবেন। তারা অধিক মুনাফা দেয়।




এখন কেউ চিঠি লেখে না। কিন্তু অনলাইনে কেউ না কেউ কোন না কোন পন্য অর্ডার করে। এখন পোস্ট অফিস কে উচিৎ ই কমার্স মার্কেট দখল করা। রকমারি কিন্তু ডাকযোগে বই পাঠায়।


চিত্র: কর্মব্যাস্ত পোস্ট মাষ্টার।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×