২০০৯ সাল। আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। নানা, নানী আরি আমি মিলে নানী বাড়িতে থাকতাম। স্কুলে থাকতে নানা আমাকে ২০ টাকা করে দিতেন। আমি ৬ দিন টাকা জমাতাম। আর বৃহস্পতিবারে খেতাম মজা করে। সকালে ভবেরচর বাজারে পরোটা খেতাম। আর আসার সময় সিঙ্গারা আর পুরি খেতাম।
আরে আসার সময় একটি আপনের দোকান থেকে একটি রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিংস খেতাম। এই এনার্জি ড্রিংস খেতে খুব ফিলিংস ছিলো।
এটি আমাদের দেলোয়ার ভাই এর দোকান। যেখানে আমি প্রায়ই খেতে যেতাম। গ্লিল, পোরা মুরগি, নান রুটি। আহা কি মজা। দেলোয়ার ভাই এর হোটেল এর নাম সেভেন হেভেন মার্স রেস্টুডেন্ট ও পার্টি সেন্টার। ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ের সাথে। মেঘনা ব্রীজ এর পরে ভাটেরচর বাস স্ট্যান্ড এর এই হোটেল অবস্থিত। আপনারা কেউ কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী গেলে এই হোটেলে নেমে খেয়ে যাবেন। ২০১৯ সালে রমজান মাসে যে কত খেয়েছি এখানে এটার কোন ইয়াত্তা নাই।
২০১৭ সালে আমি যখন অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ি তখন আমাদের ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে একজন স্টিট ফুড বিক্রি করিতেন। তাহার মুরগির গোস্তের ভাজি আর টীক্কা আমার কাছে খুব ভালো লাগতো। ২০১৯ সালের পরে এই বেডাকে আর দেখি নাই। এই বেডার টীক্কা আমার খুব মিস করি।
আমাদের ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে “মোহাম্মদ আলী প্রধান প্লাজা” Market এর হাসানে রেস্তারা নামক এ গ্রীল চিকেন খুব সুস্বাধু ছিলো। তবে তিনি হোটেল ছেড়ে দেন। তার পরিবর্তে নতুন লোক হোটেল ভাড়া নেন।
ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে বাংলা হোটেল নামে একটি হোটেল আছে। এই হোটেলের ডাইল এবং সবজি খুব সুস্বাদু। আহা! কি মজার। আপনারা না খেলে বুঝবেন না।
পরিশেষে বলা যায় দেলোয়ার ভাই এর হোটেল, বাংলা হোটেল, টীক্কা ওয়ালা, এবং হাসানে রেস্তাকে আমি খুব মিস করি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭