somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোনা সে-তো সোনা নয়

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীতে যে পরিমান প্রমাণিত সোনার মজুদ আছে তা দিয়ে কেবল দুটি অলিম্পিক সাইজের সুইমিংপুল ভর্তি করা যাবে। আর অলিম্পিকে যে পরিমান সোনার পদক দেয়া হয় তাতে সারা পৃথিবীতে সোনার পরিমাণে টানাটানি পড়ে যাওয়ার কথা। অলিম্পিকে যেই স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়ে তাতে আসলে সোনা থাকে খুবই সামান্য, বাকীটা রূপা দিয়ে ভর্তি করা হয়। আসুন রিও অলিম্পিকে ব্যবহৃত কোন পদকের কম্পোজিশন কি তা দেখে নেওয়া যাক।
স্বর্ণপদক: সোনা: ১.২%, রূপা: ৯৮.৮%
রৌপ্য পদক: রূপা: ১০০%
ব্রোঞ্জ পদক: তামা: ৯৫%, দস্তা: ৫%



স্বর্ণপদক: ১৯১২ সালের স্টোকহোম অলিম্পিক থেকেই পদকে আর ১০০% সোনা ব্যবহার করা হয় না। সেই সময় থেকে স্বর্ণপদকে সোনা থাকে খুবই সমান্য, অধিকাংশই থাকে রূপা। রূপার পদকের উপরে সোনার আস্তরণ দেয়া থাকে ফলে সেগুলোকে বাহ্যিকভাবে সোনার তৈরি দেখা যায়। রিও অলিম্পিকের স্বর্ণপদকে মাত্র ১.২ শতাংশ সোনা রয়েছে। বাকী ৯৮.৮ শতাংশই রূপা। যে সোনা দিয়ে রূপার পদকে আস্তরণ দেওয়া হয়েছে তা অতিমাত্রায় বিশুদ্ধ (৯৯.৯%)। এই সোনা পারদমূক্ত।

বিভিন্ন অলিম্পিকের পদকের কম্পোজিশন বিভিন্ন হয়। যেমন: ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের স্বর্ণপদকে সোনা ছিলো ১ শতাংশ, রূপা ৯২ শতাংশ এবং তামা ৭ শতাংশ। কম্পোজিশন অনুযায়ী রিও অলিম্পিকের স্বর্ণপদকের বাজার মূল্য ৫৬৫ ডলার। যদি এটি খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি হতো তাহলে দাম হতো ২১,২০০ ডলার!

রৌপ্য পদক: রৌপ্য পদকের সম্পূর্ণটাই রূপা, তবে এই রূপার বিশুদ্ধতায় ঘাটতি থাকতে পারে।স্বর্ণ এবং রৌপ্য উভয় পদকে রূপার বিশুদ্ধতা অন্ততঃ ৯২.৫% হতে হয়। এই পদকের সাথে লন্ডন অলিম্পিকে ব্যবহৃত পদকের পার্থক্য আছে। সেখানে ৯৩ শতাংশ রূপা এবং ৭ শতাংশ তামা ব্যবহার করা হয়েছিলো। রিও অলিম্পিকের পদকের জন্য ব্যবহৃত রূপার ৩০ শতাংশ আবার বিভিন্ন রিসাইকেল উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক্সরে প্লেট, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং আয়না। ধাতবমূল্য অনুযায়ী রৌপ্য পদকটির দাম পড়বে ৩১৫ ডলার।

ব্রোঞ্জ পদক: পদক নির্মাতার তথ্য অনুযায়ী ব্রোঞ্জ পদকে ৯৫ শতাংশ তামা এবং ৫ শতাংশ দস্তা রয়েছে। ব্রোঞ্জে তামার বিশুদ্ধতা অন্ততঃ ৯৩.৭%। লন্ডন অলিম্পিকে কম্পোজিশন কিছুটা ভিন্ন ছিলো। সেখানে ৯৭ শতাংশ তামা, ২.৫ শতাংশ দস্তা এবং ০.৫ শতাংশ টিন ব্যবহার করা হয়েছে। রিও অলিম্পিকে ব্যবহৃত তামার ৪০ শতাংশই রিসাইকেল উৎস থেকে সংগৃহীত। স্বর্ণ এবং রৌপ্য পদকের তুলনায় ব্রোঞ্জপদকের ধাতবমূল্য অত্যন্ত নগন্য, মাত্র ২.৩৮ ডলার।

প্রতিদিন বিজ্ঞান বিষয়ক আপডেটেড খবর পেতে বিজ্ঞান পত্রিকা পড়ুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×