somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন পরাজিত মুক্তিযোদ্ধা

০২ রা মে, ২০১০ রাত ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.

বাসাটা ভীষণ নিরিবিলি ।

আগে না জানলে বিশ্বাস করতাম না এখানে মানুষ বাস করে । অথচ শহরের সব মানুষ জানে এখানে মানুষ থাকে । বিশেষ একজন মানুষ ।

গত সাতদিন হয়ে গেছে , পত্রিকায় দেবার মত একটা খবরও পাইনি । মানুষ সাধারণত খুন আর ধর্ষণের খবর খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে , সাতদিনে ভাগ্যে একটাও জোটেনি । আমার দুরাবস্থা দেখে ভার্সিটির এক বড়ভাই এই বাসার খবরটা দিলেন - ভালো একটা স্টোরি হতে পারে বিজয় দিবস সংখ্যার জন্য ।

আঁধারের রেশ চোথে সয়ে আসতেই চোখে পড়ল বারান্দার রংচটা ইজিচেয়ারটা । পাশে অযত্নে পড়ে থাকা ক্যাকটাসের টব , কিছু সুতো , একটি গ্লাস ।

চোখ তুলে তাকাতেই দেখলাম আমার সামনে একজন পৌড়া দাঁড়িয়ে । পোড় খাওয়া চেহারার একজন মহিলা , পরনে সাধারণ শাড়ি ,লাল আর তীব্র একজোড়া চোখ । আশ্চর্য , আমি কোন শব্দ পাইনি , কখন এলেন ?

ইনি সম্ভবত শহীদ আরিফের স্ত্রী । আমি সালাম দিয়ে পরিচয় জানালাম । বললাম আমার আসার উদ্দেশ্য । অবাক হলাম মহিলা বিন্দুমাত্র আশ্চর্য হলেন না , যেন আগে থেকেই জানতেন আমি আসব ।

'ভেতরে আসুন , আমি মা কে ডাকছি' - কন্ঠস্বর শুনে মনে হলো যেন বহুদূর থেকে শুনছি ।

আমি আলতো পায়ে মহিলাকে অনুসরণ করলাম । ছোট্ট বসবার ঘর , একরকম আসবাবহীন বলা চলে । দেয়ালের প্লাস্টার উঠে গেছে জায়গায় জায়গায় , একটা পুরনো ক্যালেন্ডার , পুরনো ধূলোপড়া বুকসেলফ , হাতে বানানো একটা ওয়ালম্যাট আর বসার জন্য দুটি চেয়ার । চেয়ারগুলিও জরাজীর্ণ , আমি বসতেই প্রতিবাদ জানালো সশব্দে ।

আমি অলস সময়টা বুকসেলফের দিকে তাকিয়ে পার করার চেষ্টা চালালাম । একটা পেপারও নেই , চা-নাস্তা আশা করাটাও বৃথা মনে হচ্ছে ; সাংবাদিক পরিচয়ে অন্তত এককাপ চা আমার সব জায়গায় প্রাপ্য , এখানে তা পাবো বলে মনে হচ্ছে না ।

'আপনার চা নিন '

আমি দ্বিতীয়বারের মত চমকালাম । সাদা কাপ হাতে দাঁড়িয়ে মহিলা , আগের মতই ; ভাবলেশহীন , অনুজ্জ্বল ।

'ধন্যবাদ'

'মা কে ডেকেছি , আসছেন' - ভেতরে চলে গেলেন মহিলা ।

আমি মনে মনে প্রশ্নোত্তরপর্ব গুছিয়ে নিতে থাকলাম । আমার মত পার্টটাইম সাংবাদিকদের জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় , সঠিক প্রশ্ন করা । তার ওপর মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীণ , কাজেই আরো সাবধান থাকতে হবে ।



দরজা ঠেলে যে বৃদ্ধা প্রবেশ করলেন তাকে দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না । আমি ভেবেছিলাম সন্তানহারা উদভ্রান্ত কোন মস্তিষ্কবিকৃত মহিলাকে দেখব , মুক্তিযুদ্ধে সন্তান হারাবার বেদনায় ন্যুজ্ব একজন মানুষ । কিন্ত , বৃদ্ধাকে দেখে আমি সম্পূর্ণ হতাশ হলাম এই স্টোরি চলবে না ।

হাসিখুশি একজন মানুষ যাকে দেখলেই মন ভালো হয়ে যায় , সাদা শাড়ি , সাদা চুল ... চেহারা বলে দেয় মহিলা সুন্দরী ছিলেন একসময় । দুচোখ বেয়ে মায়া উপচে পড়ছে ... চোখে সাদা ফ্রেমের চশমা । একেবারেই বেমানান এ ড্রয়িংরুমের সাথে ।

'কেমন আছো , বাবা ? ' আমি কিছু প্রশ্ন করবার আগেই মহিলা বলে বসলেন ।
আমি আচমকা প্রশ্নে একদম ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম । আমার খানিকটা ভয়ও করতে লাগল ।

'দেখেছ, রানু , একদম আরিফের মত চেহারা । তুমি আরিফের বন্ধু ? "

আমি কি উত্তর দেব এ প্রশ্নের ? এ প্রশ্নের কি কোন উত্তর আদৌ আছে ? আমি মাথা নাড়ালাম ।

" আচ্ছা , আরিফ কবে আসবে বলতে পারো ? তোমরা তো ওর বন্ধু , জানো ও কোথায় আছে ?"

আমি গলা পরিস্কার করার চেষ্টা করি , ' জ্বি....জ্বি , আছে , ভালো আছে "

"সেই কবে একটা চিঠি পাঠিয়েছিল , আর কোন খবর নেই ....রানু , চিঠিটা কই........ চিঠি দেখবে ?"

আমি মাথা নাড়ালাম । এ আবেদন অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই ।



২.


আমার হাতে একটা হলুদ হয়ে যাওয়া সাদা কাগজ , আজ খেকে উনচল্লিশ বছর আগে এক মা'কে লেখা সন্তানের শেষ চিঠি ।

গোটা গোটা অক্ষরে ভরে আছে পাতাটা । আমি খুব সাবধানে খুললাম । জানি , কোণায় কালো হয়ে যাওয়া ঐ দাগটা রক্তেরই হবে ।


মা ,

কেমন আছো , তুমি ? রানু কেমন আছে ?

আমি আত্রাইতে , আজই এলাম । বাবুভাই , আমি , আমরা আর ও সতের জন । একটা অপারেশন আছে ।

তুমি আমার জন্য চিন্তা করো না মা , আমি ভালো আছি । আমার কোন সমস্যা নেই । আমার জন্য দোয়া করো । রানুকে বলো চিন্তা না করতে । খুব বেশি খারাপ অবস্থা হলে মামাবাড়িতে চলে যেও । ওদিকের অবস্থা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে ।

আমি ফিরে আসব , মা । তুমি আমার জন্য কাউন কিনে রেখো , তোমার হাতের পায়েশ খাই না অনেকদিন ।

অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা ছিলো , আজ আর সময় নেই ।

- তোমার আরিফ



আমি হতবাক হয়ে বসে থাকলাম । চিঠিটাতে এমন কিছু ছিলো যা আমার সব মুখের কথা কেড়ে নিলো ।আমি যেন অসামান্য কোন চিত্রকর্ম হতে দাড়িয়ে । শিল্পীকে এই চিত্রটি আঁকতে হয়েছে নিজের রক্ত দিয়ে ।

আমি অনেকক্ষণ তাকিয়ে খাকলাম মহিলার দিকে । নিজের মনে আবোল তাবোল বকে চলেছেন হাস্যমুখী বৃদ্ধা , হয়তো বলছেন তার কাউনের পায়েশের কথা , হয়তো বলছেন আরিফের ঘুড়ি উড়াবার নেশার কথা , হয়তো বলছেন আর একমাত্র সন্তানের প্রথমবার সিগারেট টানতে গিয়ে ধরা পড়বার ঘটনা ......


আমি শুনতে পেলাম না কিছুই । আমার শুধু মনে হচ্ছে আমি খুব ভুল একটি সময়ে ভুল জায়গায় চলে এসেছি । আমি এখানে স্টোরি কভার করতে এসে একটি মাকে মনে করিয়ে দিয়েছি তার আদরের খোকা কখনোই ফিরে আসবেনা তার পায়েশ খেতে । আমি এক বিধবা স্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছি তার প্রিয়তমের ছবি বুকে নিয়ে কাটানো দুঃসহ উনচল্লিশ বছরের কথা ।

"বাবা , ও ফিরে আসবে তো ? "

আমি জলভরা চোখে মাথা নাড়ালাম ।

" দেখেছ , রানু , আমি বলেছিলাম না ? বাবা , তুমি খোকাকে একটু বলে দিও ও যেন তাড়াতাড়ি আসে , আমরা ভীষণ চিন্তায় থাকি ওর জন্য "


আমি ভীষন ভুল জায়গায় চলে এসেছি । মানসিক ভারসাম্যহীণ এই বৃদ্ধা এখন থেকে আরও আশায় বসে থাকবেন তার সন্তানের জন্য । আমার মত হাজারো মানুষের মুখে খুজবেন তার সন্তানের চেহারা । পৃথিবীর এমন কোন শক্তি নেই তাকে বিশ্বাস করায় , তার প্রাণপ্রিয় খোকা আর কখনোই ফিরে আসবে না ।



এ আমি কি করলাম ?


" মা , আপনার খাবার সময় হয়ে যাচ্ছে ..."
আমাকে বিপদ থেকে রক্ষা করলেন রানু , শহীদ আরিফের বিধবা স্ত্রী । মা কে নিয়ে ভেতরে চলে গেলেন তিনি ।


৩.


এক ঘন্টা পর ।

সেই নিরুজ্জ্বল ড্রয়িংরুমে মুখোমুখি বসে আমি আর রানু ।


আমি গল্প শুনছিলাম । এক ছেলেহারা মা , এক স্বামীহারা স্ত্রীর গল্প ।

শহীদ আরিফ মারা যান ২৩শে জুন , ১৯৭১ সালে , নওঁগা জেলার আত্রাই থানায় । পাক হানাদারদের এক কোম্পানি সৈন্যের সামনে পড়ে ১৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা , বেঁচে ফেরেনি কেউই । আরিফ মারা যান ব্রাশফায়ারে , কবর দেবার জন্য লাশ নিতে আসেনি কেউ । লাশ পড়ে ছিল , একসময় বন্যার পানিতে হারিয়ে যায় চিরতরে ।

" মা এখনও মেনে নিতে পারেনি ও আসবে না ।" চোখের কোণ মুছতে মুছতে বলেন রানু ।" আমিও পারি না, এত বছর হয়ে গেল ; এখনো মনে হয় দরজা খুলে বেরিয়ে আসবে তেজী , আমুদে মানুষটা , আমাদের নিয়ে যাবে এই নরক থেকে "

আমার বুক থেকে একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে ।

"শেষবার যাবার সময় বলে গিয়েছিল , 'রানু , তোমার জন্য এবার একটা লাল শাড়ি নিয়ে আসব' .... আমি তখন নতুন বিয়ে করা বউ , যাবার সময় একটুকুও কাঁদেনি ...মনে হচ্ছিল বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাচ্ছে , এই ফিরে আসবে ................"


" এখন আপনাদের সংসার চলছে কিভাবে ? " আমি নরম গলায় জিঞ্জাসা করলাম ।

" ও মারা যাবার পাঁচ বছর পরে আমি একটা স্কুলে চাকরি পাই। এখনও করছি । এই বাড়িটা আছে ...... দুজন মানুষের চলে যায় "


আমি বুঝিনি আমি অর্বাচীনের মত একটি প্রশ্ন করতে যাচ্ছি । আমি প্রশ্নটা কোন কিছু ভেবে করিনি , নিছক কৌতুহল থেকে করা । কিন্তু আমি এমন একটি উত্তর পাব জানলে , আমি কখনোই এ প্রশ্নটা করতাম না ।

"৭১ থেকে ৭৬ , এ সময়টা ?"

আমার চোখের দিকে তাকিয়ে খাকে আগুনরাঙ্গা একজোড়া চোখ .....ধীরে ধীরে আমি অশ্রুতে ভরে যেতে দেখি একজোড়া চোখকে । একটিও বাক্য বিনিময় না করে আমি পেয়ে যাই সকল প্রশ্নের উত্তর , একজন দক্ষ সাংবাদিকের মত ।



আমার ইচ্ছা হয় আমি ছুটে পালিয়ে যাই , আমার ইচ্ছা হয় আমি পালিয়ে যাই বনে , যেখানে আমাকে কেউ দেখতে পারবে না , আমার ইচ্ছা হয় আমি টুকরো টুকরো করে ফেলি নিজেকে ..... ছিন্নভিন্ন করে ফেলি এই দেহ , যাতে এই চোখের সামনে আমাকে কোনদিন দাঁড়াতে না হয় । প্রভু , আমার ক্ষমতা নেই এই চোখজোড়ার সামনে দাঁড়াবার ।


"আমি আসি "

আমি শুধু এটুকুই বলে চলে এলাম । পালিয়ে এলাম । আমার সাধ্য নেই ফিরে যাই ঐ অভিশপ্ত বাড়িতে .... সাধ্য নেই দাঁড়াই ঐ মা এর সামনে , ঐ স্ত্রী এর সামনে .. আমার সাধ্য নেই ।

যেন আমি সেই মুক্তিযোদ্ধা আরিফ .... নতুন বউ এর জন্য আজও লাল শাড়ি খুঁজছে সে , মায়ের হাতের প্রিয় পায়েশ খেতে আজও ফেরা হয়নি তার ; আজও যে স্বাধীনতা খুঁজছে ।

একজন পরাজিত মুক্তিযোদ্ধা ।






[ এই লেখাটি শহীদ আরিফ ও তার মত আরও ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও তাদের পরিবারবর্গের মহান আত্নত্যাগের প্রতি উৎসর্গ করছি ]
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১০ রাত ১:৪২
৯৮টি মন্তব্য ৯৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×