আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত-
عَنْ أَنَسٍ عَنْ أَبِى طَلْحَةَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا غَلَبَ عَلَى قَوْمٍ أَقَامَ بِالْعَرْصَةِ ثَلاَثًا. قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى إِذَا غَلَبَ قَوْمًا أَحَبَّ أَنْ يُقِيمَ بِعَرْصَتِهِمْ ثَلاَثًا.
রাসুল সা. যে এলাকা শত্রুর কবল থেকে বিজয় করতেন বিজয়ের পর কম পক্ষে তিন দিন সেখানে অবস্থান করতেন। (হাদীসটি সহীহ)
অর্থাৎ বিজিত ভুমিতে রাসূল সা. কিছু দিন অবস্থান করতেন। এর কারণ কারণ হচ্ছে- যেখানে পূর্বে সেখানকার অধিবাসীদের কালচার, রীতি-নীতি এবং ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তাবায়িত হতো সেখানে সকল অপসংস্কৃতির ইতি টেনে ইসলামী সভ্যতা ও ইসলাম ধর্মের পূর্ণ বাস্তবায়ন করে বিজাতীয় অনুভুতিরও পরাজয় প্রতিষ্ঠা করা। তেমনিভাবে একথার প্রমাণ দেয়া যে, আজো যদি কোনো বিজাতী মাথা উঁচু করে তাকায় তারও সমুচিত জবাব দিতে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুত।
সুতরাং হাদীসের বাণী “যারা নিজের মাতৃভুমির জন্য প্রাণ দেয় তারাও শহীদ” এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ১৯৭১ সালে যারা আমাদের মাতৃভুমি বাংলার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন তারা অবশই শহীদ এবং বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র এতে কোনো সন্ধেহ নেই। আর রাসূলের আদর্শ্ অনুযায়ী এ বিজিত বাংলায় এখন আমাদের করণীয় হচ্ছে- পূর্বেকার সকল সংস্কৃতি রোধ করে আমাদের দেশাত্ববোধকে প্রতিষ্ঠা করা। পশ্চিমাদের নিশংসতম ও বে-আইন ক্ষমতাদখল ইত্যাদির মতো অপরাধকে উপেক্ষা করে দেশের সাতন্ত্র সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে ঢেলে সাজানো। যাতে প্রতিটি জনগন একথা জোর গলায় বলতে পারে যে, আমরা স্বাধীন, আমরাই বিজয় লাভকারী বাঙালী।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫