২০০১ সালে দেলাম ঘরে আগুন দেওয়া ও মন্দীরে হামলার জঘণ্য কাজ। ২০২৪ আবার দেখলাম ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারার জঘণ্যতম ঘটনা।জাতি এদেরকে মেধাবী মনে করে না। এদেরকে চাকুরী দিয়ে জাতিকে ভাগাড়ে নিক্ষেপের দরকার নাই।১৯৭১ ও ২০২৪ এর হানাদার ও রাজাকারেরও দরকার নাই। এসব ময়লা যাদের গায়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে কোন ক্লিন লোক পেলে ভোট দিন। ক্লিন না পেলে মন্দের ভালোকে ভোট দিবেন।
এমন একটা দেশ পেলাম যাতে ভালো লোক পাওয়া মসকিল। আল্লাহর নামে ১৯৭১ সালের হানাদারের পক্ষ নিয়েছিলো একদল বেকুব। তারা নাকি সেই সময়ের রাষ্ট্রের পক্ষ নিয়ে ছিলো। তো যে রাষ্ট্র তার জনগণের বুকে গুলি চালায় সেই রাষ্ট্রের পক্ষ নেওয়ার দরকার কি? সেই রাষ্ট্র তো ছিলো ক্রিমিনাল রাষ্ট্র। ২০২৪ আবার রাষ্ট্র জনগণের বুকে গুলি চালালো। এটাও ক্রিমিনাল রাষ্ট্র ছিলো। এখন যারা ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারা ইত্যাদি কাজে লিপ্ত রাষ্ট্র যদি তাদের যথাযথ বিচার না করে তবে এ রাষ্ট্রও ক্রিমিনাল রাষ্ট্র আখ্যা পাবে।ঠগ বাচত গাঁ উজাড়। এমন রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলাম যেখানে কে ভালো লোক সেটা বলাই মুসকিল। যাক তারপর ভোট দেওয়র জন্য মন্দের ভালো খুঁজতে হবে।
হানাদার, রাজাকার, স্বৈরাচার ইত্যাদি দেখতে দেখতে ত্যাক্ত-বিরক্ত।এক ক্রিমিনাল আরেক ক্রিমিনালের সমালোচনা করে।এখন দেখছি একদল মাথা নষ্ট। ওরে কামড়ায়, তারে মারে- এসব কি? স্বাধীন মানে কি স্বাধীনভাবে অকাজ করা? কোথায় যেন দেখেছিলাম- এবার তোরা মানুষ হও।বিশ্ববিদ্যালয়ে অকাজ ঘটিলে সুকাজ কোথায় ঘটবে? এসব কি দেখছি আমরা? এদের কি কোন বোধ নাই?
এখন মামলার মৌসুম চলছে। লোকের কানে কানে গিয়ে বলবে, টাকা দাও নইলে মামলায় নাম দিয়া দিমু। তাও আবার হত্যা মামলা। টাকা দাও না হয় হত্যা মামলা ঘাড়ে নিয়ে দৌড়ের উপর থাক। এখন বুঝতেছি- এদেশ হানাদারের, এদেশ রাজাকারের, এদেশ স্বৈরাচারের, এ ক্রিমিনালের চারণভূমি নষ্টের দেশ আমাদের। এটা নাকি সোনার বাংলা! এটা তামা, কাঁসা, পিতল ও লোহা ইত্যাদির বাংলা বললেও পোষায় না। সইতে পারি না, এদেশের প্রেমের জ্বালা- আহ!এখানে কেউ যেন নিরাপদ নয়। পাগল মারে, পঙ্গু মারে। কি মেধা! কি মেধা! এদেরকে চাকুরী দিলে এরা কি সেবা করবে? ধুর! ভাল্লাগে না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩১