এদেশে অনেক কিছুই সম্ভব।বর্তমান এলোমেলো সয়য়ে যা সম্ভব না বলে মনে করতাম তাও সম্ভব হতে দেখেছি।তবে মানুষকে কয়েক ঘন্টা ধরে পিটিয়ে মারাকে ইনিয়েবিনিয়ে জাস্টিফাই করা যায় এটা ভাবিনি।তাও মেরেছে কারা?
একদল শিক্ষার্থী। যাদের শিক্ষাঙ্গন আলোকিত করে রাখার কথা।তারপর আলোর দ্বীপ নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার কথা দেশটাকে আলোকিত করতে।সেই শিক্ষার্থীরাই এখন মানুষকে ধীরেধীরে সময় নিয়ে পিটিয়ে মারে!মাঝখানে বসিয়ে ভাত খাওয়ায়।তারপর আবারও মারে!
যে সকল অনুজ তাদের অগ্রজকে ছাত্র অবস্থায় দেখে নি তারা তাকে পিটিয়ে মারে অবলীলায়! মারে আর ভিডিও করে।সেই ভিডিও ছড়িয়ে দিতে বুক কাঁপেনা তাদের।অগ্রজ রাজনীতি করতো তাই তাকে মেরে ফেলাটা দোষের না।এদেশে কুকুর বিড়াল বন্য প্রানী পিটিয়ে মারলেও আইনের আওতায় আসতে হয় আজকাল। তবে মানুষ মারাটা মনেহয় জায়েজ!
সন্ত্রাসীরা যখন মানুষ মারে তখন বুকে এতটা ধাক্কা লাগে না,কারন তারা মনুষ্যত্ব বহু আগেই বিকিয়ে দিয়েছে।তাদের বাবা নেই,মা নেই,বন্ধু নেই।খুনের ট্রেনিং তাদের নেয়া আছে,বুকে পাষাণ বাঁধা আছে।তার পক্ষে ক্রাইম করা কঠিন নয় কিন্ত সাধারণ ঘরের সাধারণ ছেলেরা কিভাবে এসব করে?তাও এত ধীরেধীরে সময় নিয়ে,ঠান্ডা মাথায়?
আর আমাদের মত মানুষেরা কিভাবে এসবকে জাস্টিফাই করে?যে দেশে ঠান্ডা মাথার খুনকে ক্রাইম বলে মনে করা হয়না সেদেশের ভবিষ্যত বলে কিছু আছে কিনা বুঝতে পারিনা।
তফাজ্জল লোকটার তৃপ্তি করে ভাত খাওয়ার দৃশ্যটা সহ্য হচ্ছে না।
ঘুমাতে গেলে চোখে ভাসছে।স্থির হতে পারছি না।চারপাশে এত পিশাচ নিয়ে কিভাবে আমরা বেঁচে আছি?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩