বাংলামোটর এলাকা দিয়ে ফুটপাত ধরে আসছিলাম।হঠাৎ একটা চিৎকারের শব্দ।তাকিয়ে দেখি একজন বৃদ্ধ পড়ে আছে উপুড় হয়ে।পাশেই দাঁড়িয়ে আছে একটি হোন্ডা।হোন্ডায় বসে আছে চালক।বুঝলাম ঘটনা যা ঘটানোর হোন্ডাই ঘটিয়েছে।ততক্ষণে শ খানেক মানুষ জমে গেছে ঘটনাস্থলে।পুলিশও এসে গেছে তিনজন।উপস্থিত সবার দাবী-হোন্ডাওয়ালাকে ধরে থানায় নিয়ে যেতে হবে।যতক্ষণ বৃদ্ধকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হবে,ততক্ষণ ছাড়া যাবে না।পুলিশের মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না।শুধু তাই নয়,মিনিট ত্রিশেক পর দেখা গেল হোন্ডাওয়ালা দিব্যি চলে যাচ্ছে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ করে।সবাই তখন প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে তাকাতে লাগল পুলিশের দিকে।পুলিশ ব্যাপারটা বুঝতে পেরে যা বলল তার অর্থ হলো উনি বিশাল এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।উনাকে কিছু বললে অথবা কোন শাস্তি দিলে তাদের চাকরী থাকবে না।এটা তো একটা ঘটনা।ঢাকা শহরে এমন ডজন ডজন ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।হোন্ডাওয়ালারা ভুলেই হয়তো গেছেন ফুটপাত ব্যবহার করার অধিকার কেবল তাদেরই যারা পায়ে হাঁটেন।জ্যাম বেড়ে যাওয়ায় এখন হোন্ডাওয়ালারা রাস্তায় থাকতেই চাচ্ছেন না।তারা হুড়মুড় করে উঠে আসেন ফুটপাতে।ফলে নিশ্চিন্তে হাঁটার কোন উপায় থাকে না পথচারীদের।অথচ এই পথে তাদের ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চলারও অধিকার রয়েছে।আর তারা এখন এমন তটস্থ থাকেন যে,মনে হয় এই রাস্তা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে পারলে বাঁচেন।সাধারণ পথচারীদের অনেকেই জানেন না ফুটপাতে হোন্ডা চালানো যে কত বড় অপরাধ।যারা জানেন তারাও প্রতিবাদ করার সাহস পান না।কারণ হোন্ডা চালকরা প্রায় সবাই বড় মাপের কিছু একটা ।হয়তো দেখা যাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।নয়তো অমুক কর্মকর্তার ভাই ভাতিজা।যাদেরকে পুলিশরাও ভয় পায়।কিন্তু এভাবে আর কত দিন।সাধারণ মানুষের ক্ষমতা নেই রাস্তায় দামী গাড়ি হাঁকানোর,ক্ষমতা নেই হোন্ডা কেনার।তাদের সম্বল একজোড়া পা।এই পা জোড়া রাখার জন্যে কি তারা একটু জায়গা পাবে না?মাননীয় হোন্ডাচালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-আপনারা দয়া করে ভালো হয়ে যান।কারণ আপনারা খুব ভালো করেই জানেন জায়গাটা আপনাদের নয়।তাহলে কেন যাবেন ওখানে হোন্ডা চালাতে?আপনারা উল্টাপাল্টা হোন্ডা চালিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চান।কেন,অন্যদের কি বাড়ি ঘর নেই?তাদের কি স্বজন পরিজন নেই?পুটপাত ধরে পথ চলার অধিকার যাদের একচ্ছত্র তাদেরকে বলছি-আপনারা প্রতিবাদ করুন।প্রতিবাদ করলে তারা এই অন্যায় করার সাহস পাবে না।প্রথমবারের প্রতিবাদে কাজ না হোক,দ্বিতীয় বার তৃতীয়বার চতুর্থবারের প্রতিবাদে নিশ্চয়ই কাজ হবে।মনে রাখবেন-অন্যায় করা আর অন্যায় সহ্য করা সমান অপরাধ।
আলোচিত ব্লগ
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন